Durgapur Sub Divisional Hospital: সীমিত পরিকাঠামোতেই কামাল মহকুমা হাসপাতালের, প্রাণে বেঁচে গেল মুমূর্ষু রোগী

পশ্চিম বর্ধমান: রোগিনী হাসপাতালে এসেছিলেন বিশাল সমস্যা নিয়ে। পা রীতিমত ভারী হয়ে গিয়েছিল। ঠিক করে চলাফেরা করতে পারছিলেন না। চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বুঝতে পারেন, রোগীর পেটে রয়েছে বিশাল এক টিউমার। সীমিত পরিকাঠামো নিয়েই জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই টিউমারটি বের করলেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

আজকাল বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক হাসপাতালে এই ধরনের টিউমার অস্ত্রোপচার করে বের করার ঘটনা হামেশাই দেখা যায়। কিন্তু দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যে এই কাজ করাটা বেশ কঠিন ছিল। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প পদ্ধতি প্রয়োগ করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক নীলাদ্রি সেন এবং তাঁর টিমের সদস্যরা এই অস্ত্রপোচারটি করেন।

আর‌ও পড়ুন: সন্তানের জন্ম দিয়েই অসুস্থ একের পর এক প্রসূতি, মৃত্যু একজনের! ইমামবাড়া হাসপাতালে চাঞ্চল্য

বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন রোগিনী ছন্দা চ্যাটার্জী। ৫২ বছরের এই মহিলার বাড়ি দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকায়। অস্ত্রপোচারের পর শরীর অনেক হালকা লাগছে বলে তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই অস্ত্রপচারের জন্য সাধারণ অ্যানাস্থেসিয়া ব্যবহার করা হয়নি। মূলত রিজিওনাল অ্যানাস্থেসিয়া করে এই জটিল অস্ত্রোপচারটি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে চলেছে অপারেশন। শেষে বেরিয়ে এসেছে আট কেজি ওজনের টিউমার।

মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল জানিয়েছেন, বর্তমানে হাসপাতালের পরিকাঠামোর অনেক উন্নতি হয়েছে। অপারেশন থিয়েটারগুলি আরও উন্নতমানের করা হয়েছে। যে কারণে জটিল রোগে এই ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে পারছেন চিকিৎসকরা। বিভিন্ন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যে ধরনের চিকিৎসা পাওয়া যায়, তা এখন মহকুমা হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে।

নয়ন ঘোষ