জলপাইগুড়ি: সেঞ্চুরি পার লাড্ডুর! ঘাবড়াবেন না। দামে সেঞ্চুরি পার না করলেও এবার ওজনে সেঞ্চুরি পার করেছে গণপতির প্রিয় খাবার। গণপতি বাপ্পাকে তুষ্ট করতে দু’হাত উজাড় করে দিয়েছে জলপাইগুড়িবাসী। বছর বছর বাড়ছে গণেশ ঠাকুরের পছন্দের খাবারের পরিমাণ। এবার সেঞ্চুরি করেছে লাড্ডু!
গত বছর ৫১ কেজি লাড্ডু বানিয়ে তাক লাগিয়ে এবছর ১০১ কেজি ওজনের লাড্ডু ভোগ দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু ইতিমধ্যেই। রাত পোহালেই গণেশ চতুর্থী- এর আগে জলপাইগুড়ি জেলা শহর রাজ্যে গণেশ চতুর্থী পালনে সেরকম ধুমধাম দেখা না গেলেও সময়কালে প্রতিটি জায়গায়ই গনেশ চতুর্থীতে গণেশ পুজো পালন করা হচ্ছে ধুমধাম করে।
এ যেন উমা আগমনের প্রথম আমেজ। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়িতেও জমজমকপূর্ণভাবে পুজো করা হয় গণেশ ঠাকুরের। তবে মূল চমক থাকে জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়া সার্বজনীন গণেশ পুজোয়। এখানকার পুজোয় বিরাট আয়োজনের পাশাপাশি থাকে নতুন চমক। শহরের পান্ডা পাড়া সর্বজনীন গণেশ পুজোর এবারে দ্বিতীয়বর্ষে পদার্পণ করল। পরিচালনায় রয়েছে ৪ যুব শক্তি।পুজোর আয়োজনের বয়স মাত্র দু’বছর হলেও এবারের চমক গনেশের ভোগের ১০১ কেজি ওজনের বিশালাকৃতির লাড্ডু।
এই প্রসঙ্গে গনেশ পুজোর পরিচালন কমিটির অন্যতম সদস্য শ্যাম সাহা জানান, “যেহেতু লাড্ডু গণেশ ভগবানের প্রিয়, সেই কারণেই আমরা লাড্ডুকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। এবারে ১০১ কেজি লাড্ডু গণেশ ভগবানের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হবে।”
পুজোর আরেক উদ্যোক্তা জানান, গত বছর বিপুল সংখ্যক ভক্তের ভিড় হয়েছিল। এবারেও পুজো কমিটির পক্ষ থেকে সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পুজোয় অংশ নেওয়ার জন্য। এ বছর ভিড় আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী পুজো কর্তৃপক্ষ। এদিন সকাল থেকেই পূজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই বিশালাকায় লাড্ডু প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর পর এই লাড্ডু পুজো মণ্ডপে আসা ভক্তদের হাতে হাতে প্রসাদ হিসেবে তুলে দেওয়া হবে।
Surajit Dey