Tag Archives: Rampurhat

Birbhum News: জলের তলায় ব্রিজ, সাঁইথিয়ার সঙ্গে রামপুরহাটের যোগাযোগ বন্ধ

বীরভূম: ভয়াবহ বর্ষণ বীরভূমে আর তার জেরেই আচমকায় ময়ূরাক্ষী নদীতে বাড়ল জলস্তর। আর এই জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর ভেঙে গেল একাধিক ফেরিঘাট।  সমস্যায় পড়ল নিত্যযাত্রীরা।

প্রসঙ্গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু-দিন ধরে হয়েছে টানা বৃষ্টিপাত আর তারপরেই তিলপাড়া জলাধার থেকে ময়ূরাক্ষী নদীতে ছাড়া হয়েছে জল।শনিবার সকালে তিলপাড়া জলাধার থেকে ময়ূরাক্ষী নদীতে প্রায় ৫০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে খবর।আর এই জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর ভেঙে গেল একাধিক অস্থায়ী ফেরিঘাট।

আরও পড়ুন – Paris Olympics 2024: লড়েও হার দীপিকা কুমারী, কোরিয়ান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়

মূলত ময়ূরেশ্বরের দিক থেকে সাঁইথিয়া শহর যাওয়ার জন্য খুব সহজেই পারাপার করা যেত ভাবঘাটি পীরতালা ফেরিঘাট ও সাঁইথিয়া তালতলার ফেরিঘাট হয়ে, তবে শুক্রবার মধ্যরাতে আচমকায় ময়ূরাক্ষী নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার কারণে সেই ফেরিঘাট দুটি এখন জলের তলায়। যার ফলে যাতায়াতের সমস্যার মুখে পড়েছে নদীর দুই প্রান্তের মানুষজন।শুক্রবার মধ্য রাত থেকে জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে মোটরবাইক থেকে আরম্ভ করে যে কোনও যানবাহন চলাচল।

কেবলমাত্র ঝুঁকিপূর্ণভাবে সাঁইথিয়া রেল ব্রিজের উপর হয়ে মানুষজন পায়ে হেঁটে ও সাইকেল নিয়ে পারাপার করছেন।পাশাপাশি ঠিক একইভাবে বছর দুই তিন থেকে ভগ্ন দশা নিয়েছে সাঁইথিয়া নতুন ব্রিজ আর তারপর থেকেই একরকম যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নতুন ব্রিজের উপর দিয়ে।

সেই ব্রিজে এখন কাজের জন্য একরকম বন্ধ করা হয়েছে যান চলাচল।তবে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নতুন ব্রিজের উপর হয়ে হেঁটে পারাপার করছে মানুষজন। যদিও আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় ভারী বর্ষণের আভাস রয়েছে। যদি এদিন সন্ধ্যের পর থেকে আবারবৃষ্টিপাত শুরু হয় তাহলে আরও বহু সমস্যার সম্মুখীন হবেন এলাকার মানুষজন।

Souvik Roy

Viral: একই শহর চলছে ‘চার’টি সময়ে! এটাও কী সম্ভব? রামপুরহাটের এই ঘটনায় অবাক সকলে

রামপুরহাট: বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত রামপুরহাট শহর। রামপুরহাটের প্রাণ কেন্দ্র পাঁচমাথা মোড়। রামপুরহাট পাঁচ মাথার ঘড়িস্তম্ভের ঘড়ির বারোটা বেজে গিয়েছে। কোটি টাকার ঘড়িতে ভুল সময় দেখতে হচ্ছে শহরবাসীকে। শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচমাথা মোড়ে ভুল সময় দিচ্ছে দামি ঘড়িস্তম্ভের ঘড়ি।

২০১৮ সালে ঘটা করে শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচ মাথায় লাগান হয়েছিল সৌন্দর্যায়নের জন্য ঘড়ির স্তম্ভের ঘড়ি। একদিকে সৌন্দর্যায়ন অন্যদিকে সময় দেখা তা আজ বিফল। ঘড়িস্তম্ভের ঘড়ির চারদিকে চার রকম সময়। চারদিকে দূর থেকে নজর রাখলে কোনওটাতে ১২টা, কোনওটায় ৯টা কোনওটাতে আবার ৬ টা। অর্থাৎ একই সময়ে চার রকম সময়।

প্রহর যাওয়ার পরেও সময় পেরিয়ে কাছে এসেও দেখছেন সেই পৌনে ন’টাই। সেই একই সময় দেখে অনেকেই হতবাক। রামপুরহাট শহরে আসা বাইরের মানুষজনও ঘড়ি স্তম্ভের সময় দেখে নিজেদের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অবাক হয়েছেন। ভুল সময় দিচ্ছে রামপুরহাট শহরে সৌন্দর্যায়নের অন্যতম ঘড়িস্তম্ভ। কোটি টাকা ব্যয়ে সুউচ্চ ঘড়িস্তম্ভটি তৈরি হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ বর্ষায় নিয়মিত খান এই গোল সবজি, লোহার মতো শক্ত হাড়! পুজোর আগেই মেদ ঝরে চাবুক ফিগার

স্তম্ভের ঘড়িগুলি বর্তমানে বিকল। ১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ঘড়িস্তম্ভের উদ্বোধন হয়েছিল। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ণ পর্ষদ থেকে এই ঘড়িস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।প্রথম থেকেই ঘড়িস্তম্ভের চারদিকের চারটি ঘড়ির চাররকম সময় নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। ঘড়িস্তম্ভ রামপুরহাট পুরসভাকে হস্তান্তর করেছে।রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত জানান, ‘ঘড়িটি মেরামতের জন্য ইঞ্জিনিয়ার এর সঙ্গে কথা হয়েছে এবং খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে তার ব্যবস্থা চলছে।’

পুরসভা দায়িত্ব নেওয়ার পরেও ঘড়িস্থম্ভের সময় নিয়ে বিভ্রান্তিতে এলাকাবাসী ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। স্থানীয় তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪২ ফুট উচ্চতার ঘড়িস্তম্ভের সর্বোচ্চ চূড়া এবং ঘড়ি স্তম্ভের বিভিন্ন ধাপে আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। ঘড়িস্তম্ভ নির্মাণের সময় থেকে অস্থায়ী বিদ্যুৎসংযোগ নিয়ে নির্মাণকারী সংস্থা কাজ করেছিল। পুরসভা থেকে সেই বিদ্যুৎ বিল মেটানো হয়। আলো জ্বললেও ঘড়ির সময়ে গোলমাল দেখা দিচ্ছে বারবার।

সৌভিক রায়

Bengal Micro Artist: ফেলে দেওয়া প্যারাসিটামল দিয়ে অবিশ্বাস্য কাজ করলেন বীরভূমের যুবক, আন্তর্জাতিক পুরস্কার এল ঝুলিতে

বীরভূম: নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ তারিখ পেরিয়ে যাচ্ছে বলে ফেলে দেন সকলেই। জানেন কি এই ওষুধ দিয়েই তৈরি হচ্ছে দারুণ জিনিস তৈরি করছেন এই বাংলারই যুবক। দেখলে রীতিমত চমকে উঠবেন।

ফেলে দেওয়া প্যারাসিটামল অথবা অন্যান্য ওষুধ দিয়ে বীরভূমের রামপুরহাটের প্রসেনজিৎ মণ্ডল তৈরি করছেন মাইক্রো আর্ট। এমনকি তিনি মাইক্রো আর্ট শিল্পী হিসাবে ‘ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে’ নাম তুলেছেন। নিষ্ঠা, ধৈর্য ও কঠোর প্রচেষ্টাকে কাজে লাগিয়ে কখনও মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্যাবলেট খোদাই করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দশভূজা দুর্গা মা দুর্গা, গণেশের মূর্তি, কখনও আবার একটি চালের ওপর টাইটানিক জাহাজ।

বিস্ময়কর মাইক্রো আর্টে একের পর এক বিশ্ব রেকর্ড। গত ২২ মে ‘ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’-এর ‘বেস্ট মাইক্রো স্কাল্পচার আর্টিস্ট’-এর খেতাব জিতে নিলেন শিল্পী। আর্ট কলেজের ডিগ্রি ছাড়াই একের পর এক রেকর্ড। তাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত সৃষ্টি দর্শকদের নজর কাড়ে। ঝুলিতে এসেছে একাধিক পুরস্কার ও সম্মান। বীরভূমের রামপুরহাট থানার প্রত্যন্ত বাধাগ্রামের সেই শিল্পী প্রসেনজিৎ মণ্ডলের তৈরি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র শিল্প কর্ম। ২০২৩ সালে সারা ভারত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানঅধিকার করে মাত্র ১.৪সেন্টিমিটারের মেয়াদ পেরানো প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সূক্ষভাবে খোদাই করে মহিষাসুরমর্দিনী দূর্গা তৈরি করেছিলেন ৩২ বছরের প্রসেনজিৎ।

২০২৩ সালে ম্যাজিক বুক অফ রেকর্ডস, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস, ২০২৪ সালে লন্ডন বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলেন। ২০২৩ সালে অগস্ট মাসে হরিয়ানার একটি সংস্থা অনলাইনের মাধ্যমে সারা ভারত মাইক্রো আর্ট প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রসেনজিৎ ট্যাবলেটের উপর মহিষাসুরমর্দিনীর শিল্পকর্ম ওই প্রতিযোগিতায় পাঠান। ওই প্রতিযোগিতার ফলাফলে দেশের ২০ রাজ্যের প্রতিযোগীদের হারিয়ে প্রথম হয়েছেন প্রসেনজিৎ।

আরও পড়ুন: স্নানের সময়ে শরীরের এই ৫ অংশ না ধুলেই বিপদ…! দুর্গন্ধ পিছু ছাড়বে না, বাড়বে রোগের আশঙ্কা

ফুচকা বিক্রেতার ছেলে প্রসেনজিৎ প্রথাগত শিল্পকর্ম শিক্ষা পাননি। তাঁর শিল্পকর্মের হাতেখড়ি মাধ্যমিক স্তরে স্থানীয় জয়কৃষ্ণপুর হাইস্কুলে। পরবর্তীতে স্নাতক স্তরে অনুত্তীর্ণ প্রসেনজিৎ কাঁথি চলে যান। ডেকরেটার্সের কাজ করতেন সেখানে।

সেখানে গিয়ে ২০১১ সাল থেকে মণ্ডপ শিল্পী মুকুল দলুইয়ের কাছে কাজ শিখে ২০১৪ সালে রামপুরহাটে নিজের গ্রামে ফিরে এসে নিজেই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে থিমের কাজ শুরু করেন। রামপুরহাট ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চন্দ্রযান থ্রি থিমের পুজো মণ্ডপ তৈরি করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। গত বছর দুর্গাপুজোর এই চন্দ্রযান থ্রি প্যান্ডেল বিভিন্ন জায়গায় খ্যাতি অর্জন করেছে।

বর্তমানে প্রসেনজিৎ রামপুরহাট, বীরভূম জেলা এবং জেলার বাইরে নানা মণ্ডপে শিল্পকর্ম বিভিন্ন ভাবে ফুটিয়ে তুলছেন। তাঁর সুক্ষ শিল্পকর্ম ইতিমধ্যে ছ’টি পুরস্কার পেয়েছে। অনলাইনে মাইক্রো আর্টে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের বেস্ট মাইক্রো স্কাল্পচার আর্টিস্ট খেতাব জিতে প্রসেনজিতের মুকুটে নতুন পালক। গুজরাত থেকে এই সম্মান পান তিনি।তাঁর এই সাফল্যে খুশি তার পরিবারের লোকজন, আত্মীয়স্বজন এবং এলাকার বাসিন্দারা।

সৌভিক রায়

Unidentified Body: রামপুরহাট স্টেশনের যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ, পরনে শুধু প্যান্ট

বীরভূম: সাত সকালে রামপুরহাট স্টেশনের যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে উদ্ধার হল অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ। বছর ৪২-এর ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। রেলযাত্রীরাই প্রথম দেহটি দেখতে পান।

বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে ওই অজ্ঞাত পরিচিত ব্যক্তির দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। সকাল ১০:৪৫ নাগাদ সেটি প্রথম যাত্রীদের নজরে আসে। তাঁরা খবর দেন জিআরপি-কে। তারা এসে চিকিৎসককে খবর দেয়। চিকিৎসক এসে ওই অজ্ঞতাপরিচয় ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে জানান তিনি মারা গিয়েছেন।

আর‌ও পড়ুন: ডান-বামে হ্যান্ডশেক, বঙ্গ রাজনীতির সেরা ছবি

এরপর জিআরপি দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের তদন্তের জন্য রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে পাঠায়।প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির পরনে শুধুমাত্র শুধু প্যান্ট ছিল, কোনও জামা পরে ছিলেন না। তবে তাঁর কাছে একটি বড় ব্যাগ এবং একটি সাইড ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। বড় ব্যাগের মধ্যে ব্যবহৃত বেশ কিছু জামা-কাপড় ছিল। আর সাইড ব্যাগের ভিতর বিভিন্ন কাগজপত্র এবং টাকা-পয়সা উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ। ব্যাগের মধ্যে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এছাড়াও ঐ ব্যাগের মধ্যে একটি কার্ড পাওয়া গেছে যে কার্ডের মধ্যে লেখা রয়েছে ‘শ্যামল হালদার’ বলে একজনের নাম। তবে সেই শ্যামল হালদার এই মৃত ব্যক্তির নাম কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রেল পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তারাপীঠে পুজো দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে স্টেশনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

সৌভিক রায়