সামশেরগঞ্জে গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক

Ganga Erosion: ফের ভাঙনের আতঙ্ক মুর্শিদাবাদে, ঘর ছাড়ছেন বাসিন্দারা

মুর্শিদাবাদ: ফের গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে। ভাঙনের কবলে সামসেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহরপুর গ্রাম। ইতিমধ্যেই মাটির বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় ফাটল ধরার পাশাপাশি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৫০ মিটার জমি। যে কোনও মুহূর্তে বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছাড়ছেন গ্রামবাসীরা। বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।

ভাঙনের কবলে পড়েছেন বেশি কয়েকটি পরিবার। এদিকে লাগাতার একে একে বিভিন্ন গ্রাম গঙ্গার গ্রাসে তলিয়ে যেতে থাকায় কার্যত ক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। ভাঙন প্রতিরোধে সরকারকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: জ্যান্ত তক্ষক পাচার করতে গিয়ে বনকর্মীদের হাতে ধৃত ২

মুর্শিদাবাদ জেলার জলন্ত এক সমস্যা গঙ্গা ভাঙন। বিশেষ করে জঙ্গিপুর মহকুমার লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ-২, সুতি-১ ও সামসেরগঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভাঙনের সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করেছে। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি থেকে জমি, বাগান। সেই আতঙ্কের মাঝেই সোমবার রাতে লোহরপুরে বেশ কিছুটা অংশে গঙ্গার পার ধসে যায়। এতেই ভাঙনের আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। অনেকেই ভাঙনের আশঙ্কায় ঘর-বাড়ি ছেড়ে জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয়দের এও দাবি, এলাকায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধের যে কাজ শুরু হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। এই ভাঙন রোধের কাজ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

ভাঙনে সবকিছু তলিয়ে যেতে পারে আশঙ্কা করেই গ্রামবাসীরা আগে থেকেই বাড়ির জানালার গ্রিল থেকে গেটের শাটার সমস্ত কিছুই ভাঙতে শুরু করেছেন। মহিলা সদস্যরা ঘর থেকে শেষ সহায় সম্বল সড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সময় যত এগোতে থাকে গঙ্গা ভাঙনের রূপও তত ভয়াবহ হতে থাকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গঙ্গা এগিয়ে আসে বাড়িটিকে গিলে খেতে। সেই সময়ে যতটুকু সম্ভব ঘর থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যেতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা।

কৌশিক অধিকারী