বাবার দোকানের সামনে কান্না বাচ্চা মেয়ের

Fire Accident: চোখের সামনে বাবার দোকান ধ্বংস! হাউ হাউ করে কান্না দুই মেয়ের, কী হল আচমকা?

বীরভূম: স্কুল থেকে সদ্য ফিরেছে বাচ্চা মেয়েটি। এসেই যেন তার চক্ষু চড়কগাছ। ছোট থেকে দেখা বাবার দোকানটি নিমেষেই যেন মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। আর তা দেখেই যেন চোখের দুই কোণে চিকচিক করে উঠেছে জল।

এইসব দেখে নিমেষের মধ্যেই স্কুলের ফ্রক পরা মেয়েটি ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাবার কোলে। কখনও বাবার মুখ দেখে চুপ, আবার কখনও দোকানের দিকে তাকাতেই ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠল মেয়েটি। অভিযোগ, রাজু বীরভূমের বোলপুর শান্তিনিকেতনের গার্লস স্কুলের সামনে সরকারি জায়গায় বেআইনিভাবে নিজের দোকান চালাচ্ছিল প্রায় দশ বছর ধরে। তাই নিয়ম মেনেই প্রশাসন ভেঙে ফেলে রাজু দাসের দোকানটি।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বদলাবে আবহাওয়া, বৃষ্টি ভিজবে কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলি! জেনে নিন

তবে রাজুর দুই কন্যার কান্না সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়তেই যেন হুহু করে সেটি প্রচার পেতে শুরু করে নেটিজেনদের মধ্যে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া খুদে বারংবার বাবাকে বোঝাচ্ছে, ‘চুরি ভাল কাজ নয়’। নেটপাড়ার গণ্ডি পেরিয়ে সেই দৃশ্য নজরে এসেছে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদেরও।

আর মানবিকতার খাতিরে সেই দিক থেকে রাজুর জন্য বিকল্প রোজগারের রাস্তা ভাবছে প্রশাসন। কয়েকদিন আগেই বেআইনি নির্মাণ ও সরকারি জায়গায় জবরদখল যাঁরা করে রেখেছেন তাঁদেরকে উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আর তারপরেই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়।

আরও পড়ুন: ‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’-এ আমিরের দাদা হয়ে আত্মপ্রকাশ-জনপ্রিয়তা, একটি ভুলের জন্যে কেরিয়ার ডুবে শেষ! কী জানেন?

রাজুর দুই কন্যা একজন দ্বিতীয় শ্রেণির, অন্যজন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। সরকারি নির্দেশিকাকে না বুঝেই দোকানের সামনে বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে তারা। রাজু দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জায়গার উপর নিজের তেলেভাজার দোকান চালিয়ে আসছিলেন। আর ঠিক চোখের সামনে রাজু তাঁর নিজের দোকানকে ভেঙে যেতে দেখে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বারবার বলছিলেন হতাশার কথা।

সৌভিক রায়