জাস্টিন ট্রুডো ও মোদি

‘কোনও পোক্ত প্রমাণ নেই’, স্বীকার করলেন ট্রুডো, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ’, পাল্টা কটাক্ষ বিদেশ মন্ত্রকের

নয়া দিল্লি: নিজ্জর হত্যাকাণ্ড নিয়ে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চরমে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরাসরি ভারতের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। তবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, “এই বিষয়ে কানাডা কোনও পোক্ত প্রমাণ দেয়নি।’’

আরও পড়ুন: পুজো শেষ! তাও পড়াশোনায় মন নেই সন্তানের? মাথায় রাখুন ৪টে টিপস, নিজেই বই নিয়ে বসবে

এবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও স্বীকার করলেন সে কথা। বুধবার অটোয়াতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ মামলায় পাবলিক ইনকোয়্যারির সামনে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ট্রুডো মেনে নেন যে, কানাডার মাটিতে খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতকে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: সাবধান! সূর্যের রাশি পরিবর্তন, জীবন ছারখার হবে ৪ রাশির, আর্থিক ক্ষতি, স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা

কানাডার সারেতে একটি গুরুদ্বারের বাইরে নিজ্জর করে গুলি করা খুন করা হয়। ‘ভারতীয় এজেন্ট’-রা এই খুন করেছে বলে সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। তবে এইদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, “তখন গোয়েন্দা তথ্য থেকে এমনটাই জানা গিয়েছিল। তবে কোনও প্রত্যোক্ষ কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।“

এরপরই কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির জন্য জাস্টিন ট্রুডোকে দায়ী করে বিবৃতি জারি করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। গভীর রাতে জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা এতদিন যা বলে এসেছি, আজ সেটাই প্রমাণ হয়ে গেল। ভারত এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছিল, তার কোনও প্রমাণ কানাডা দেয়নি। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে ভারত-কানাডা সম্পর্কের যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো দায়ী।’’

এমনকি ট্রুডোর নিন্দা করে তাঁকে হিটলার এবং চশেস্কুর সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি বলেন, ‘‘চরমপন্থী গুন্ডাদের হাত ধরে ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছেন অনেক দূর্বল রাজনৈতিক নেতাই। ইতিহাস তাঁদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে। হিটলার থেকে চশেস্কু, শেষটা কারওরই ভাল হয়নি। তাঁরাও জাস্টিন ট্রুডোর মতো বামপন্থী ছিলেন। তফাত শুধু, তাঁরা গেস্টাপো, সিকিওরিটিদের দিয়ে ভয় দেখাত, আর ট্রুডো খালিস্তানি জঙ্গিদের দিয়ে।’’

ট্রুডো এখন উল্টো সুরে গাইলেও সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি জোর গলায় বলেছিলেন, ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ তাঁর কাছে রয়েছে।

তিনি আরও দাবি করেছিলেন যে ভারতের গোয়েন্দা বিভাগকেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। ট্রুডো বলেছিলেন, “কয়েকজন দক্ষিণ এশিয়ান সাংসদও এই ঘটনায় ভারত জড়িত আছে বলে মনে করেন।“ তবে কোন সাংসাদরা এমনটা মনে করেন, তা জানাননি তিনি।

Keywords:

Original Story Link: