চায়ের দোকানে বৃদ্ধা নয়ন তারা মন্ডল

Hooghly News: জীবন যুদ্ধের ভরসা এক চায়ের দোকান! একটি ঘটনাতেই কেঁদে ভাসাচ্ছেন অভাবী বৃদ্ধা

হুগলি: মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিধবা হয়েছিলেন। সংসারের হাল ধরতে স্টেশনের ধারে ছোট্ট একটা গুমটি চায়ের দোকান ভরসা ছিল সেই থেকেই। পরিবারে রয়েছে পুত্রবধূ ও তার দুই নাতি। ছেলে কেও হারিয়েছেন বছর কয়েক আগে। আবার হারতে বসেছেন নিজেদের জীবনের শেষ ভরসা তার চায়ের দোকানটি ও। কীভাবে চলবে তাদের সংসার তার পর থেকে, সেই ভেবেই কেঁদেই যাচ্ছেন আটষট্টির বৃদ্ধা নয়নতারা মণ্ডল।

জবর দখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উষ্মার পর দখল মুক্ত করতে তৎপর পুরসভা। রিষড়া পুরসভা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে নামে। রিষড়া স্টেশন তিন নম্বর রেলগেটের পাশে রয়েছে নয়নতারার চায়ের দোকান। দোকান বলতে ফুটপাতে প্লাস্টিকের ছাউনির তলায় একটা উনুন আর কয়েকটা কাঁচের বয়াম। ভোর তিনটেয় দোকান খুলে রাত আটটা পর্যন্ত সেই ফুটপাতই তাঁর ঘর।

আরও পড়ুন: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পুরোপুরি ‘মুছেই’ ফেলা হল? বেহালায় বড় সিদ্ধান্ত! ফেরার পথও কি তবে শেষ?

দুপুরে নাতি ভাত নিয়ে আসে তাঁর জন্য। বাড়িতে বৌমা আর দুই নাতি। দুই নাতিই নাবালক। ছেলে বিট্টু এক যুগ আগে বাড়ি থেকে বিবাগী। মেয়ে দীপার বিয়ে দিয়েছেন শেওড়াফুলিতে। স্বামী কেষ্ট মণ্ডল টিবি হয়ে মারা যান। নয়নতারা ১৮ বছর বয়সেই বিধবা হন। সেই থেকে সংসারের ভার তাঁর কাঁধে। চল্লিশ বছর ধরে এই দোকানই তার সব।

নাতিদের পড়াশোনা,ঘর সংসার চালানো।সেই দোকানই উচ্ছেদ হবে বলে গেছে পুলিশ, পুরসভা। দোকান না থাকলে কী হবে, কী করে চলবে সেটা ভেবেই কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধা নয়নতারা মণ্ডল। রিষড়া বারুজীবী এলাকায় তাঁর বাড়ি। পুরসভার লোকজন শুক্রবার তাকে জানিয়ে দিয়ে যায়, দোকান সরিয়ে ফেলতে হবে। না হলে ভেঙে ফেলা হবে।

পুরসভার বিভিন্ন রাস্তায় জবর দখল বেআইনি পার্কিং সরাতে অভিযান শুরু হয়। শহরবাসীরা চাইছেন দখল মুক্ত হোক শহর পরিচ্ছন্ন হোক। সেই পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে নয়নতারার মত মানুষদের জীবন জীবিকা সংকটে পড়ছে।

— রাহী হালদার