মালদহ: মন্দির থেকে কিছুটা দূরেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। দেশের একেবারেই শেষ সীমানা, আর এখানেই হয়ে আসছে শতাব্দীর প্রাচীন দূর্গা পুজো। হয়তো অনান্যপুজোর মত জাঁকজমক নেই। তবে এই পুজোকে আঁকড়ে ধরে রয়েছে সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা। মালদহের কালিয়াচকের ষষানি গ্রামে হয়ে আসছে এই প্রাচীন পুজো।
আশেপাশের পাঁচটি গ্রাম মিলে হয় এই একটি মাত্র পুজো। আর এই পুজোকে ঘিরেই আনন্দে মেতে ওঠেন সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দারা। অন্যান্য পুজোর থেকে কোনও অংশে কম নেই এই পুজোর প্রস্তুতি। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ হারাধন রজক বলেন, অবিভক্ত বাংলার বর্তমান বাংলাদেশে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল।
পরবর্তীতে ভারত ভাগের পর এপারে তৎকালীন উদ্যোক্তারা পুজো নিয়ে আসেন। একেবারে সীমান্তবর্তী গ্রামের এই পুজো। এবছর ১১৯ তম বর্ষ। পুজোয় শামিল হয়ে থাকেন বিএসএফ কর্মীরাও। কারণ পাশেই রয়েছে বিএসএফ ক্যাম্প।
প্রতিবছর সীমান্তের এই পুজোয় চাঁদা দেওয়া থেকে পুজোয় অংশগ্রহণ করে আসছেন স্থানীয় বিএসএফ কর্মীরা। গ্রামের পাশ দিয়েই গিয়েছে সীমান্তের তাঁর বেড়া। গ্রাম জুড়ে প্রায় নিয়মিত চলে বিএসএফ টহলদারি।পুজোকে ঘিরে পাঁচ দিনব্যাপী চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জমি দান করায় সেখানেই গড়ে উঠেছে ঠাকুরদালান। প্রতিবছর পাঁচ গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে এই পুজোয় সামিল হয়ে থাকেন।
হরষিত সিংহ