Tag Archives: Hawkers

Footpath Eviction: সাত দিনের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেন বিধায়ক, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কঠোর অবস্থান

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বারুইপুরের চম্পাহাটিতে যানজটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। যত্রতত্র অটো দাঁড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। বড় রাস্তা দখল করে গজিয়ে উঠেছে টোটো স্ট্যান্ড। এমনকী ফুটপাত দখল করে দেদার চলছে দোকান, রেস্তরাঁ, বাজার। এই সমস্যা সমাধানে চম্পাহাটি পঞ্চায়েত ভবনে এক প্রশাসনিক বৈঠক করেন বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক। সেখানেই তিনি ফুটপাত দখল মুক্ত করার জন্য সাত দিনের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।

চম্পাহাটি পঞ্চায়েত ভবনে আয়োজিত প্রশাসনিক বৈঠকে বিধায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সহ মোট তিনটি পঞ্চায়েতের প্রধানরা। এছাড়াও চম্পাহাটি ক্যাম্পের পুলিস ও ট্রাফিক পুলিস অফিসাররা হাজির ছিলেন। বৈঠকে ফুটপাত থেকে দখলদার সরাতে ও অটো-টোটো নিয়ন্ত্রণ করতে সাতদিনের সময় বেঁধে দেন বিধায়ক। তারপর পুলিস অভিযানে নামবে বলে তিনি জানান। পরে রাস্তায় নেমে নিজেই ব্যবসায়ীদের ও অটো-টোটো ও চালকদের সতর্ক করার কাজ করেন। এমনকী বিধায়ক সাফ জানিয়ে দেন, অভিযানে যে সব পঞ্চায়েত সদস্য বাধা দেবেন, কাউকে ধরলে ছাড়ানোর চেষ্টা করবেন, সেই সদস্যকে পুলিস গ্রেফতার করবে।

আর‌ও পড়ুন: ফিঙ্গারপ্রিন্টে চালু হবে ই-বাইক! তৈরি করে চমক পাথরপ্রতিমার ছেলের

ফুটপাত দখলমুক্ত করা প্রসঙ্গে কড়া মনোভাব দেখিয়ে বিধায়ক বলেন, কোনও অন্যায় কাজ মানা হবে না। চম্পাহাটি যানজট মুক্ত করতেই হবে। যত্রতত্র দোকানের সামনে বাইক রাখলে পুলিস জরিমানা করবে। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে অটোচালক, স্থানীয় ব্যবসায়ী, এলাকার বিশিষ্ট মানুষদের ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে জানানো হয়, চম্পাহাটি রেলগেট থেকে পোল, পিয়ালি পর্যন্ত রাস্তার ধারে যত্রতত্র অটো-টোটো দাঁড়ানো যাবে না। এমনকি রেলগেট থেকে সাউথ গড়িয়া মোড় পর্যন্ত রাস্তার পাশে দখল করে গাড়ি দাঁড় করালে পুলিস ব্যবস্থা নেবে। সাতদিন মাইকিং করা হবে। তারপরই পুলিস ব্যবস্থা নিতে শুরু করবে। এদিন চম্পাহাটি পুলিসের কাছে বিধায়ক অভিযোগ করেন, মদ, জুয়ার ঠেক চলছে এলাকায়, দ্রুত তা বন্ধ করতে হবে।

সুমন সাহা

Hawkers Protest: রেলের পরপর নোটিশে আতঙ্ক বাড়ছে, বামনগাছির হকারদের মাথায় হাত

উত্তর ২৪ পরগনা: রেলের নোটিস ঘিরে আতঙ্কে ভুগছেন বামুনগাছি এলাকার হকাররা। পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করলে ভবিষ্যৎ কী হবে, এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন। উল্লেখ্য, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের বনগাঁ শাখার বামনগাছি স্টেশনে হকারি করেন প্রায় ৪০০ জন। এখান থেকেই যা রোজগার হয় তা দিয়ে সংসার খরচ চালান তাঁরা।

তবে রেলের পক্ষ থেকে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু হয়েছে। তবে বারংবার রেলের তরফ থেকে নোটিশ দেওয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্ক’ও কাজ করছে। এদিন উচ্ছেদের নোটিশের প্রতিবাদে রীতিমত বিক্ষোভ দেখান। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই তাঁদের উচ্ছেদের বিষয়ে পূর্ব রেলের তরফ থেকে ১০-১২ বার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এবার আবারও এসেছে সেই নোটিশ। দোকান তুলে দেওয়ার জন্য রেল পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: অবশেষে রায়দিঘির জেটিঘাট সংলগ্ন নদীর পাড় সংস্কারে টাকা বরাদ্দ

নোটিশে ৮ তারিখ পর্যন্ত শেষ সময়ও দেওয়া হয়েছিল। এরপরই বামুনগাছি হকার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্টেশনেই শুরু হয় হকারদের আন্দোলন ও বিক্ষোভ। হকারদের দাবি, যাত্রী নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সমস্ত পরিষেবা স্টেশনে তাঁরাই দিয়ে থাকেন। তারপরও কোন‌ওরকম পুনর্বাসনের ঘোষণা না করেই বারংবার উচ্ছেদের জন্য নোটিশ পাঠাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে এভাবেই অনেকে ব্যবসা করে আসছেন এই এলাকায়। হঠাৎ উচ্ছেদ হলে এরপর কী করবেন, পরিবার নিয়ে কোথায় যাবেন রেলের উদ্দেশ্যে সেই প্রশ্ন তোলেন। যদিও এই বিষয়ে রেলের তরফ থেকে কোন‌ও মন্তব্য করা হয়নি।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Hawker Eviction: উচ্ছেদ নয়, হকারদের বুঝিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করার চেষ্টা

বাঁকুড়া: উচ্ছেদ নয়। ভালভাবে হকারদের বুঝিয়ে ফুটপাত থেকে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন‌ই ঘটনা নজরে এল বাঁকুড়া পুর এলাকায়। পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার, উপ-পুরপ্রধান হিরণ চট্টরাজ এবং বাঁকুড়া থানার আইসি সহ আধিকারিকরা বুধবার দুপুরে দলবেঁধে এই পদক্ষেপে সামিল হন। এদিন তাঁরা হাজির হন বাঁকুড়া শহরের মাচান তলায়। এখানে গোটা ফুটপাতই প্রায় হকারদের কবলে চলে গিয়েছে।

বাঁকুড়ার মাচান তলায় পথচারীরা ফুটপাত ছেড়ে রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হন। আর ফুটপাত হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসায়ীদের বেআইনিভাবে জবরদখল করে গড়ে তোলা দোকান ঘর! এর ফলে শহরে বাড়ছে যানজট, অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ঠিক সময়ে রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে পারছে না। আর তাই বাঁকুড়া পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মাচানতলাকে হকার মুক্ত করে ফুটপাত পথ পথচারীদের ফিরিয়ে দেওয়ার। যদিও তা গায়ের জোরে নয়, বরং বুঝিয়ে শুনিয়ে কার্যোদ্ধারের চেষ্টা করছেন পুরোকর্তারা।

আরও পড়ুন: দীর্ঘস্থায়ী বর্ষার আশঙ্কায় আগাম প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সুন্দরবনের শিল্পীরা

অভিযানে বেরিয়ে খুব স্পষ্ট করেই বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, উচ্ছেদ নয়। হকারদের স্থানান্তর করা হবে। যেখানে হকাররা ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। এদিকে শহরের সাইকেল স্ট্যান্ড হকারদের জবরদখলে চলে যাওয়া নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ শহরের সাধারণ মানুষ। এই প্রসঙ্গে পুরপ্রধান বলেছেন, সাইকেল স্ট্যান্ডে যে ব্যবসায়ীরা স্টল দিয়েছেন তাঁদেরকে মিটিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শহরের কিশান মান্ডিতে গিয়ে বসার জন্য। আমরা হকারদের কথা চিন্তা করেই কাজ করার চেষ্টা করছি, যাতে তাঁরাও ব্যাবসা করে সংসার চালাতে পারেন।

তবে এই প্রক্রিয়া আদৌ কার্যকরী হবে কিনা সেই নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। আদৌ হকাররা পুরসভার এই উদ্যোগে সম্মত হবেন কিনা সেই প্রশ্ন তুলছেন শহরের বাসিন্দারা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Hawker Protest: পুনর্বাসনের জায়গা নিয়ে আপত্তি, প্রতিবাদে মেদিনীপুরে পথ অবরোধ হকারদের

পশ্চিম মেদিনীপুর: ফুটপাত দখল মুক্ত করতে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেদিনীপুর শহরে প্রতিবাদের সম্মুখীন হতে হল প্রশাসনকে। ফুটপাত দখল মুক্ত করে সেখানকার হকারদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়া হলেও তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন তাঁরা। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করলেন মেদিনীপুরের হকাররা।

কারওর চায়ের দোকান, কারওর আবার খাবারের দোকান। মেদিনীপুর শহরের অলিতে গলিতে একাধিক ছোট ছোট দোকানে চলত বেচাকেনা। তবে সেই জায়গা দখলমুক্ত করতে চাইছে প্রশাসন। তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নামল হকাররা। মেদিনীপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র কলেজ কলেজিয়েট ময়দান রোডের হকারদের রাস্তার পাশ থেকে তুলে অন্যত্র ডিআই অফিসের গলিতে পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ মেদিনীপুর পুরসভার তরফে শুরু করা হয়।

আরও পড়ুন: শুধু উচ্ছেদ নয়, মালদহে পুনর্বাসন দেওয়া হবে হকারদের

এরপরই মেদিনীপুর শহরে শুরু হয় হকারদের বিক্ষোভ। মেদিনীপুর কলেজ রোড অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ ও অনিচ্ছুক হকাররা। হকারদের দাবি, যেখানে তাঁদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা, সেখানে কোনওভাবেই ব্যবসা করা সম্ভব নয়। তাঁরা চান মূল রাস্তার পাশেই তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক পুর কর্তৃপক্ষ। এর‌ই প্রতিবাদে এদিন রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান হকাররা।

প্রসঙ্গত হকারদের নিয়ে মহকুমাশাসক দফতরে আলোচনা হয় মঙ্গলবার। এরপরই বুধবার হকারদের অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু করা হয়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা এলে বিক্ষোভ দেখান হকাররা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত শহর যানজট মুক্ত রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রঞ্জন চন্দ

Hawker Rehabilitation: শুধু উচ্ছেদ নয়, মালদহে পুনর্বাসন দেওয়া হবে হকারদের

মালদহ: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর রাজ্যজুড়ে ফুটপাথ ও সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে। সেই তালিকায় আছে মালদহ জেলার নাম‌ও। মালদহ শহরের অধিকাংশ ফুটপাত দখল হয়ে আছে। সেগুলি মুক্ত করার কাজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি উচ্ছেদ করা হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। ফলে এই দখলমুক্ত অভিযান সমর্থন পাচ্ছে এখানকার হকারদের‌ও।

শুধুমাত্র ফুটপাত নয়, মালদহ শহরের বেশ কিছু রাস্তার উপরেও ঠেলাগাড়ি করে দোকান বসছে। তবে এই সমস্ত ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের উচ্ছেদ করলে সমস্যায় পড়বে তাঁদের পরিবার‌ও। তাই শুধুমাত্র উচ্ছেদ নয়, পাশাপাশি তাঁদের অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিয়েছে মালদহ জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মালদহ শহরের সমস্ত ফুটপাত ব্যবসায়ী ও অস্থায়ী বিক্রেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মালদহ শহর জুড়ে হকার্স সার্ভে। শহরে কত হকার রয়েছেন, কত ভ্রাম্যমান দোকান আছে বা অস্থায়ী দোকান রয়েছে এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হেলমেট ছাড়াই বান্ধবীকে বাইকে চাপিয়ে দুরন্ত গতিতে দৌড়! দুর্ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু

পুরপ্রধান শুভময় বসু বলেন, ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। শহরের সমস্ত ওয়ার্ডে সার্ভে করা হবে। আগামীতে আবারও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে।

ইংরেজবাজার পুরসভার পক্ষ থেকে এই সার্ভে করা হচ্ছে। সার্ভে শেষে রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে পেশ করা হবে। এই সার্ভের পর চলতি সপ্তাহের শেষে আবারও জেলার প্রশাসন ও পুরসভার মধ্যে একটি বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে হকার ও অস্থায়ী দোকানদারদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ইংরেজবাজার পুরসভার ১ নম্বর থেকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত এই সার্ভে চলবে। পাশাপাশি কেজে সান্যাল রোড থেকে রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ পর্যন্ত নো হকার্স জোন করা হবে। এই রাস্তাটি মালদহ শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা। এখানে অস্থায়ী দোকান বসায় চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পথচারী থেকে গাড়িচালকদের।

এদিকে সূত্রের খবর, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের মধ্যে সরকারি জমি চিহ্নিত করে সেখানে হকার ও ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভ্রাম্যমান দোকানগুলি নিয়ে আগামীতে কিছু চিন্তা ভাবনা করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। মূলত খাবার দোকান ভ্রাম্যমানভাবে শহরের কিছু রাস্তায় বসে। কীভাবে তারা দোকান করতে পারবেন সে ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে খুশি হকাররাও।

হরষিত সিংহ

Footpath Eviction: পুরসভার পর এবার পঞ্চায়েত এলাকাতেও দখলমুক্ত অভিযান শুরু

উত্তর ২৪ পরগনা: পুর এলাকার পর এবার পঞ্চায়েত এলাকায় শুরু হল জবরদখল মুক্ত অভিযান। হাসনাবাদ-১ ব্লকের চৌমাথা এলাকায় বেআইনিভাবে ফুটপাত দখল করে বসে থাকা হকারদের তুলে দিয়ে পথচারীদের জন্য রাস্তা ফেরানোর অভিযানে নামল জেলা প্রশাসন।

দীর্ঘদিন ধরে মালঞ্চ রোড, মুরারিশা চৌমাথায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা পাধ্যায়ের ঘোষণার পরপরই ফুটপাত দখলমুক্ত করার এই উচ্ছেদ অভিযানে নামল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। এই উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি এসকেন্দার গাজি, হাসনাবাদ থানার আইসি সহ পুলিশ প্রশাসন।

আর‌ও পড়ুন: অঙ্ক ও বিজ্ঞানে ভীতি কাটাতে স্কুলের বিরাট আয়োজন, খুশি অভিভাবকরাও

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। প্রশাসনিক করতে জানিয়েছেন প্রথমে ফুটপাতে বসে থাকা হকারদের উঠে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। তারপরেও যারা কথা শুনবে না তাদেরকে তুলে দেওয়া হবে।

এদিকে হাসনাবাদের হকাররা জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের আরও কিছুটা পিছিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাঁরা সেটাই করবেন। কারণ তাঁদের জন্য পথচারীদের অসুবিধা হোক সেটা চান না বলে জানান। যদিও বেশ কিছু হকার জানিয়েছেন, কোন‌ওরকমে রাস্তার উপরে বসে ব্যবসা করছিলাম। কিন্তু এর ফলে সেই ব্যবসাটাই হয়ত বন্ধ হয়ে যাবে। ফোনে কী করে সংসার চলবে তা বুঝতে পারছেন না বলে গভীর চিন্তা প্রকাশ করেন।

জুলফিকার মোল্যা

Fire Accident: চোখের সামনে বাবার দোকান ধ্বংস! হাউ হাউ করে কান্না দুই মেয়ের, কী হল আচমকা?

বীরভূম: স্কুল থেকে সদ্য ফিরেছে বাচ্চা মেয়েটি। এসেই যেন তার চক্ষু চড়কগাছ। ছোট থেকে দেখা বাবার দোকানটি নিমেষেই যেন মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। আর তা দেখেই যেন চোখের দুই কোণে চিকচিক করে উঠেছে জল।

এইসব দেখে নিমেষের মধ্যেই স্কুলের ফ্রক পরা মেয়েটি ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাবার কোলে। কখনও বাবার মুখ দেখে চুপ, আবার কখনও দোকানের দিকে তাকাতেই ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠল মেয়েটি। অভিযোগ, রাজু বীরভূমের বোলপুর শান্তিনিকেতনের গার্লস স্কুলের সামনে সরকারি জায়গায় বেআইনিভাবে নিজের দোকান চালাচ্ছিল প্রায় দশ বছর ধরে। তাই নিয়ম মেনেই প্রশাসন ভেঙে ফেলে রাজু দাসের দোকানটি।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বদলাবে আবহাওয়া, বৃষ্টি ভিজবে কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলি! জেনে নিন

তবে রাজুর দুই কন্যার কান্না সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়তেই যেন হুহু করে সেটি প্রচার পেতে শুরু করে নেটিজেনদের মধ্যে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া খুদে বারংবার বাবাকে বোঝাচ্ছে, ‘চুরি ভাল কাজ নয়’। নেটপাড়ার গণ্ডি পেরিয়ে সেই দৃশ্য নজরে এসেছে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদেরও।

আর মানবিকতার খাতিরে সেই দিক থেকে রাজুর জন্য বিকল্প রোজগারের রাস্তা ভাবছে প্রশাসন। কয়েকদিন আগেই বেআইনি নির্মাণ ও সরকারি জায়গায় জবরদখল যাঁরা করে রেখেছেন তাঁদেরকে উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আর তারপরেই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়।

আরও পড়ুন: ‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’-এ আমিরের দাদা হয়ে আত্মপ্রকাশ-জনপ্রিয়তা, একটি ভুলের জন্যে কেরিয়ার ডুবে শেষ! কী জানেন?

রাজুর দুই কন্যা একজন দ্বিতীয় শ্রেণির, অন্যজন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। সরকারি নির্দেশিকাকে না বুঝেই দোকানের সামনে বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে তারা। রাজু দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জায়গার উপর নিজের তেলেভাজার দোকান চালিয়ে আসছিলেন। আর ঠিক চোখের সামনে রাজু তাঁর নিজের দোকানকে ভেঙে যেতে দেখে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বারবার বলছিলেন হতাশার কথা।

সৌভিক রায়

Footpath Eviction: মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পর ফুটপাত খালি করতে অতি তৎপর প্রশাসন, চোখে জল হকারদের

উত্তর ২৪ পরগনা: রাস্তার পাশের ফুটপাত দখল করেই চলছিল দোকান। কারোর দোকানের বয়স ২০ বছর তো কারোর আবার ৩০। এই দোকানের ভরসাতেই হকারদের সংসার চলে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাম্প্রতিক এক প্রশাসনিক বৈঠকে। তারপরই দখল হয়ে যাওয়া ফুটপাত ফিরিয়ে আনতে অতি তৎপর হয়ে উঠেছে জেলা প্রশাসন। আর তাতেই চোখে জল অসহায় হকারদের।

দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করে এসেছেন হকাররা। ফুটপাতে বসার ক্ষেত্রে তাঁরা কারোর অনুমতি নেননি। যা এক অর্থে বেআইনি কার্যকলাপের মধ্যে পড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলতে চলতে গোটা বিষয়টায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এতদিন পুলিশ বা প্রশাসন কেউ আপত্তিও করেনি। এদিকে জেলা প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর দোকান ভেঙে দেওয়ায় আকুল পাথারে পড়েছেন হকাররা।

আর‌ও পড়ুন: দখল করা জলাভূমিও উদ্ধার করবে জেলা প্রশাসন! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই শুরু অভিযান

হঠাৎই মাত্র কয়েক ঘণ্টার নোটিশে ফুটপাত দখল মুক্ত করা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। আর তাতে ঘোরতর সমস্যায় পড়েছেন রাস্তার ধারে অস্থায়ী ছাউনি দিয়ে বিভিন্ন অস্থায়ী দোকানের মাধ্যমে পেট চালানো ছোট ব্যবসায়ী ও হকাররা। চোখের সামনেই বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে জীবিকার আস্তানা। এরপর কী হবে, সংসার চলবে কি করে? কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। বিকল্প ব্যবস্থা না করেই এভাবে বিধাননগর, সল্টলেক এলাকায় ফুটপাত দখল মুক্ত করায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় শতাধিক ছোট ব্যবসায়ী।

এদিকে এতদিন কিছু না বলে হঠাৎ করে কেন হুঁশ ফিরল প্রশাসনের তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সল্টলেকের নাগরিকরা। এই ছোট ব্যবসায়ী ও হকাররা যখন ফুটপাতে বসেছিলেন তখন কেন প্রশাসন বাধা দেয়নি সেই প্রশ্ন তুলছেন নাগরিকরা। ফুটপাতে দোকান করে ব্যবসা চালানো এইসব ব্যবসায়ীদের দাবি, বিকল্প একটা কোন‌ও ব্যবস্থা করে তবেই প্রশাসনের তরফ থেকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা গ্রহণযোগ্য হত।

এদিন উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায় স্থানীয় ওই সকল ব্যবসায়ীদের। বিধাননগর দক্ষিণ থানার ১৬ নম্বর ট্যাঙ্ক লাগোয়া কেবি ব্লকের ফুটপাতের উপর বেআইনি দোকানগুলোকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে বিধাননগর পুরনিগম এবং দক্ষিণ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। অপরদিকে, নিউটাউন কোল ভবন সংলগ্ন ফুটপাতের উপর অবৈধ দোকানগুলোকেও ভেঙে ফেলা হচ্ছে এনকেডিএ কর্তৃপক্ষ এবং নিউটাউন থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। উচ্ছেদ ঘিরে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনীকে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Hawker Protest: হকার বিক্ষোভে তপ্ত ব্যান্ডেল, আরপিএফের বিরুদ্ধে মাল আটকে রাখার অভিযোগ

হুগলি: হকারদের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ব্যান্ডেল স্টেশন চত্বর। তাঁদের জরিমানা করা ও জিনিসপত্র আটকে রাখার প্রতিবাদে ক্ষোভে হেটে পড়েন হকাররা। বিক্ষোভ দেখান ব্যান্ডেল আরপিএফ অফিসে। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে কয়েকশো হকার বিক্ষোভে সামিল হন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হকারদের দাবি, অন্যায়ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে আরপিএফ, জরিমানা আদায় করছে। তার‌ই প্রতিবাদে ব্যান্ডেল আরপিএফ অফিসের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা।

হকার বিক্ষোভের এই ঘটনার সূত্রপাত বুধবার থেকে। ওইদিন ১৭ জন হকারকে ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে আটক করে আরপিএফ। ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা করে প্রত্যেককে জরিমানা করা হয়। টাকা দিলে তবেই ওই হকারদের আরপিএফ ছাড়ে বলে অভিযোগ। যদিও তাঁদের জিনিসপত্র আটকে রাখার অভিযোগ আন্দোলনরত হকারদের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এরই প্রতিবাদে ব্যান্ডেল আরপিএফ অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন হকাররা।

আরও পড়ুন: বাড়ি ফেরাই কাল হল পরিযায়ী শ্রমিকের, মামারবাড়ি যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় তরুণের মৃত্যু

স্থানীয় দেবানন্দপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য পীযুষ ধর আরপিএফ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। ওই তৃনমূল নেতা জানান, কয়েকশো হকার দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনে হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। চা, জল থেকে শুরু করে নানা ধরনের খাবার খুব অল্প পয়সায় বিক্রি করে কোন‌ওরকমের সংসার চালান। এই হকারদের বিরুদ্ধে আরপিএফ এর আগেও ব্যবস্থা নিয়েছিল। সে সময় আন্দোলন হয়েছিল। তারপর কিছুদিন আরপিএফের অত্যাচার বন্ধ ছিল। আবার আরপিএফ সক্রিয় হয়ে হকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাঁদের জিনিসপত্র আটকে রাখছে। এসব বন্ধ না হলে তীব্র আন্দোলন হবে।

এদিকে ব্যান্ডেল আরপিএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত এসি কামরায় উঠে পড়ছেন হকাররা। এই নিয়ে যাত্রীরা অভিযোগ করেছে। তাই হকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রাহী হালদার

Hawker Protest: রেল লাইনে শুয়ে পড়ার হুমকি ব্যবসায়ীদের! কারণ শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও

উওর ২৪ পরগনা: অমৃত ভারত প্রকল্পে অত্যাধুনিক রূপ পাওয়ার পথে সীমান্ত শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন বনগাঁ। সেই কাজ চলছে। কিন্তু অত্যাধুনিক স্টেশন তৈরির সেই পরিকল্পনাই এবার বাঁধার মুখে। স্টেশনের হকার ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে জটিল হয়ে উঠল পরিস্থিতি।

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র বনগাঁ সংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে এদিন বনগাঁ স্টেশনে মিছিল করে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন শ্রমিক সংগঠনটির জেলা সভাপতি নারায়ণ ঘোষ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বনগাঁ স্টেশনে হকারি করে আসাদের আধুনিকীকরণের নামে উচ্ছেদ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্টেশন এলাকার বাইরে টোটো-অটোর স্ট্যান্ড’ও সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ রেলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান। কোন‌ওরকম আগাম আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ করে রেলের এমন সিদ্ধান্তেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে স্টেশন এলাকার যাত্রী, পরিবহণ ব্যবসায়ী ও হকারদের মধ্যে।

আরও পড়ুন: কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মভিটেতে আসতে পারেন আপনিও, রয়েছে থাকার জায়গা

এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে এতদিনের ব্যবসায় এভাবে আঘাত নেমে আসায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কয়েকশো স্থানীয় ব্যবসায়ী। এখন কীভাবে সংসার চলবে সেটা বুঝে পাচ্ছেন না তাঁরা। এরই প্রতিবাদে আইএনটিটিইউসি’র পক্ষ থেকে রেলের আধিকারিকদের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। রেল এই হকার ও প্রান্তিক পরিবহণ ব্যবসায়ীদের কথা না ভাবলে আগামী দিনে ১০ হাজার লোক নিয়ে আন্দোলনের হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। রেল লাইনে শুয়ে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখানোর কথাও বলা হয়।

বনগাঁ স্টেশনে হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা নারায়ণ ঘোষ বলেন, রেলের এই দ্বিচারিতা আমরা মানব না। স্টেশন এলাকার হকার ভাইদের কোন‌ও নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছে, কোনরকম আলোচনা ছাড়াই। এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে আমাদের তরফে। রেলকে অবিলম্বে বিষয়টি দেখারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। নাহলে আগামীতে বড় আন্দোলন গড়ে উঠবে বলে তিনি জানান। এই বিষয়ে রেলের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার এম কে বসাক জানান, রেলের উন্নয়নের স্বার্থে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় বনগাঁ স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। তাই প্রথম পর্যায়ে স্টেশন লাগোয়া যে সমস্ত দোকান ছিল তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যে সমস্ত টোটো-অটো স্ট্যান্ড ছিল স্টেশনের বাইরে তাদেরকেও আপাত সরে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তীকালে বনগাঁ স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হলে তাঁদেরকে আবারও পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে আনা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। এই আশ্বাস বাণী শোনার পর কিছুটা হলেও নরম হয়েছে বিক্ষোভকারীদের সুর।

রুদ্রনারায়ণ রায়