ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের জমি পরিদর্শন করে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি সুকান্তর

South Dinajpur News: হিলি স্থলবন্দরে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট! পরিদর্শনে সাংসদ

দক্ষিণ দিনাজপুর: আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর হিলিতে আইসিপি বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট ও রেল স্টেশন একই চত্বরে গড়ে ওঠার কথা। এর জন্য জমি চিহ্নিতকরণ ও অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আর সেই কাজেরই তদারকি করতে হাজির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি স্থানীয় সাংসদ’ও। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বললেন বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে।

কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের সাতটি আমদানি-রফতানি বাণিজ্য কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটি বাণিজ্য কেন্দ্রের আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করা হবে। ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত তালিকায় নাম রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বাণিজ্য বন্দর হিলি’র। ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার লক্ষ্য, উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু রফতানি বাণিজ্য কেন্দ্রের উন্নয়ন সাধন এবং আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা। ইতিমধ্যেই জমি চিহ্নিত করে তা কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।

আরও পড়ুন: রুটি-রুজির টানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার

হিলিতে কেন্দ্রীয় সরকার আইসিপি তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে ১০০ বিঘা জমি চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার ২৫ একর অর্থাৎ ৭৫ বিঘা জমি দিয়েছে। আইসিপির পাশেই হিলি রেলস্টেশন হবে। এর জন্য মোট ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি। জমি ক্রয় করার সেই কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, ইন্টিগ্রেটেড ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও রেল স্টেশন গড়ে উঠলে আমূল বদলে যাবে হিলির আর্থসামাজিক পরিস্থিতি। কর্মসংস্থান হবে স্থানীয় বেকার যুবকদের। দ্রুত যাতে কাজ শেষ করা যায় সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।

দীর্ঘদিনের অবহেলিত হিলি স্থলবন্দরে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট চালু হয়ে গেলে আমদানি বাণিজ্য আরও বাড়বে। আমদানি করা যাবে ইলিশ মাছ সহ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে যা এখন করা হয় না। ভারত থেকে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্য যায়। ওপার বাংলার হিলি চেকপোস্টে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট রয়েছে, সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাংলাদেশে খাদ্যদ্রব্য পাঠানো যায়। কিন্তু এপার বাংলায় বাণিজ্য বন্দর থাকলেও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নেই।

ইন্টিগ্রেটেড ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হলে একই ছাদের তলায় সমস্ত রকম পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষার ল্যাব যাত্রীদের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ সমস্ত পরিকাঠামো গড়ে উঠবে এখানে। দীর্ঘদিনের অবহেলিত হিলি স্থল বাণিজ্য কেন্দ্রে এই সুবিধাগুলো গড়ে উঠলে জেলার অর্থনীতিতেও তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।

সুস্মিতা গোস্বামী