পায়ে হেঁটে ভারত ভ্রমণে তিন ব্যক্তি

Birbhum News: পায়ে হেঁটে পুরো ভারতবর্ষ ভ্রমণ! কীভাবে সম্ভব? জানলে চমকে যাবেন

বীরভূম: প্রত্যেকের জীবনে কত কি ইচ্ছা থাকে বলুন তো। কেউ হয়তো চায় জীবনে এমন কোনও জায়গায় পৌঁছাবে যে জায়গায় অন্য কেউ পৌঁছাতে পারে না। আবার অনেকের জীবনে ইচ্ছা থাকে ডাক্তার, অথবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। তবে নিজের পরিবার পরিজনকে ছেড়ে শুধুমাত্র জগতের মঙ্গল কামনায় এবং তার সঙ্গেএকটি বার্তা দেওয়ার জন্য নিজের বাড়ি ছেড়ে দীর্ঘ চার বছর বাইরে কাটাতে পারবেন আপনি? শুনে হয়তো ভাববেন সুখের সংসার সুখের কাজ ছেড়ে কেই বা বাইরে থাকতে যেতে পছন্দ করে। তবে হ্যাঁ অনেকেই এমন ইচ্ছার ভাগীদারি রয়েছেন।

এক দুই কিংবা পাঁচ কিংবা ১০০ কিলোমিটার নয় দীর্ঘ প্রায় কয়েকশো কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করে নিজেদের স্বপ্নপূরণ করবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তিন ব্যাক্তি। শুধু যে পায়ে হেঁটে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াবেন সেটা কিন্তু নয়। ভারতবর্ষে যতগুলি তীর্থক্ষেত্র রয়েছে সেই তীর্থক্ষেত্র ঘুরে সেখানে রাত্রি বাস করে চার বছর পরে বাড়ি ফিরবেন এই তিন ব্যাক্তি। তবে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সের এই তিন ব্যাক্তি হঠাৎ কেন পায়ে হেঁটে এত কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ভারতবর্ষের সমস্ত তীর্থক্ষেত্র ভ্রমণের শপথ গ্রহণ করলেন? কী রয়েছে এর পেছনের কারণ। তাহলে চলুন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন- শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন অমিত কৃষ্ণ গোস্বামী জানান, মঙ্গলাময়ী সেবাশ্রমের বারুইপুর থানার অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে তাদের এই যাত্রা শুরু করেন। কলকাতার কালীঘাট,দক্ষিণেশ্বর মন্দির থেকে শুরু করে বীরভূমের তারাপীঠ মা তারার মন্দির দর্শন করে নলহাটির মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তারা। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ তারিখ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে তাদের যাত্রা শুরু করেন। এখনও পর্যন্ত তারা প্রায় অনেকটাই পথ অতিক্রম করেছেন। আরও প্রায় কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন তারা। আর এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে তাদের সময় লাগবে আনুমানিক প্রায় চার বছরের কাছাকাছি।

তিনি আরও জানান, বিশ্ব মানবের কল্যাণ এর জন্য এবং পায়ে হেঁটে চলার জন্য সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য তাদের এই যাত্রা। তারা ৫১ সতীপীঠ ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ, চারধাম, কন্যাকুমারী, উড়িষ্যা, পুরি সমস্ত জায়গা দর্শন করবেন। হয় কোনওমন্দির নয়তো কোনও সহৃদয় ব্যক্তি তাদের রাত্রে থাকার জায়গা দিচ্ছেন তাদের কাছেই থাকছেন।

সৌভিক রায়