তেলেনিপাড়া বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো

Durga Puja 2024: সপ্তমীতে ৫২ ভোগ, দশমীতে পান্তা ভাত, ইলিশ দিয়ে কচুশাক, তেলেনিপাড়ার বনেদি পুজোর বয়স পেরিয়েছে ২০০ বছর

রাহী হালদার, হুগলি: হুগলি জেলার বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে অন্যতম হল ভদ্রেশ্বর তেলনিপাড়ার বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজো। কারণ এখানে ষষ্ঠীর দিন থেকে নয় বরং প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যায় দেবী দুর্গার আরাধনা। একসময়ের জমিদার বৈদ্যনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে শুরু হয় পুজোর সূত্রপাত।  ১২০৮ বঙ্গাব্দে তেলেনিপাড়ার বন্দোপাধ্যায় বাড়িতে শুরু হয় দুর্গাপুজো। ২২৪ বছর ধরে রীতিনীতি মেনে আজও পুজো হয়ে আসছে দেবী দুর্গার।

অন্যান্য পূজোর থেকে আলাদা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো, বোধনের তিন থেকে নয় বরং প্রতিপদ থেকে শুরু হয় এই বাড়ির দুর্গাপুজো। প্রতিপদের দিন দেবী চণ্ডীর ঘট বসিয়ে শুরু হয় পূজা অর্চনা। দুর্গা মন্দিরে পাশের দালানেই রয়েছে দেবী অন্নপূর্ণার মন্দির। সারা বছর দেবী অন্নপূর্ণা পূজিত হন এই বাড়ির মন্দিরে। ষষ্ঠীর দিন ঠাকুরের মূর্তির সামনে ঘট বসিয়ে শুরু হয় দেবী দুর্গার মূর্তির পুজো। বাড়ির সকল মহিলারা হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করেন পুজোর সরঞ্জাম তৈরির। মহালয়ার দিন নাড়ু বানানো দিয়ে শুরু হয় বাড়ির মহিলাদের কাজ। সপ্তমীর দিনে ঠাকুরকে ৫২ ভোগ দেওয়ার প্রথা রয়েছে এই পুজোয়। দশমীর দিন পান্তা ভাত কচুর শাক ও ইলিশ মাছ দিয়ে দেবী দুর্গাকে ভোগ দেওয়া হয়। সেখানেই দশমীর বিষাদের সুরের মধ্যে থাকে ‘আবার এসো মা’-এর সুর।

আরও পড়ুন : পুজোয় ‘কার্বাইডে পাকানো কলা’ দিচ্ছেন না তো? এই বিশেষ চিহ্ন দেখে চিনুন ‘রাসায়নিক বিষমুক্ত ফল’

একটা সময় এই বাড়িতে দুর্গাপুজোয় মহিষবলির প্রথা ছিল। তবে কালের নিয়মে সেই প্রথা এখন বন্ধ হয়েছে। বাড়ির ৩৩ তম পুরুষের হাতে এখন রয়েছে পুজোর দায়িত্ব। নিষ্ঠার সঙ্গে রীতিনীতি মেনে চলে বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজো। পুজোর দিনে প্যান্ডেল হপিং নয় বরং পুজোর জোগাড় করার আনন্দে মেতে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা।

Catch Special LIVE Coverage on Durga Puja(দুর্গা পূজা ) 2024 দুর্গা পুজো ২০২৪