রামপুরহাট

Viral: একই শহর চলছে ‘চার’টি সময়ে! এটাও কী সম্ভব? রামপুরহাটের এই ঘটনায় অবাক সকলে

রামপুরহাট: বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত রামপুরহাট শহর। রামপুরহাটের প্রাণ কেন্দ্র পাঁচমাথা মোড়। রামপুরহাট পাঁচ মাথার ঘড়িস্তম্ভের ঘড়ির বারোটা বেজে গিয়েছে। কোটি টাকার ঘড়িতে ভুল সময় দেখতে হচ্ছে শহরবাসীকে। শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচমাথা মোড়ে ভুল সময় দিচ্ছে দামি ঘড়িস্তম্ভের ঘড়ি।

২০১৮ সালে ঘটা করে শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচ মাথায় লাগান হয়েছিল সৌন্দর্যায়নের জন্য ঘড়ির স্তম্ভের ঘড়ি। একদিকে সৌন্দর্যায়ন অন্যদিকে সময় দেখা তা আজ বিফল। ঘড়িস্তম্ভের ঘড়ির চারদিকে চার রকম সময়। চারদিকে দূর থেকে নজর রাখলে কোনওটাতে ১২টা, কোনওটায় ৯টা কোনওটাতে আবার ৬ টা। অর্থাৎ একই সময়ে চার রকম সময়।

প্রহর যাওয়ার পরেও সময় পেরিয়ে কাছে এসেও দেখছেন সেই পৌনে ন’টাই। সেই একই সময় দেখে অনেকেই হতবাক। রামপুরহাট শহরে আসা বাইরের মানুষজনও ঘড়ি স্তম্ভের সময় দেখে নিজেদের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অবাক হয়েছেন। ভুল সময় দিচ্ছে রামপুরহাট শহরে সৌন্দর্যায়নের অন্যতম ঘড়িস্তম্ভ। কোটি টাকা ব্যয়ে সুউচ্চ ঘড়িস্তম্ভটি তৈরি হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ বর্ষায় নিয়মিত খান এই গোল সবজি, লোহার মতো শক্ত হাড়! পুজোর আগেই মেদ ঝরে চাবুক ফিগার

স্তম্ভের ঘড়িগুলি বর্তমানে বিকল। ১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ঘড়িস্তম্ভের উদ্বোধন হয়েছিল। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ণ পর্ষদ থেকে এই ঘড়িস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।প্রথম থেকেই ঘড়িস্তম্ভের চারদিকের চারটি ঘড়ির চাররকম সময় নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। ঘড়িস্তম্ভ রামপুরহাট পুরসভাকে হস্তান্তর করেছে।রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত জানান, ‘ঘড়িটি মেরামতের জন্য ইঞ্জিনিয়ার এর সঙ্গে কথা হয়েছে এবং খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে তার ব্যবস্থা চলছে।’

পুরসভা দায়িত্ব নেওয়ার পরেও ঘড়িস্থম্ভের সময় নিয়ে বিভ্রান্তিতে এলাকাবাসী ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। স্থানীয় তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪২ ফুট উচ্চতার ঘড়িস্তম্ভের সর্বোচ্চ চূড়া এবং ঘড়ি স্তম্ভের বিভিন্ন ধাপে আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। ঘড়িস্তম্ভ নির্মাণের সময় থেকে অস্থায়ী বিদ্যুৎসংযোগ নিয়ে নির্মাণকারী সংস্থা কাজ করেছিল। পুরসভা থেকে সেই বিদ্যুৎ বিল মেটানো হয়। আলো জ্বললেও ঘড়ির সময়ে গোলমাল দেখা দিচ্ছে বারবার।

সৌভিক রায়