উপাচার্য দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি)

West Bardhaman News : মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন আগেই! অবশেষে লাগাতার ছাত্র আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ উপাচার্যের

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছিল বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই। অফিসিয়াল কাজকর্ম সারছিলেন বাড়িতে বসেই। ছাত্ররা একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। এমন অবস্থায় বাড়ছিল চাপ। লাগাতার সেই ছাত্র আন্দোলনের জেরে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ই-মেইল মারফত রাজ্যপালের কাছে তিনি নিজের ইস্তফা পাঠিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই তা গৃহীত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, উপাচার্য দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার ছাত্র আন্দোলনের জেরে কার্যত বিরক্ত বোধ করছিলেন।

ছাত্র আন্দোলনের কারণে যেতে পারছিলেন না বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই বাড়ি থেকে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কাজকর্ম করছিলেন। কিন্তু ছাত্রদের আন্দোলন দীর্ঘায়িত হতে থাকায়, তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। সেইমত ই-মেইলে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছিলেন নিজের পদত্যাগ পত্র। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল গ্রহণ করেছেন বলে খবর। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগার থেকে আইনি লড়াইয়ের টাকা খরচ করার অভিযোগ ওঠে উপাচার্যের দিকে। এই অভিযোগে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা আন্দোলন শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে উপাচার্য দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় হেনস্থার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন তিনি।

আরও পড়ুন : জমি হারিয়েছেন, পাননি চাকরি, ক্ষতিপূরণ! ৭৫ বছর বয়সে এসে স্বামীহারা বৃদ্ধা যা করলেন…

সে সময়েই রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। জুলাই মাসের শেষের দিকে এই ঘটনার পর থেকে বেশ আতঙ্কিত ছিলেন উপাচার্য। সেজন্য বাড়িতে বসেই কাজকর্ম করছিলেন। আর অবশেষে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে তার ইস্তফা গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ার লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাউন্ডেশন ডে’তে অশান্তির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন : বিপদে নারী সুরক্ষায় ছুটে যাবেন প্রহরীরা, পৌঁছে দেবেন নিরাপদ স্থানে! শহরে বিশেষ উদ্যোগ

দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় সে সময় অভিযোগ করেছিলেন, বহিরাগত একদল দুষ্কৃতী এসে অশান্তি পাকিয়েছে। এমনকি এক বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ফাউন্ডেশন ডের অনুষ্ঠানে ‘আরজি কর বানিয়ে দেবো’ স্লোগান উঠেছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, আন্দোলন করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। সব মিলিয়ে ছাত্র আন্দোলনের জেরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

আর এমন পরিস্থিতিতে কার্যত চাপের মুখে পড়ে দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করলেন বলে অনেকে মনে করছেন।

নয়ন ঘোষ