ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার বলি ৬ বছরের শিশু

Kanchenjunga Express Accident: ক্রমাগত রক্তক্ষরণ, আর বাঁচানো গেল না, ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার বলি ৬ বছরের শিশু, আশঙ্কাজনক বাবা-মা

মালদহ: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত মালদহের ছয় বছরের শিশু স্নেহা মন্ডল। আজ সকালে মৃত্যুর খবর গ্রামে আসতেই শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। দুর্ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে মৃত শিশুর মা ছবি মন্ডল। এবং বাবা মহিলাল মন্ডল। ছবি মন্ডল মালদহের চাঁচলের ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। পরপর দু’বার পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। অন্যদিকে বাবা মহিলাল মন্ডল মালদহের মানিকচক হাইস্কুলের শিক্ষক।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ছয় বছরের স্নেহা সামসিতে একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করত। এলাকায় যথেষ্ট হাসিখুশি ও প্রাণচঞ্চল স্নেহাকে দেখেই অভ্যস্ত স্থানীয়রা। এভাবে তার মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছবে তা যেন বিশ্বাসই করে উঠতে পারছেন না কেউই। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল স্নেহারা। রবিবার পরিবার নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার স্কুল খুলে যাবে। তাই, গতকাল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মালদহে ফিরছিলেন পরিবারের কর্তা মহিলাল। দুর্ঘটনাগ্রস্থ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনের দিকে অসংরক্ষিত কামরায় ছিল মন্ডল পরিবার।

আরও পড়ুন-   বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

আকস্মিক দুর্ঘটনায় সজোরে ছিটকে পড়েন সকলে। বেশ কিছু সময় পড়ে থাকার পর উদ্ধারকারীরা উদ্ধার করে মন্ডল পরিবারকে। দুর্ঘটনায় তার পা ভেঙে যায়। বুকে ক্ষত তৈরি হয়। ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল শিশুর। দুর্ঘটনার পর থেকেই অচৈতন্য অবস্থায় ছিল স্নেহা। গতকাল থেকে পরপর বেশ কয়েক ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়। এরপরেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। দুর্ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন মা ছবি মন্ডল এবং বাবা মহিলাল মন্ডল।

আরও পড়ুন-   গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

এর মধ্যে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ছবি মন্ডলের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। তুলনায় কিছুটা ভাল মহিলাল মন্ডলের পরিস্থিতি। মৃত শিশুর জেঠিমা রীনা মন্ডল বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকেই বারবার ওর খোঁজ নিয়েছি। প্রতিবারই শুনেছি, জ্ঞান ফেরেনি। বারবার রক্ত দিতে হচ্ছে। সম্ভবত ১১ থেকে ১২ ইউনিট রক্ত দেওয়া হয় শিশুকে। কিন্তু, এরপরেও বাঁচানো যায়নি। পরিবারের বাকি দুই সদস্য সুস্থ হয়ে ফিরুক, এখন এটাই প্রার্থনা করছেন সকলে।