কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

Kanchanjungha Express Accident: প্রিয়জনের অপেক্ষায়, ট্রেনের পথ চেয়ে সারি সারি উদ্বিগ্ন মুখের ভিড়ে বিপর্যস্ত নিউ জলপাইগুড়ি

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন লাগোয়া রাঙাপানি এলাকায় মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার পরে কার্যত লন্ডভন্ড ছবি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের। অসহায় কাতর মুখগুলো দেখলে চোখে জল আসতে বাধ্য। ট্রেনের অপেক্ষায় স্টেশনেই ভিড় অগণিত অসহায় যাত্রীর। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে জলে ভাসছে পাহাড় থেকে সমতল। পাহাড়ে আটকে থাকা বহু পর্যটকদের ধীরে ধীরে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হচ্ছে।

পাহাড়েও প্রশাসনের তরফে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে  আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধারকার্য থেকে শুরু করে সরানোর কাজ। উপরন্তু অবিরাম বৃষ্টির জেরে এখনও প্রতি পদে নানা বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রশাসনকে। প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে ক্রমশই পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। কার্যত বন্যা পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গ জুড়ে। তার উপর গতকালের ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ির সংঘর্ষে ঘটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জেরে হাজার হাজার যাত্রীর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।

একদিকে পাহাড়ে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্বিগ্ন চেহারা, অন্যদিকে আতঙ্কিত রেল যাত্রীদের ভিড়-সব  মিলিয়ে একেবারে বিপর্যস্ত চেহারা নিয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বর। এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনাগ্রস্থ রেল লাইন ক্লিয়ার হয়নি। ফলে উত্তর পূর্ব রেল যোগাযোগ ব্যহত হচ্ছে। এনজেপি স্টেশনের যাত্রী প্রতিক্ষালয় থেকে শুরু করে প্ল্যাটফর্মে ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা। কবে, কখন মিলবে বাড়ি ফেরার ট্রেন! তারই অপেক্ষায় চাতকপাখির মতো অসহায় ভাবে অপেক্ষা করছেন প্রত্যেকে।

আরও পড়ুন : অসহ্য গরমে হল এক পশলা স্বস্তির বর্ষণ, গৌড়বঙ্গের জেলাগুলিতে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি

কখন, কোন ট্রেন, কোন পথে আসবে? আদৌ আসবে কিনা? তা নিয়ে রেলের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সঠিক নির্দেশিকাও পাচ্ছেন না তাঁরা, এমনটাই অভিযোগ জানাচ্ছেন যাত্রীদের একাংশ। অনেকেই বিকল্প উপায়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন আবার কেউ কেউ দিন যাপনের জন্য হন্যে হয়ে হোটেল খুঁজছেন। কেউ আবার স্টেশনেই দিব্যি কাটিয়ে দিচ্ছেন ট্রেনের অপেক্ষায়। স্টেশনের সার্বিক ছবি দেখে স্বাভাবিকভাবেই বোঝার উপায় নেই যে এটি একটি রেলস্টেশন! তবে, দ্রুত পরিস্থিতির স্বাভাবিক করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। এবার কখন আসে বাড়ি ফেরার ট্রেন, এখন তারই অপেক্ষায় যাত্রীরা।