বসিরহাটের সংগ্রামপুরের প্রাচীন কালি মন্দিরের ইতিহাস জানুন

Historical Kali Temple: এক কিলোমিটারের মধ্যে আর কেউ পুজো করতে পারে না! সংগ্রামপুরের প্রাচীন কালী মন্দিরের পরতে পরতে জড়িয়ে ইতিহাস

উত্তর ২৪ পরগনা: এক মাইলের মধ্যে অন্য কোথাও কালীপুজো হয় না। বসিরহাটের সেই বিখ্যাত কালী মন্দিরের ইতিহাস জানুন। ভক্তদের বিশ্বাস, মা কালী এখানে লালপাড় শাড়ি পরে ভক্তদের খোঁজ নিতে গভীর রাতে গ্রামে ঘুরে বেড়ান।

আর‌ও পড়ুন: লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে কুচকুচ করে কেটে ফেলল ছাত্রীদের মাথার চুল! এ কী কাণ্ড কলেজে

বসিরহাটের সংগ্রামপুরের এই মা কালীকে ভীষণই জাগ্রত বলে মনে করেন স্থানীয়রা। শহরের গা ঘেঁষে বয়ে চলা ইছামতীর উত্তর পাড়ে মায়ের মন্দিরটি। রীতিমাফিক এক মাইলের মধ্যে কোথাও কালীপুজো করেন না এলাকার বাসিন্দারা। মটর ডালে কচুরমুখির সঙ্গে এঁচোড়-চিংড়ি ও সাদা ভাতের ভোগ রান্না হয় মাটির হাঁড়িতে। এই ভোগ‌ই মা কালীকে নিবেদন করা হয়।

ইছামতীর তীরে মোঘল বাদশার প্রতিনিধি মানসিংহের সঙ্গে বাংলাদেশের যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যের যুদ্ধ হয়েছিল। কথিত আছে, সেই থেকে এই জায়গার নাম হয় সংগ্রামপুর। সে সময়ে ইছামতীর তীরে সংগ্রামপুরে ঘন জঙ্গলের মধ্যে ছিল কালীর থান। কালীভক্ত রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ইছামতীর বুকে নৌ বিহারের সময়ে এক রাতে স্বপ্ন দেখেন, ইছামতীর উত্তর দিকের জঙ্গলের মধ্যে আলো ঠিকরে বেরোচ্ছে। তার মধ্যে দাঁড়িয়ে এক মহিলা বলছেন, এখানে কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের উদ্যোগেই জঙ্গল পরিষ্কার করে এই মন্দির তৈরি করেন গ্রামবাসীরা। শুরুতে ছিল একটা খড়ের চাল দেওয়া মন্দির। তারপর ভক্তদের দানে ও মন্দিরের উন্নয়ন কমিটির সৌজন্যে ধীরে ধীরে আজকের রূপ পায় মন্দিরটি। এছাড়াও বলিদানের জন্য ভক্তরাও অনেকেই পাঁঠা নিয়ে আসেন। সংগ্রামপুরের মন্দির নিয়ে গল্প-গাথার অন্ত নেই। আজও এখানে কালী আরাধনা চলছে। ইতিহাসের অনন্য নজির হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বসিরহাটের কালী মন্দির।

জুলফিকার মোল্লা