কাঁধে বাক নিয়ে জেলা হাসপাতালে হাজির পাঁচ যুবক।

West Bardhaman News : কাঁধে বাক নিয়ে জেলা হাসপাতালে হাজির ৫ যুবক! কান্ড দেখে হাততালি দিচ্ছেন সবাই

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : শ্রাবণ মাসে কাঁধে বাক নিয়ে পাঁচজন যুবক বেরিয়ে পড়েছিলেন বাড়ি থেকে। তারপর প্রায় ৫০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে তারা পৌঁছে যান গন্তব্যে। এর মধ্যে আহামরি কিছু ছিল না। কিন্তু তাদের গন্তব্যে ছিল আসল চমক। কারণ কাঁধে বাঁক নিয়ে তারা শ্রাবণ মাসে কোনও শিব মন্দিরে হাজির হননি। পাঁচজন যুবক পৌঁছে যান আসানসোল জেলা হাসপাতালে। কিন্তু হঠাৎ জেলা হাসপাতাল কেন? কারণ জানলে হাততালি দেবেন আপনিও।

পাণ্ডবেশ্বরের বাসিন্দা পাঁচ যুবক শিব সেবার জন্য নিয়েছিলেন একদম অন্যরকম উদ্যোগ। জীব সেবার মাধ্যমে শিবসেবার রাস্তা খুঁজে নিয়েছেন তারা। কাঁধে বাক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন সেই বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে। তারপর পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আসানসোল জেলা হাসপাতালে গিয়ে রক্তদান করেছেন ওই পাঁচ যুবক। কাঁধে যে বাঁক তারা ব্যবহার করেছেন, তার মধ্যে রক্তদান নিয়ে সচেতনতার বার্তা লেখা ছিল।

আরও পড়ুন : জুনিয়রদের কর্মবিরতি সমর্থন করে রোগীদের স্বার্থে বড় দায়িত্বে সিনিয়র ডাক্তররা, দেখুন

ওই পাঁচ যুবক বলছেন, শ্রাবণ মাসে শিবলিঙ্গের অভিষেক করানো একটা বড় উৎসব। পূণ্য অর্জনের আশায় শ্রাবণ মাসে বহু মানুষ এই উৎসবে শামিল হন। তেমনভাবেই রক্তদান একটা বড় উৎসব হওয়া উচিত। কিন্তু বহু মানুষ এখনও এই বিষয়ে সচেতন হতে পারেন নি। রক্তদানের জন্য স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা এখনও অনেকটাই কম। যার ফলে রক্ত সংকট দেখা দেয়। কিন্তু রক্তদানের মাধ্যমে বহু জীবন বাঁচানো সম্ভব। সমাজের স্বার্থে এই সেবা শিব সেবার সমান।

আরও পড়ুন : মহকুমা হাসপাতালকে সুরক্ষা এবং পরিছন্নতা দিতে এগিয়ে এল শহরের দুই বেসরকারি হাসপাতাল

আসানসোল জেলা হাসপাতালে ওই পাঁচ যুবককে দেখে প্রথমেই অনেকে অবাক হন। কিন্তু তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের ইনচার্জ সঞ্জিত চ্যাটার্জী। তিনি বলছেন, এইভাবে মানুষ রক্তদানের প্রতি সচেতন হলে বহু রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে। কারণ একজন সুস্থ মানুষ রক্ত দিলে, একটা অসুস্থ জীবনকে যেমন সুস্থ করে তোলা যায়। রক্তদানের ফলে দাতারও শারীরিক কোনও সমস্যা হয় না।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

তাই এই বিষয়ে মানুষের মধ্যে আরও সচেতনতা প্রয়োজন। যার জন্য এই ৫ যুবকের উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয়।

নয়ন ঘোষ