Tag Archives: Mini Tornado

Jalpaiguri Barnish Mini Tornado: ঝড়বৃষ্টিতে সামান্য গাছের পাতা নড়লেই ভয়ে বুক কাঁপে এই গ্রামের মানুষদের! কেন জানেন?

জলপাইগুড়ি: প্রবাদ আছে,  “ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়”! এই গ্রামের বাসিন্দাদের অবস্থা যেন খানিক সেইরকমই হয়েছে। ভাবছেন কেন? জলপাইগুড়ির বার্নিশ গ্রাম! গত মার্চ মাসে এই গ্রাম এক্কেবারে তছনছ হয়ে গিয়েছিল মাত্র ২ মিনিটের মিনি টর্নেডো ঝড়ে।

ঝড়ের দাপটে উড়ে গিয়েছিল শত শত মানুষের মাথার উপরের ছাদ। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে কেটেছে দিনের পর দিন। গ্রাম জুড়ে তখন শুধুই ছিল হাহাকার, দুর্দশা, দুর্দিন, অসহায়তা। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি সামলে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে জলপাইগুড়ির বার্নিশ গ্রাম। রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় ধীরে ধীরে গ্রামে তৈরি হচ্ছে ছাদ হারাদের মাথা গোঁজার আস্তানা।

আরও পড়ুন: চোখের পাশে বলিরেখা, ত্বকে বয়সের ছাপ? এই এক টোটকায় ৫০ লাগবে ২৫-এর মতো! জানুন

তাই এখন কালবৈশাখীর সামান্য ঝোড়ো হাওয়াতেই ভয় গ্রাস করছে গ্রামবাসীদের। দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের যেন এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তা ভেবেই ভয়ে ত্রস্ত হয়ে রয়েছে গোটা বার্নিশবাসী। মাস দেড়েক আগেও খবরের শিরোনামে ছিল এই গ্রাম। বর্তমানে গোটা গ্রাম আস্তে আস্তে ছন্দে ফিরলেও তাঁদের অভাব অভিযোগ এখনও যায়নি। সেই অভাব অভিযোগের ফাঁকেই আরও এক গভীর ভাবনার চিত্র ধরা পড়ে গ্রামের মানুষ গুলোর চোখে মুখে।

আরও পড়ুন: নায়কের গভীর প্রেমে পাগল ছিলেন করিশমা, বিয়েও ঠিক! একজনের জন্য আজও সংসার করা হল না অক্ষয়ের

এই বুঝি এল সেই রাক্ষুসে ঝোড়ো হাওয়া! হয়তো ফের উড়িয়ে নিয়ে যাবে মাথার ছাদ, এই বুঝি ফের তছনছ হয়ে যাবে গোটা গ্রাম। এই ভাবনাই বারংবার মাথায় ঘুরছে গ্রামের প্রতিটি মানুষের মনে। তাই কালবৈশাখীর সামান্য ঝোড়ো হাওয়াতে গাছের পাতা নড়লেই ভয়ে শিটিয়ে দিন কাটান বাসিন্দারা।

সুরজিৎ দে

Jalpaiguri Mini Tornado: মিনিট টর্নেডোয় থমকে গেছে জীবন, দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে রোজগারের চাকা

জলপাইগুড়ি: মিনি টর্নেডোর পর পেরিয়ে গেছে পাঁচ দিন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুনরায় ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে ঝড়ের দাপটে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বার্নিশ গ্রাম। কিন্তু এই ঝড়ে থমকে গিয়েছে গ্রামবাদীদের রোজগারের পথ। কীভাবে চলবে সংসার? কীভাবে হবে দিন গুজরান? সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে কতদিনই বা চলবে এভাবে? এমন সব প্রশ্নে রীতিমত ঘুম উড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের।

জলপাইগুড়ির সংলগ্ন ময়নাগুড়ির বার্নিশ এবং পুটিমারি গ্রামের বাসিন্দাদের বেশিরভাগেরই উপার্জনের উপায় ছিল গাড়ি। কেউ তিন চাকা, আবার কেউ চার চাকার গাড়ি চালিয়েই দিন গুজরান করতেন। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড় টালমাটাল করে দিয়েছে সবকিছু। রোজগারের একমাত্র বাহন সেই গাড়ি ঝড়ের দমকা হাওয়ার মড়ে মুচড়ে একসা! বাকি নেই কিছুই। এক কথায় বলা যায়, মিনিট কয়েকের ঝড় চোখের পলকে ধ্বংস করে দিয়েছে বার্নিশ গ্রামের বাসিন্দাদের জীবন।

আর‌ও পড়ুন: বিশেষ পদ্ধতিতে জৈব সার দিয়ে শসা চাষ করে অবিশ্বাস্য ফলন পান! এই গরমে হবে বিপুল আয়

গোটা এলাকায় এখনও লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। বাড়ির চাল, গাছ উপড়ে পড়ে রয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গ্রাম। বাড়ি ঘরের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু গাড়ি। গাড়ি চালিয়েই সংসার চলত এই এলাকার অনেক মানুষের। এমনই একজন দূর্গত ধনঞ্জয় রায় এবং তাঁর ভাইয়ের পরিবার। ঝড়ে গাড়ি ভেঙে যাওয়ায় একমাত্র উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল পরিবারগুলির। একদিকে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলির বর্তমানে রাত কাটছে তাঁবুতে। অন্যদিকে, উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এক কথায় গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

সুরজিৎ দে

Jalpaiguri Mini Tornado: মিনি টর্নেডো বিধ্বস্ত গ্রামে মেডিকেল ক্যাম্প, শিশুর চোখ থেকে বের হল পাথর

জলপাইগুড়ি: মিনি টর্নেডোয় বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির গ্রামে বসল মেডিকেল ক্যাম্প। সেদিনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাথর ঢুকে গিয়েছিল গ্রামের এই এক শিশুর চোখে। মেডিকেল ক্যাম্পে সেই পাথর বের করা হল তার চোখ থেকে।

বিধ্বংসী ঝড় এসে শুধুই যে ঘর-বাড়ি কেড়ে নিয়েছে তা নয়। কেড়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষের শারীরিক, মানসিক শান্তিও। ওলট পালট দমকা হাওয়ায় একটি শিশুর চোখে নীচে ক্ষত তৈরি হয়ে ঢুকে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গুঁড়ি গুঁড়ি পাথর। গ্রামে মেডিকেল ক্যাম্প বসানোর পর সেখানকার চিকিৎসকরা সেই পাথরগুলি বের করে শিশুটিকে বিপদমুক্ত করেন। ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রামের ঘটনা।

আর‌ও পড়ুন: স্কুলে যাওয়ার পথে অটো উল্টে গুরুতর জখম দুই শিক্ষক

রবিবার কয়েক মিনিটের বিধ্বংসী ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ এবং পুটিমারি এলাকা। বিধ্বংসী ঝড়ে আহত হয়েছে বহু মানুষ। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং শিলিগুড়ির বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন আহতরা। অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি এবার সেই এলাকার মানুষজনকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে এগিয়ে এল মেডিকেল ভলেন্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

টর্নেডো বিধ্বস্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। সদস্যদের হাত দিয়েই এদিন বেরিয়ে এল এক শিশুর চোখের নিচে ক্ষত থেকে পাথর। গত মঙ্গলবার থেকে এই সংস্থার সদস্যরা চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আসছে। এদিন চোকুয়া বাড়ি এবং ভাটিবাড়ি এলাকায় চিকিৎসা শিবির করেন সংস্থার সদস্যরা। এতে খানিকটা হলেও স্বস্তি মিলেছে বাসিন্দাদের।

সুরজিৎ দে

Mini Tornado-Viral Video: টর্নেডো উড়িয়ে নিয়ে গেছে ঘর! খাবার নেই! ঘর নেই! ব্যক্তির দশা চোখে জল আনবে

আলিপুরদুয়ার: ভেঙে পড়া ঘরের মাঝেই বসবাস করছেন পুনু ওরাঁও।মেলেনি কোনও সরকারি সাহায্য।এই ধ্বংসাবশেষের মাঝে আর ক’দিন থাকতে হবে,প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কালচিনি এলাকার বাসিন্দা পুনু ওরাঁও।একাই থাকেন তিনি।বাড়ি আগের থেকেই ভেঙে গিয়েছিল।এই ঝড়ের ফলে বাড়ির অবস্থা নাজেহাল।

সবথেকে বড় কথা পুনু ওরাঁও-এর নেই কোনও রেশন কার্ড। যার ফলে খাওয়াদাওয়ার জন‍্য ভিক্ষে করতে হয়। নয়ত এদিক,ওদিক ছুটতে হয়।বাড়িতে নেই কোনও আসবাবপত্র। প্রথম থেকেই কাপড় জামার ওপর শুয়ে থাকেন তিনি।বর্তমানে ঘরটির অবস্থা এমন,তা আরেকটি ঝড় হলেই উড়ে যাবে।সেই আতঙ্ক চেপে বসেছে পুনু ওরাঁও-এর মনে।

আরও পড়ুন: “আলোকের এই…”-মংপুতে নেপালি ‌যুবকের কণ্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত! তুমুল ভাইরাল ভিডিও

একাধিকবার ব্লক কার্যালয়ে গিয়ে মিলছে না সহায়তা।এই বিষয়ে কালচিনি ব্লকের বিডিও মিঠুন মজুমদার জানিয়েছেন, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ওই ব‍্যক্তিকে সাহায্য করা হবে।রেশন কার্ডের ব‍্যবস্থা করে দেওয়া হবে।” বর্তমানে বাড়িটি নিয়ে চিন্তিত পুনু ওরাঁও।ফের ঝড় এলে কোথায় যাবেন,এই চিন্তা গ্রাস করছে তাকে।

Annanya Dey