ভেঙে পড়া মাচা বাজাতে মরিয়া চাষিরা 

Vegetable Cultivation: ঋণ নিয়ে করেছিলেন সবজি চাষ, বৃষ্টির জলে সব শেষ

পশ্চিম মেদিনীপুর: বৃষ্টি মানুষের শুধু স্বস্তি আনেনি, বাড়িয়েছে চিন্তাও। বাড়িয়েছে মানসিক চাপও। দক্ষিণবঙ্গে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মাথায় হাত সবজি চাষিদের। একটানা প্রবল বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে সবজি চাষের। এই পরিস্থিতিতে নাওয়া খাওয়া ভুলে মাঠেই পড়ে রয়েছেন চাষিরা।

বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত সবজি চাষিদের কেউ ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন, কেউ জমানো অর্থের পুরোটা খরচ করে চাষ করেছিলেন। কিন্তু গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। এই বিপুল আর্থিক ক্ষতি থেকে কিভাবে নিস্তার পাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না পশ্চিম মেদিনীপুরের সবজি চাষিরা।

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লক এবং দাঁতন ব্লকে সুবর্ণরেখা নদীর তীরবর্তী এলাকার অধিকাংশ মানুষ সবজি চাষের উপর নির্ভরশীল। দাঁতনের বড়া, অন্ত্রী, কাঁটাপাল, কেশিয়াড়ি ব্লকের ভসরা, আমলাসাই সহ একাধিক গ্রামের মানুষ সবজি চাষ করে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। বৃষ্টিতে এই সকল এলাকার সবজি চাষের জমিতে জল জমে গিয়েছে। ফলে পচতে শুরু করেছে সবজি।

আর‌ও পড়ুন: হঠাৎ বাঁকুড়ার সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে গেল আসানসোলের! ব্যাপারটা কী?

মাটিতে জল জমে যাওয়ায় একদিকে যেমন মাচা ভেঙে গিয়েছে, তেমনই অত্যাধিক জলের কারণে গাছও নষ্ট হয়ে গিয়েছে সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী এলাকায়। দাঁতন ও কেশিয়াড়ি ব্লকের গ্রামগুলির অধিকাংশ চাষি শসা, ঝিঙে, কুমড়ো সহ একাধিক সবজি চাষ করেন। তবে কদিনের টানা বৃষ্টিতে সব শেষ। মাঠে পড়ে নষ্ট হচ্ছে কুমড়ো। বাধ্য হয়ে তা কম দামে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন চাষিরা।

স্বাভাবিকভাবে ঋণ নিয়ে চাষ করা চাষিরা এই পরিস্থিতিতে কীভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন তা ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছেন না। এখনও টানা বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি হবে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। আগামীতে চাষিদের পরিস্থিতি যে আরও দুর্বিষহ হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

রঞ্জন চন্দ