কে বেশি কথা বলে, ছেলেরা নাকি মেয়েরা?

Knowledge Story: বলুন তো, ছেলে নাকি মেয়ে, কারা বেশি কথা বলে? দিনে কত শব্দ বলে মেয়েরা? আসল সত্য শুনে আঁতকে উঠবেন

ইমতিয়াজ আলির জব উই মেট ছবিটার কথা মনে পড়ে যাবে অনেকেরই। এক দিকে শান্ত স্বভাবের বেশি কথা না বলা আদিত্য কাশ্যপ, অন্য দিকে উচ্ছ্বল, ঘুমের মধ্যেও কথা বন্ধ না হওয়া গীত ধীলঁ।
ইমতিয়াজ আলির জব উই মেট ছবিটার কথা মনে পড়ে যাবে অনেকেরই। এক দিকে শান্ত স্বভাবের বেশি কথা না বলা আদিত্য কাশ্যপ, অন্য দিকে উচ্ছ্বল, ঘুমের মধ্যেও কথা বন্ধ না হওয়া গীত ধীলঁ।
বহু যুগ ধরে প্রচলিত এক সামাজিক ধারণার ভিত্তিতেই নায়ক-নায়িকার চরিত্র এভাবে তৈরি করেছিলেন আলি- মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে বেশি কথা বলেন। সত্যিই কি তাই?
বহু যুগ ধরে প্রচলিত এক সামাজিক ধারণার ভিত্তিতেই নায়ক-নায়িকার চরিত্র এভাবে তৈরি করেছিলেন আলি- মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে বেশি কথা বলেন। সত্যিই কি তাই?
জবাব খুঁজতে নেমে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডেভিড লেজার আর তাঁর সহযোগীরা ১৩৩ জন প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে এক সমীক্ষা চালান । যার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এক্ষেত্রে, সামাজিক বার্তালাপের গণনার জন্য মোবাইল ফোনের মতো ছোটখাটো সোশিওমিটার নামে এক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
জবাব খুঁজতে নেমে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডেভিড লেজার আর তাঁর সহযোগীরা ১৩৩ জন প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে এক সমীক্ষা চালান । যার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এক্ষেত্রে, সামাজিক বার্তালাপের গণনার জন্য মোবাইল ফোনের মতো ছোটখাটো সোশিওমিটার নামে এক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও যা জানা গিয়েছে, তা হল কে বেশি কথা বলেন, ছেলেরা না মেয়েরা, তা পুরোটাই নির্ভর করে পরিস্থিতির উপরে। যেমন, লাঞ্চের সময়ে মেয়েরা একটু কম কথা বলে থাকেন, কিন্তু যদি কোনও শিক্ষাগত আলোচনা হয়, তবে তাঁরা বেশি কথা বলবেনই। এক্ষেত্রে আলোচনা পরিচালনার রাশটা থাকে শুধু ছেলেদের হাতে, তেমনটাই দেখা গিয়েছে।
আরও যা জানা গিয়েছে, তা হল কে বেশি কথা বলেন, ছেলেরা না মেয়েরা, তা পুরোটাই নির্ভর করে পরিস্থিতির উপরে। যেমন, লাঞ্চের সময়ে মেয়েরা একটু কম কথা বলে থাকেন, কিন্তু যদি কোনও শিক্ষাগত আলোচনা হয়, তবে তাঁরা বেশি কথা বলবেনই। এক্ষেত্রে আলোচনা পরিচালনার রাশটা থাকে শুধু ছেলেদের হাতে, তেমনটাই দেখা গিয়েছে।
লেজার প্রথম এই ধরনের সমীক্ষা করলেও প্রশ্নটা অনেক পুরনো, ফলে নানা বই এই বিষয়ে নানা পরিসংখ্যান দিয়েছে অতীতে। যেমন, এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে মেয়েরা দিনে ২০ হাজার শব্দ উচ্চারণ করেন,ছেলেরা মাত্র ৭ হাজার। ১৯৯৩ সালের এক ম্যারেজ কাউন্সিলের প্যামফ্লেট থেকে এই তথ্য মিলেছিল, যদিও ওই ম্যারেজ কাউন্সিলরকে সনাক্ত করা যায়নি।
লেজার প্রথম এই ধরনের সমীক্ষা করলেও প্রশ্নটা অনেক পুরনো, ফলে নানা বই এই বিষয়ে নানা পরিসংখ্যান দিয়েছে অতীতে। যেমন, এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে মেয়েরা দিনে ২০ হাজার শব্দ উচ্চারণ করেন,ছেলেরা মাত্র ৭ হাজার। ১৯৯৩ সালের এক ম্যারেজ কাউন্সিলের প্যামফ্লেট থেকে এই তথ্য মিলেছিল, যদিও ওই ম্যারেজ কাউন্সিলরকে সনাক্ত করা যায়নি।
আবার, ২০০৭ সালের এক পরিসংখ্যান বলছে মেয়েরা দৈনিক ১৬২১৫টা শব্দ উচ্চারণ করেন আর ছেলেরা ১৫৬৬৯টা- এখানে বড় একটা তফাত চোখে পড়ছে না। আবার ২০০৪ সালের এক পরিসংখ্যান বলছে ক্লাসে মেয়েরা বেশি কথা বলেন, তো ওই সালেরই আরেক পরিসংখ্যানের দাবি ক্লাসে বেশি কথা বলেন ছেলেরা।
আবার, ২০০৭ সালের এক পরিসংখ্যান বলছে মেয়েরা দৈনিক ১৬২১৫টা শব্দ উচ্চারণ করেন আর ছেলেরা ১৫৬৬৯টা- এখানে বড় একটা তফাত চোখে পড়ছে না। আবার ২০০৪ সালের এক পরিসংখ্যান বলছে ক্লাসে মেয়েরা বেশি কথা বলেন, তো ওই সালেরই আরেক পরিসংখ্যানের দাবি ক্লাসে বেশি কথা বলেন ছেলেরা।
তাহলে কি বিবাদের অবসান হল? কই আর! এক্ষেত্রে অতএব লেজারের বক্তব্য ধরেই সিদ্ধান্ত টানতে হবে- ছেলেরা বেশি কথা বলেন না মেয়েরা, পুরোটাই নির্ভর করে পরিবেশ এবং পরিস্থিতির উপরে।
তাহলে কি বিবাদের অবসান হল? কই আর! এক্ষেত্রে অতএব লেজারের বক্তব্য ধরেই সিদ্ধান্ত টানতে হবে- ছেলেরা বেশি কথা বলেন না মেয়েরা, পুরোটাই নির্ভর করে পরিবেশ এবং পরিস্থিতির উপরে।