পড়ুয়ারা

School Homework: স্কুলের হোম ওয়ার্ক গাছের চারা তৈরি! কোথায় দেখা গেল এমনটা?

আলিপুরদুয়ার: এ এক অন্য ধরণের হোম ওয়ার্ক। খাতায় কিছু লিখে স্কুল শিক্ষকের কাছে জমা করার প্রশ্ন নেই, বরং এই হোম ওয়ার্কের মধ্য দিয়ে প্রকৃতির কাছাকাছি চলে যেতে পারছে পড়ুয়ারা। কিন্তু কোথায় হচ্ছে এমনটা?

হ্যামিল্টনগঞ্জ স্কুলের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রকৃতিকে চিনে পড়ুয়াদের হোম ওয়ার্ক করানোর উদ্যোগ। পড়ুয়ারা ভীষণভাবেই খুশি খোলা হাওয়াতে প্রকৃতিকে জানতে পেরে। নিজেদের উদ্যোগে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা সহ অন্যান্য গাছের চারা নিয়ে বন দফতরের হাতে তুলে দিচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: সুন্দরবনকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা

জঙ্গলে যাতে খাবারের অভাব না হয় এবং হাতি, বাঁদরের মত বন্যপ্রাণীরা যাতে খাবারের লোভে লোকালয়ে না আসে সেই লক্ষ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই ফলের চারা গাছ তারা তুলে দিচ্ছে। এদিন বন দফতরের কর্মীদের উপস্থিতিতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে বেশ কিছু চারা গাছ নিজেরাই রোপণ করে পড়ুয়ারা। সম্প্রতি দেড় মাস ধরে চলা গরমের ছুটিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে গ্রীষ্মকালীন ফলের চারা তৈরির ‘হোম ওয়ার্ক’ দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন ক্লাসের পড়ুয়াদের। তাতেই কেউ আম, কেউ কলা তো আবার কেউ কাঁঠাল সহ অন্যান্য ফলের চারা তৈরি করেছে।

ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে খাবারের লোভে লোকালয়ে চলে আসে হাতি, বাঁদরের মত বন্যপ্রাণী। লোকালয়ে তাদের তাণ্ডব রুখতে পড়ুয়াদের তৈরি চারা গাছ জঙ্গলে রোপনের ভাবনা স্কুল কর্তৃপক্ষের। যাতে ভবিষ্যতে খাবারের অভাব না হয়। এমন উদ্যোগ এর আগে কখনও ব্লকে নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা। এই বিষয়ে উত্তর লতবাড়ি যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির সদস্য রবি মুর্মু বলেন, ‘পড়ুয়া ও স্কুল কর্তৃপক্ষের এরূপ উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। আগামীতে যাতে বাকিরাও এরূপ উদ্যোগ নেয়, এটাই চাইব।

অনন্যা দে