Knowledge Story: কথায় কথায় বলেন ‘থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়’, বলুন তো এর মানে কী? জানলে চমকে যাবেন

সাধারণত একঘেয়েমি বা বৈচিত্রহীন কোনও কিছু বোঝাতে ব্যবহার হয় এই বাংলা প্রবাদ ‘থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়’। কিন্তু কখনও ভেবেছেন এটি এল কোথা থেকে? (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
সাধারণত একঘেয়েমি বা বৈচিত্রহীন কোনও কিছু বোঝাতে ব্যবহার হয় এই বাংলা প্রবাদ ‘থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়’। কিন্তু কখনও ভেবেছেন এটি এল কোথা থেকে? (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
থোড়, বড়ি তো চেনা যাচ্ছে, খাড়া মানে কী হবে এখানে? কেনই বা এই তিনটি শব্দ বৈচিত্রহীন কিছু বোঝাতে বলা হয়?
থোড়, বড়ি তো চেনা যাচ্ছে, খাড়া মানে কী হবে এখানে? কেনই বা এই তিনটি শব্দ বৈচিত্রহীন কিছু বোঝাতে বলা হয়?
‘থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়’ এই প্রবাদে বাঙালির তিনটি বহুল প্রচলিত খাবারের কথা বলা হয়েছে।
‘থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়’ এই প্রবাদে বাঙালির তিনটি বহুল প্রচলিত খাবারের কথা বলা হয়েছে।
এই খাবারগুলি দিনের পর দিন বাঙালি বাড়িতে রান্না হয়ে আসছে। শুধু স্বাদ নয়, পুষ্টির দিক থেকেও প্রাচীনকাল থেকে বাঙালি এই খাবারগুলি খায়।
এই খাবারগুলি দিনের পর দিন বাঙালি বাড়িতে রান্না হয়ে আসছে। শুধু স্বাদ নয়, পুষ্টির দিক থেকেও প্রাচীনকাল থেকে বাঙালি এই খাবারগুলি খায়।
এই তিনটি শব্দের প্রথম দুটি থোড়, অর্থাৎ কলা গাছের থোড়ের কথা বলা হয়েছে। বড়ি, অর্থাৎ ডাল দিয়ে তৈরি করা বড়ির উল্লেখ রয়েছে। আর খাড়া?
এই তিনটি শব্দের প্রথম দুটি থোড়, অর্থাৎ কলা গাছের থোড়ের কথা বলা হয়েছে। বড়ি, অর্থাৎ ডাল দিয়ে তৈরি করা বড়ির উল্লেখ রয়েছে। আর খাড়া?
খাড়া শব্দটি নিয়ে বেশ নাকানিচুবানি খেতে হয়েছে। খাড়া মানে ডাঁটা।
খাড়া শব্দটি নিয়ে বেশ নাকানিচুবানি খেতে হয়েছে। খাড়া মানে ডাঁটা।
সজনে ডাঁটাকে খাড়া নামে ডাকা হয় বাংলাদেশের নড়াইল, বাগেরহাট, খুলনা, যশোরের কিছু অঞ্চলে। শব্দটি অপ্রচলিত এখন।
সজনে ডাঁটাকে খাড়া নামে ডাকা হয় বাংলাদেশের নড়াইল, বাগেরহাট, খুলনা, যশোরের কিছু অঞ্চলে। শব্দটি অপ্রচলিত এখন।
এপারে হুগলি, বর্ধমান, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বীরভূম– ওই সব অঞ্চলে বহুলভাবে সজনেকে খাড়া বলা হয়। মূলত ডাঁটাজাতীয় সবকিছুকেই এই অঞ্চলে খাড়া বললেও ‘সজনে খাড়া’ বহুল ব্যবহৃত শব্দ।
এপারে হুগলি, বর্ধমান, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বীরভূম– ওই সব অঞ্চলে বহুলভাবে সজনেকে খাড়া বলা হয়। মূলত ডাঁটাজাতীয় সবকিছুকেই এই অঞ্চলে খাড়া বললেও ‘সজনে খাড়া’ বহুল ব্যবহৃত শব্দ।
কিন্তু কেন এই তিন খাবার থেকেই প্রবাদটির উৎপত্তি হল?
কিন্তু কেন এই তিন খাবার থেকেই প্রবাদটির উৎপত্তি হল?
সাধারণ বাঙালি চিরকালই অভাবে বড় হয়েছে। খাবারের অভাবে মরেনি ঠিকই, কিন্তু তার রান্নাঘরে বৈচিত্র্যের অভাব ছিল। ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে একই ধরনের তরকারি তাদের খেতে হয় প্রতিদিন। সেই থোড় না হলে বড়ি না হলে খাড়া না হলে শাক।
সাধারণ বাঙালি চিরকালই অভাবে বড় হয়েছে। খাবারের অভাবে মরেনি ঠিকই, কিন্তু তার রান্নাঘরে বৈচিত্র্যের অভাব ছিল। ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে একই ধরনের তরকারি তাদের খেতে হয় প্রতিদিন। সেই থোড় না হলে বড়ি না হলে খাড়া না হলে শাক।
রান্নাঘরের এই বৈচিত্র্যহীনতা বোঝাতে বাঙালি কখন থেকে এই প্রবাদের ব্যবহার শুরু করে, তার কোনও ঐতিহাসিক দলিল না পাওয়া গেলেও প্রবাদটি যে রান্নাঘরে ‘রান্না’ হয়ে সেই চৌহদ্দি পেরিয়ে বাঙালির ‘মুখে মুখে’ ফেরে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
রান্নাঘরের এই বৈচিত্র্যহীনতা বোঝাতে বাঙালি কখন থেকে এই প্রবাদের ব্যবহার শুরু করে, তার কোনও ঐতিহাসিক দলিল না পাওয়া গেলেও প্রবাদটি যে রান্নাঘরে ‘রান্না’ হয়ে সেই চৌহদ্দি পেরিয়ে বাঙালির ‘মুখে মুখে’ ফেরে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)