পূর্ব বর্ধমান: বর্তমান অনলাইনের দৌলতে এবার পুজোও দেওয়া যাবে অনলাইনে। বাড়িতে বসেই দিতে পারবেন পুজো এবং পুজো শেষে আবার প্রসাদ চলে আসবে বাড়িতেই। নাম গোত্র দিয়ে পুজো দিতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি শহরে নেওয়া হয়েছে এই অভিনব উদ্যোগ। জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় কালীপুজো হয়। সেরকমই পূর্ব বর্ধমান জেলার দাঁইহাট শহর জুড়েও বেশ কয়েকটি বড় মাপের কালীপুজো হয়। যাঁরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন তাঁরাও পুজো দেখার জন্য শহরে আসেন। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যাঁদের ইচ্ছা থাকলেও, কালীপুজোতে পুজো দেখার জন্য আসা হয়না আর পুজো দেওয়াও হয়ে ওঠেনা। তাই যাঁরা বাইরে থাকেন তাঁরাও যাতে পুজো দিতে পারেন সেকারণে দাঁইহাট শহর জুড়ে এবার প্রথম অনলাইনে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দাঁইহাট শহরে “প্রাণের শহর দাঁইহাট” নামক একটি ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। এই গ্রুপের কর্মকর্তাদের উদ্যোগেই এবছর প্রথম এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই গ্রুপের একজন কর্মকর্তা তথা দাঁইহাট শহরের বাসিন্দা শুভঙ্কর সরকার বলেন, \”অনেকেই আছেন যাঁরা কর্মসূত্রে বর্তমানে শহর থেকে অনেক দূরে থাকেন। কালীপুজোয় আসার ইচ্ছা থাকলেও অনেকেরই আসা সম্ভব হয়ে উঠেনা। তাঁরা পুজোও দিতে পারেননা আবার প্রসাদও পান না। তাই তাঁরাও যাতে পুজো দিতে পারেন, সেকারণে এই অনলাইনে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।”
তবে শুধু দাঁইহাট শহরের বাসিন্দারা নয়, যে কেউ অনলাইন মাধ্যমে পুজো দিতে পারেন। ব্রাহ্মণের দক্ষিণা, পুজোর মিষ্টি, প্লাস্টিকের কৌটো এবং ডেলিভারি-সহ পুজোর জন্য নেওয়া হবে ২৫০ টাকা করে। পুজো হয়ে যাওয়ার তিন থেকে চারদিনের মধ্যে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যাবে প্রসাদ। দাঁইহাট শহরে বেশ কয়েকটি প্রসিদ্ধ কালীপুজো হয়। যার যেখানে ইচ্ছা তিনি সেই কালীমন্দিরেই নাম, গোত্র-সহ পুজো দিতে পারবেন। দাঁইহাট শহরবাসী অনেকেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত অনেকে পুজোও দিয়েছেন এই অনলাইনের মাধ্যমে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী