কই মাছ 

Fish Farming: ভেটকি-ইলিশকে দামে টেক্কা দিচ্ছে কই! বাড়ির চৌবাচ্চায় চাষ করে মালামাল হয়ে যান

পূর্ব মেদিনীপুর: কই, শিঙি, মাগুর সহ একাধিক বিলুপ্তপ্রায় জিওল মাছ ফিরিয়ে আনতে সরকারি উদ্যোগ। বাজারে জিওল মাছের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কৃষকদের চাষ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে নতুন কর্মসংস্থান যেমন হবে তেমনই মৎস্য চাষিদের আয়ও বাড়বে।

আরও পড়ুন: চলতে চলতে চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারাল ট্রাক, সজোরে ধাক্কা চলন্ত অটোয়…

গ্রাম বাংলার খাল-বিল, পুকুর-ডোবায় এক সময় কিলবিল করত এইসব জিওল মাছ। এগুলো মানুষের শরীরের পক্ষে যেমন উপকারী তেমনই সহজলভ্য ছিল। তখন কেউ টাকা দিয়ে কই, শিঙি, মাগুর মাছ কিন্তু না। কিন্তু এখন এইসব মাছের দাম ইলিশ, ভেটকিকে পর্যন্ত টেক্কা দিয়ে যায়! আর তাই এই মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এই অবস্থায় মৎস্য চাষিদের আয় বাড়াতে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সরকার।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন জিওল মাছ সরকারি উদ্যোগে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। শুধু জিওল মাছের চাষের পরিসর বৃদ্ধি করাই নয়, সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য‌ও রাখা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন জিওল মাছের চাষ শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা ও রাজ্য গ্রাম উন্নয়ন দফতরের সহায় সিএডিসির প্রকল্পে কই মাছ চাষ শুরু হয়েছে। তবে সরাসরি পুকুর-ডোবা কিংবা খাল-বিলে নয়, চৌবাচ্চায় কই মাছের চাষ শুরু করা হয়েছে। কই মাছের চাষ শুরু করার পাশাপাশি এই মাছ চাষের সম্প্রসারণ ও ব্যাপ্তি ঘটাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে। চৌবাচ্চায় কইমাছ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। কম খরচে সহজেই চৌবাচ্চায় কই মাছের চাষ সম্ভব। ফলে কর্মসংস্থানের দিক থেকে চৌবাচ্চায় কই মাছ চাষ উপযোগী।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বাড়িতে চৌবাচ্চায় সহজে কই মাছের চাষ হয়। কই মাছের চাষের জন্য সময় লাগে চার থেকে পাঁচ মাস। একটি ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থ এবং ২.৫ ফুট গভীরতা যুক্ত চৌবাচ্চায় ১০০ কেজি কই মাছ চাষ করা যায়। কই মাছের বর্তমান বাজার মূল্য থেকে হাফ খরচে কই মাছের চাষ হয়। বিলুপ্তপ্রায় জিওল মাছ কই ফেরাতে সিএডিসি প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে কই মাছের পোনা উৎপাদনের পাশাপাশি চৌবাচ্চায় কই মাছ চাষ করা শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য এবং জিওল মাছের সম্প্রসারণ এর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও চলছে। সিএডিসির প্রজেক্ট ডিরেক্টর উত্তম কুমার লাহা জানান, কই মাছ প্রায় বিলুপ্ত হওয়ায় বাজারে চড়া দাম রয়েছে। পুরোপুরি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে না হলেও মাটির চৌবাচ্চায় পলিথিন দিয়ে কই মাছের চাষ সম্ভব।

সৈকত শী