প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে

Durga Puja 2024: পেরিয়েছে ৩৫০ বছর, চাঁচল রাজ পরিবারের পুজো এখন সর্বজনীন

মালদহ: চাঁচলের রাজ পরিবারের বহু ইতিহাসের সাক্ষী চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের পাহাড়পুরের চণ্ডীমণ্ডপ। প্রায় ৩৫০ বছরেরও বেশি প্রাচীন এই দুর্গা মন্দির, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।  রাজ আমলে প্রতিষ্ঠিত এই পুজোর দায়িত্বে বর্তমানে স্থানীয়রা। নিষ্ঠার সঙ্গে আজও পুজো হয়ে আসছে এই মন্দিরে।

সময়টা সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগ। সেইসময় উত্তর মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার রাজা ছিলেন রামচন্দ্র রায়চৌধুরী। শুধু বাংলা নয়, বিহারের কিছু অংশও তাঁর রাজত্বের অন্তর্ভূক্ত ছিল। কথিত আছে, স্বপ্নাদেশ পেয়ে মহানন্দার সতীঘাটে চতুর্ভুজা অষ্টধাতু নির্মিত দেবী মূর্তি পান রাজা। সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন রাজপ্রাসাদে। সেদিন থেকেই রাজবাড়িতে শুরু হয় দেবীর নিত্যপুজো। পরবর্তীতে ফের দেবীর স্বপ্নাদেশ পান রাজা ৷ আদেশ অনুযায়ী সতীঘাটে দেবীর আরেকটি মন্দির নির্মাণ করেন তিনি। ওই মন্দিরেই শুরু হয় পুজো। বছরভর রাজপ্রাসাদে অষ্ট ধাতুর তৈরি দেবী মূর্তির পুজো হয়। দুর্গাপুজোর পাঁচদিন পাহাড়পুরের মন্দিরে মূতি নিয়ে আসা হয়। এই নিয়ম এখনও রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা অজয় প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যাব বলেন, চাঁচোলের রাজা স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। প্রাচীন নিয়ম নিষ্ঠা মেনে এখনও পুজো হয়। রাজ পরিবার আর নেই, বর্তমানে এই পুজো করে স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা।

এখন আর নেই রাজা, রাজ্যপাটও নেই। তবে রাজবাড়ির একাংশে থাকা ঠাকুরবাড়ি এখনও আগের মতোই রয়ে গিয়েছে। আর বহু ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাহাড়পুরের দুর্গাদালান। সেখানেই প্রতিবছর নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হয়ে আসছে দেবী দুর্গার। বর্তমানে এই পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই প্রতিবছর কমিটি তৈরি করে পুজোর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

হরষিত সিংহ