হুগলি: সোমবার সকালের কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা আবারও স্মৃতি উসকে দিয়েছে ঠিক আরো এক বছর আগে ঘটা করমন্ডল এর দুর্ঘটনার। গতকাল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এর পিছনদিকে এসে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। লাইন থেকে ছিটকে দুমড়ে মুছড়ে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার দুটি বগি। সেখানেই পিছনের জেনারেল কামরায় ছিলেন হুগলির দুই যুবক সৌণক সাহা ও তন্ময় ঘোষ। দুর্ঘটনায় আহত দুজনেই চিকিৎসাধীন রয়েছে হাসপাতালে। দুশ্চিন্তায় খাওয়া ঘুম বন্ধ হয়েছে দুই পরিবারের। ২ যুবকের পরিবারের এখন একটাই আশা ঘরের ছেলে ফিরে আসুক ঘরে।
মেশিনে ধান কাটার কাজে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন হুগলির ধনিয়াখালি মদনমোহন তলার সৌনক সাহা ও তন্ময় ঘোষ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরা যাত্রী ছিলেন তারা।ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন সৌনক, আহত হন তন্ময়ও।দুজনেই ভর্তি হাসপাতালে। ট্রেন দূর্ঘনার খবর আসে তাদের বাড়িতেও। তারপর থেকেই দুশ্চিন্তার ছায়ার দুই পরিবারের মধ্যে।
পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারা যায়, ঘটনার সময় তন্ময় বুঝতে পারে ট্রেনের এক্সিডেন্ট ঘটেছে। দৌড়ে ঝাঁপ দিয়ে দরজা থেকে বাইরে বেরিয়ে পড়ে সে। সেই সময় কাঁধে গুরুতরো আঘাত লাগে তার বন্ধু সৌনকের। আঘাতপ্রাপ্ত হন তার বন্ধু তন্ময় ও । সেই আঘাত নিয়েই তন্ময় এবং প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রেনে আটকে থাকা যাত্রীদের সেখান থেকে বার করেন দুই বন্ধু। পরবর্তীতে তাদের দুজনকেও চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় শিলিগুড়ি হাসপাতালে। এদিন রাতে বাড়ির লোককে ফোন করে নিজের অবস্থার কথা জানান তন্ময়।ঘটনার পরই ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রকে দূর্ঘটনার দিনই ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ধনিয়াখালির দুই যুবকের চিকিৎসা ও তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান বিধায়িকা।
রাহী হালদার