কাশফুল জঙ্গলে ফটোশুট

Durga Puja 2024: আদিগন্ত নিবিড় কাশবনে এ সব কী হচ্ছে! জানলে চমকে যাবেন

সৌভিক রায়, বীরভূম: উমা ফিরছে নিজের বাড়ি।আর এই উমার আগমনের বার্তা দেয় কাশফুল।তবে এই কাশফুল দেবী দুর্গার চরণে ঠাঁই না হলেও কাশফুল বয়ে আনে আগমনীর বার্তা।সেই ফুল দেখলেই ছবি তোলার হিড়িক দেখা যায় বাঙালির মধ্যে। তাই তো পুজোর এই সময় রামপুরহাট শহরের অদূরে ফটোশ্যুটের হটস্পট হয়ে উঠেছে এক টুকরো কাশবন।দুর্গাসাজে মহালয়ার শ্যুটিং থেকে শুরু করে রিলস বানানোর অন্যতম জায়গা হয়ে উঠেছে এই কাশবন।

শহরের প্রকৃতিতে শারদীয় শোভা দুর্লভ।প্রকৃতি ধ্বংস করে গড়ে উঠেছে বহুতল।একটু স্বস্তির নিশ্বাস নেবে সেই জায়গাটুকু নেই। তবে রামপুরহাট শহরের শেষপ্রান্ত মনসুবা মোড় ব্যতিক্রম।একপাশে রানিগঞ্জ মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক।অন্য পাশে তীর্থভূমি তারাপীঠ যাওয়ার রাস্তা। মাঝে বিশাল খোলা মাঠ।শরতের আগমনীর বার্তা নিয়ে আসা নিবিড় কাশবন।বিঘার পর বিঘা জায়গা জুড়ে শুধুই কাশফুল ফুটে রয়েছে।

যা অপরূপ শোভা বাড়িয়েছে এই এলাকার।সকাল থেকে বিকেলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীদের মহালয়ার শ্যুটিংয়ের অন্যতম জায়গা হয়ে উঠেছিল এই কাশবন।জানা গিয়েছে, প্রায় বছর দশেক আগে জাতীয় সড়ক সংস্কারের কাজের জন্য বরাত পাওয়া নামী ঠিকাদার সংস্থা এই জায়গায় তাদের প্ল্যান্ট বসিয়েছিল।এখনও সেখানে বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে পড়ে রয়েছে পাথরকুচি।বছর চারেক ধরে সেই জায়গায় হয়ে উঠেছে কাশবন।

আরও পড়ুন : ডায়াবেটিস রোগীরা কখন ফল খেতে পারবেন? দিনের এই সময়ে এ ভাবে ফল খেলেই কমবে ব্লাড সুগার! জানুন

একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার জন্য যাঁরা খোলামেলা জায়গা খুঁজে বেড়ান, তাঁদের ঠিকানা হয়ে উঠেছে এই কাশবন।কাশফুলের ছোঁয়ায় প্রশান্ত হচ্ছে তাঁদের প্রাণ।চারদিক কাশ ফুলে ফুলে সাদা হয়ে রয়েছে।ছুটির দিনগুলিতে ভিড় জমাচ্ছেন যুবক-যুবতীরা।এখানেই অনেকে নিজের মেয়েকে দুর্গা সাজিয়ে এনে ফটো তুলছেন আবার কেউ নাচ গানের মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ করছেন। শুধু ছবি তোলা নয়, অনেক ইউটিউবার এখানে মহালয়ার শ্যুটিংও করেছেন।