জলপাইগুড়ি: মিনি টর্নেডোর পর পেরিয়ে গেছে পাঁচ দিন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুনরায় ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে ঝড়ের দাপটে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বার্নিশ গ্রাম। কিন্তু এই ঝড়ে থমকে গিয়েছে গ্রামবাদীদের রোজগারের পথ। কীভাবে চলবে সংসার? কীভাবে হবে দিন গুজরান? সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে কতদিনই বা চলবে এভাবে? এমন সব প্রশ্নে রীতিমত ঘুম উড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের।
জলপাইগুড়ির সংলগ্ন ময়নাগুড়ির বার্নিশ এবং পুটিমারি গ্রামের বাসিন্দাদের বেশিরভাগেরই উপার্জনের উপায় ছিল গাড়ি। কেউ তিন চাকা, আবার কেউ চার চাকার গাড়ি চালিয়েই দিন গুজরান করতেন। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড় টালমাটাল করে দিয়েছে সবকিছু। রোজগারের একমাত্র বাহন সেই গাড়ি ঝড়ের দমকা হাওয়ার মড়ে মুচড়ে একসা! বাকি নেই কিছুই। এক কথায় বলা যায়, মিনিট কয়েকের ঝড় চোখের পলকে ধ্বংস করে দিয়েছে বার্নিশ গ্রামের বাসিন্দাদের জীবন।
আরও পড়ুন: বিশেষ পদ্ধতিতে জৈব সার দিয়ে শসা চাষ করে অবিশ্বাস্য ফলন পান! এই গরমে হবে বিপুল আয়
গোটা এলাকায় এখনও লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। বাড়ির চাল, গাছ উপড়ে পড়ে রয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গ্রাম। বাড়ি ঘরের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু গাড়ি। গাড়ি চালিয়েই সংসার চলত এই এলাকার অনেক মানুষের। এমনই একজন দূর্গত ধনঞ্জয় রায় এবং তাঁর ভাইয়ের পরিবার। ঝড়ে গাড়ি ভেঙে যাওয়ায় একমাত্র উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল পরিবারগুলির। একদিকে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলির বর্তমানে রাত কাটছে তাঁবুতে। অন্যদিকে, উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এক কথায় গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
সুরজিৎ দে