হুগলি : ঠিক কতবছর আগে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও হালদারদের বর্তমান প্রজন্মের অনুমান,অন্তত চারশ বছরের বেশি সময় আগে এই পুজো শুরু হয়।
রথের দিন উৎসব হয় হালদার বাড়িতে। সেদিনই হয় কাঠামো পুজো।এরপরই শুরু হয় ঠাকুর গড়া। আগে কৃষ্ণনগর থেকে কুমোর আসত। এখন স্থানীয় কুমোরই প্রতিমা তৈরি করেন। সপ্তমীর দিন সকালে কলা বউ স্নানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় পুজো। আরতি পুষ্পাঞ্জলী ভোগ আরতি চন্ডীপাঠ চলে।অষ্টমীর দিন ধুনো পোড়ানো হয়।
নবমীর সকালে কুমারী পুজো হয়। দশমীর দিন অপরাজিতা ধারণ হালদার বাড়ির পুজোর একটা বৈশিষ্ট্য।অপরাজিতা ধারণ করে ষণ্ডেশ্বর মন্দিরে গিয়ে পুজো ও প্রদক্ষিণ করে বাড়ি ফিরে আসেন সকলে। যতক্ষণ না বিসর্জন হয়, ততক্ষণ হালদার বাড়িতে উনুন ধরে না। হালদার বাড়ির পুজোয় ৯ দিন ধরে নিরামিষ খাওয়া হয়। তাতে শুক্তো থাকে রোজ। বরি দিয়ে তেঁতুলের টকও থাকে। রাঁধুনী আজও আসে সেই ওড়িশার বালাসোর থেকে।হালদার বাড়ির শুক্তো নাকি মুখে লেগে থাকে এরকমই তার স্বাদ।পরিবারের সবার জন্য তো বটেই, বাইরে থেকে যাঁরা আসেন, সবার জন্য পাখাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত থাকে পুজোর ক’টা দিন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় পুজোর দালানের সামনে।
রাহী হালদার