পশ্চিম মেদিনীপুর: বাংলার প্রাচীন কারুকলার মধ্যে অন্যতম বাঁশ শিল্প। এই বাঁশকে কেটে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল উপস্থাপন করেছেন মণ্ডপশিল্পী। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় এবার থিমে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা একটা মণ্ডপ।
জেলার মধ্যে বিশেষ নজর কেড়েছে এই পুজো। প্রতিদিন বেশ ভাল ভিড় জমেছে এই পুজো মণ্ডপে। কলকাতা শহর কিংবা শহরতলি এলাকায় নয়, এবার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায়ও বড় বাজেটের পুজো। একদিকে যেমন আড়ম্বর তেমনি থিমের ছোঁয়া। জেলার মধ্যে অন্যতম সবং ব্লকের তেমাথানি এলাকার পল্লীশ্রী ক্লাব।
আরও পড়ুন: বলিউডের এই নায়িকার সঙ্গে গভীর প্রেম ছিল রতন টাটার, মৃত্যুর খবরে প্রাক্তন প্রেমিকা লিখলেন ৩টি লাইন!
পুজোর আগে বেশ কয়েক মাসের চেষ্টা। এক একটি বাঁশের টুকরোকে কেটে বিভিন্ন রূপ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে আস্ত একটা মণ্ডপ। এর মাঝে প্রাকৃতিক নানান বাধা প্রতিকূলতা কাটিয়েও প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার এই পুজো মণ্ডপ নজর কেড়েছে সকলের। শিল্পীর হাতের ছোঁয়া এবং শিল্প নিপুণতা অবাক করেছে সকলকে। গ্রাম বাংলার রুচি, সংস্কৃতির অন্যতম বাঁশের কারুকার্য। শিল্প কারুকলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুজো মণ্ডপে।
৩১ তম বর্ষে সবং থানার তেমাথানি পল্লীশ্রী ক্লাবের থিম কারু শিল্প বাংলা বাঁশে, দেবীর বোধন নতুন সাজে। কোথাও বাঁশ কেটে পাতলা পাতলা আস্তরণ বের করে আবার কোথাও এই বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় শৈল্পিক মূর্তিও তৈরি করেছেন শিল্পীরা। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বড় বাজেটের দুর্গাপুজোর মধ্যে অন্যতম তেমাথানির এই পল্লীশ্রী ক্লাবের পুজো। তবে এ বছর বন্যা পরিস্থিতিতে পুজোর বাজেট থেকে সঞ্চয় করে বন্যার্ত মানুষদের হাতে তুলে দিয়েছে উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন: গ্যাস-বদহজম-কোষ্ঠকাঠিন্যের যম এই সবজি প্রোটিনের খনি! মুখে আনে রুচি, আপনি খান তো?
প্রতি বছর নিত্যনতুন থিমে সাজিয়ে তোলেন পুজো মণ্ডপ থেকে প্রতিমা। এবারেও তাদের এই আয়োজন। বাজেট প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা। জেলার শারদ সম্মানে ভূষিত হয়েছে এই পল্লীশ্রী ক্লাব। স্বাভাবিক ভাবে পুজোর কটা দিন বেশ ভাল ভিড় জমবে। পার্শ্ববর্তী একাধিক ব্লক থেকেও বহু মানুষ আসেন এখানে পুজো দেখতে। তবে এবারের মণ্ডপসজ্জা এবং প্রতিমা আরও বেশি নজর কেড়েছে জেলার মানুষের।
রঞ্জন চন্দ