Tag Archives: Fish Farming

Fish Food: মাছের খাবারের চাহিদা মেটাতে সরকারি উদ্যোগ, বিপুল কর্মসংস্থান এই জেলায়

পূর্ব মেদিনীপুর: জেলায় মাছ চাষের পরিমাণ ক্রমশ‌ই বাড়ছে। ফলে মাছের খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। আর এই চাহিদা মেটাতে অন্যান্য রাজ্য থেকে মাছের খাবার আমদানি করতে হচ্ছে। তবে এই প্রথম জেলায় সরকারিভাবে মাছের খাদ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হল। এতে জেলাজুড়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মাছ চাষের প্রসার বাড়ছে। মাছ চাষের প্রসার যত বাড়ছে জেলায় মাছের খাদ্যের চাহিদা তুঙ্গে উঠছে। এদিকে মাছের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে তার বেশিরভাগটাই বর্তমানে আমদানি করা হয় অন্ধ্রপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে। এই শূন্যস্থান পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

আর‌ও পড়ুন: চরম লড়াই করে প্রতিটা দিন বাঁচছেন পুরুলিয়ার এই এলাকার মানুষরা

ধান ও পান চাষের পর মাছ চাষ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে দাঁড়িয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না, তমলুক, শহীদ মাতঙ্গিনী, কাঁথি, কোলাঘাট, নন্দকুমার ও চন্ডিপুর সহ বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে মাছ চাষের উদ্যোগ বাড়ছে। জেলার সিএডিসি প্রকল্পে ইড়িঞ্চিতে গড়ে উঠেছে ফিস ফিড উৎপাদনের ইউনিট। এই ইউনিটের প্রধান লক্ষ্য জেলাজুড়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছের খাদ্য সরবরাহ করা।

এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সিএডিসির ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর উত্তম কুমার লাহা জানান, সরকারি উদ্যোগে ফিস ফিড উৎপাদনের ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে দু’দিক থেকে লাভবান হবে এই জেলার মানুষ। একটি দিক হল এই ফিস ফিড উৎপাদন ইউনিট গড়ে তোলার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে মাছ চাষিদের মাছ চাষের খরচ বেশ কিছুটা কমবে। কারণ জেলায় ফিস ফিড উৎপাদন ইউনিট গড়ে তোলার ফলে মাছের খাদ্যর দাম অনেকটাই কম হবে। ফলে মাছ চাষিরা বেশি লাভ করতে পারবেন মাছ চাষ করে।

সৈকত শী

Fish Farming: ভেটকি-ইলিশকে দামে টেক্কা দিচ্ছে কই! বাড়ির চৌবাচ্চায় চাষ করে মালামাল হয়ে যান

পূর্ব মেদিনীপুর: কই, শিঙি, মাগুর সহ একাধিক বিলুপ্তপ্রায় জিওল মাছ ফিরিয়ে আনতে সরকারি উদ্যোগ। বাজারে জিওল মাছের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কৃষকদের চাষ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে নতুন কর্মসংস্থান যেমন হবে তেমনই মৎস্য চাষিদের আয়ও বাড়বে।

আরও পড়ুন: চলতে চলতে চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারাল ট্রাক, সজোরে ধাক্কা চলন্ত অটোয়…

গ্রাম বাংলার খাল-বিল, পুকুর-ডোবায় এক সময় কিলবিল করত এইসব জিওল মাছ। এগুলো মানুষের শরীরের পক্ষে যেমন উপকারী তেমনই সহজলভ্য ছিল। তখন কেউ টাকা দিয়ে কই, শিঙি, মাগুর মাছ কিন্তু না। কিন্তু এখন এইসব মাছের দাম ইলিশ, ভেটকিকে পর্যন্ত টেক্কা দিয়ে যায়! আর তাই এই মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এই অবস্থায় মৎস্য চাষিদের আয় বাড়াতে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সরকার।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন জিওল মাছ সরকারি উদ্যোগে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। শুধু জিওল মাছের চাষের পরিসর বৃদ্ধি করাই নয়, সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য‌ও রাখা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন জিওল মাছের চাষ শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা ও রাজ্য গ্রাম উন্নয়ন দফতরের সহায় সিএডিসির প্রকল্পে কই মাছ চাষ শুরু হয়েছে। তবে সরাসরি পুকুর-ডোবা কিংবা খাল-বিলে নয়, চৌবাচ্চায় কই মাছের চাষ শুরু করা হয়েছে। কই মাছের চাষ শুরু করার পাশাপাশি এই মাছ চাষের সম্প্রসারণ ও ব্যাপ্তি ঘটাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে। চৌবাচ্চায় কইমাছ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। কম খরচে সহজেই চৌবাচ্চায় কই মাছের চাষ সম্ভব। ফলে কর্মসংস্থানের দিক থেকে চৌবাচ্চায় কই মাছ চাষ উপযোগী।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বাড়িতে চৌবাচ্চায় সহজে কই মাছের চাষ হয়। কই মাছের চাষের জন্য সময় লাগে চার থেকে পাঁচ মাস। একটি ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থ এবং ২.৫ ফুট গভীরতা যুক্ত চৌবাচ্চায় ১০০ কেজি কই মাছ চাষ করা যায়। কই মাছের বর্তমান বাজার মূল্য থেকে হাফ খরচে কই মাছের চাষ হয়। বিলুপ্তপ্রায় জিওল মাছ কই ফেরাতে সিএডিসি প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে কই মাছের পোনা উৎপাদনের পাশাপাশি চৌবাচ্চায় কই মাছ চাষ করা শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য এবং জিওল মাছের সম্প্রসারণ এর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও চলছে। সিএডিসির প্রজেক্ট ডিরেক্টর উত্তম কুমার লাহা জানান, কই মাছ প্রায় বিলুপ্ত হওয়ায় বাজারে চড়া দাম রয়েছে। পুরোপুরি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে না হলেও মাটির চৌবাচ্চায় পলিথিন দিয়ে কই মাছের চাষ সম্ভব।

সৈকত শী

Puti Fish Benefits: ‘গরিবের মাছ’ বলে বাজারে এড়িয়ে যান? স্বাদে হিট, গুণেও চমকে দেবে! কাঁটাশুদ্ধ চিবিয়ে খান, কতদিন অন্তর খাওয়া উচিত জানুন!

Puti Fish Benefits: আরামবাগ: দামে কম কাজে বেশি। এ রকমই একটি মহা মূল্যবান মাছ হল পুঁটি মাছ। পুঁটি মাছকে ভিটামিন খনিজ বলা হয় কারণ ছোট্ট একটি পুঁটি মাছে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। (তথ্য- সৌভিক ঘোষ)
Puti Fish Benefits: আরামবাগ: দামে কম কাজে বেশি। এ রকমই একটি মহা মূল্যবান মাছ হল পুঁটি মাছ। পুঁটি মাছকে ভিটামিন খনিজ বলা হয় কারণ ছোট্ট একটি পুঁটি মাছে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। (তথ্য- সৌভিক ঘোষ)
Puti Fish Benefits: একটিমাত্র মাছের মধ্যেই পাওয়া যায় বলে বিশেষজ্ঞরা সবসময় বলে থাকেন, অন্তত সপ্তাহে একদিন পাতে পুঁটি মাছ রাখা গেলে আমাদের শরীরে যাবতীয় ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়। আমাদের শরীর সুস্থ ও সতেজ দেখায়।
Puti Fish Benefits: একটিমাত্র মাছের মধ্যেই পাওয়া যায় বলে বিশেষজ্ঞরা সবসময় বলে থাকেন, অন্তত সপ্তাহে একদিন পাতে পুঁটি মাছ রাখা গেলে আমাদের শরীরে যাবতীয় ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়। আমাদের শরীর সুস্থ ও সতেজ দেখায়।
Puti Fish Benefits: আমরা সকলেই জানি আমাদের শরীরে হাড় কতটা প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। আর যদি কোনও কারণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় বা কার্যকারিতা কমে যায়, তাহলে তার প্রভাব আমাদের শরীরে সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়। নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধে।
Puti Fish Benefits: আমরা সকলেই জানি আমাদের শরীরে হাড় কতটা প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। আর যদি কোনও কারণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় বা কার্যকারিতা কমে যায়, তাহলে তার প্রভাব আমাদের শরীরে সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়। নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধে।
Puti Fish Benefits: আমরা যদি নিয়মিত ছোট্ট পুটি মাছ খাই, তাহলে আমাদের ঘরের যাবতীয় সমস্যা দূর হতে পারে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, যার ফলে আমাদের শরীরে হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
Puti Fish Benefits: আমরা যদি নিয়মিত ছোট্ট পুটি মাছ খাই, তাহলে আমাদের ঘরের যাবতীয় সমস্যা দূর হতে পারে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, যার ফলে আমাদের শরীরে হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
Puti Fish Benefits: চোখের সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করে এই মাছ। চোখের সমস্ত অসুবিধাগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে পারে। চোখ সুস্থ ও সতেজ সুন্দর দেখায় সবসময়ে।
Puti Fish Benefits: চোখের সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করে এই মাছ। চোখের সমস্ত অসুবিধাগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে পারে। চোখ সুস্থ ও সতেজ সুন্দর দেখায় সবসময়ে।
Puti Fish Benefits: প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়, ফলে আমাদের প্রোটিন ঘাটতি পূরণে সক্ষম হয়। আমাদের শরীরে স্বাস্থ্যগুণ বাড়াতে এটি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
Puti Fish Benefits: প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়, ফলে আমাদের প্রোটিন ঘাটতি পূরণে সক্ষম হয়। আমাদের শরীরে স্বাস্থ্যগুণ বাড়াতে এটি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
Puti Fish Benefits: আমাদের শরীরের ইমিউনিটি ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে সবথেকে বড় ভূমিকা রাখে ছোট ছোট পুঁটি মাছ এবং রোগ জীবাণু ভাইরাস আমাদের সহজে আক্রান্ত করতে পারবে না।
Puti Fish Benefits: আমাদের শরীরের ইমিউনিটি ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে সবথেকে বড় ভূমিকা রাখে ছোট ছোট পুঁটি মাছ এবং রোগ জীবাণু ভাইরাস আমাদের সহজে আক্রান্ত করতে পারবে না।

Money Making Tips: রোজগার বাড়াতে চাইছেন ? তাহলে ‘এই’ পদ্ধতি মেনে চলুন, হবে বিপুল লাভ

নন্দীগ্রাম: পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মাছ চাষের পরিসর অনেকটাই বেশি। মিষ্টি জলের মাছ চাষের পাশাপাশি নোনা জলেতেও মাছ চাষ হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে। নন্দীগ্রামের উপকূলবর্তী অঞ্চলে নোনা জলে মাছ চাষে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করল।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মাছ চাষের পরিসর বেশি হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ হয়ে থাকে। ফলে মাছের উৎপাদনে যেমন ঘাটতি দেখা যায়, ঠিক তেমনি মাছ চাষিদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এবার নন্দীগ্রামের উপকূলবর্তী অঞ্চলে নোনা জলে মাছ চাষের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বনে উৎসাহ দিতে এগিয়ে এল মৎস্য দফতর।

আরও পড়ুন: আজ সোনা না কিনে ভুল করলেন কি ? দেখে নিন আজ ১ ভরি সোনার গয়নার দাম কত ?

ঈষদ নোনাজলের ভেড়িগুলোতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষের পরিধি বাড়ানোর জন্য চাষিদের উৎসাহিত করতে পার্শে, ভাঙড়, বাগদা ও ভেনামী চিংড়ির বীজ বিনামূল্যে বিতরন করা হল। চারা বিতরনের আগে মাছ চাষিদের নিয়ে একটি ছোট সভা করে চাষের বিষয়ে প্রশিক্ষণদেওয়া হয়।

পরিবেশ বান্ধব মাছ-চিংড়ি চাষ করতে হবে এবং কীভাবে কম খরচে অধিক মাছের উৎপাদন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সেই সঙ্গে গুনগত স্বাস্থ্যকর মাছ ও চিংড়ি উৎপাদনের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।প্রসঙ্গত নন্দীগ্রামে প্রচুর পরিমাণে চিংড়ি মাছের চাষ হয়।

কিন্তু অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষের কারণে সেই মাছ চাষ অনেকটাই পরিবেশের ক্ষতি করছে এমনকি চাষিদের অর্থনৈতিক ক্ষতি করছে। কারণ মাছের উৎপাদন ও মাছের গুণগত স্বাস্থ্যকর মান ঠিক না থাকার কারণে বাজারে দাম পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুন: শীঘ্রই ধনী হতে চাইছেন ? এই কাজ করলে পেতে পারেন অঢেল পয়সা

কীভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চিংড়িসহ উপকূলবর্তী অঞ্চলের নোনা জলে নানান ধরনের মাছ চাষ করা যায় তা নিয়ে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কম খরচে গুণগত স্বাস্থ্যকর মাছ ও চিংড়ি উৎপাদনের বিষয় মাথায় রাখা হয়েছে। চাষিদের এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। নন্দীগ্রামের নোনা জলে চিংড়ি, বগদা, পার্শ্বে, ভাঙ্গড় সহ একাধিক মাছ চাষ হয়ে থাকে।

গুণগত ও স্বাস্থ্যকর মাছের উৎপাদন বাড়াতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’মনুচক, দূর্গাপুর, হরিপুর, ও গাংরা গ্রামের বাটূল দাস সহ বিভিন্ন এলাকার মাছ চাষিকে বাগদা-পার্শে- ভাঙড় মাছের চারা, এছাড়া বেশ কিছু জনকে বাগদা চিংড়ি ও ভেনামী চিংড়ির মীন বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হয়।

মাছ চাষিরা জানান, আগে শুধু ভেনামী চিংড়ি চাষ হত, এবারে পার্শ্বে, ভাঙড় বাগদার মিশ্রচাষ করবে আগেও বাগদার মিশ্র চাষ করা হয়েছিল এবার থেকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষ করবে তারা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মাছ উৎপাদনে রাজ্যের প্রথম সারিতে। এবার নোনা জলের মাছ উৎপাদনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হল।

সৈকত শী

New Business Opportunity: সরকারি পুকুরে মাছ চাষ করে মোটা টাকা রোজগারের সুযোগ! কীভাবে কী হবে জানুন

হুগলি: এবার থেকে সরকারি পুকুরে মাছ চাষ করে রোজগার করবেন মৎস্যজীবীরা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দফতরের উদ্যোগে এই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর জন্য সরকারের তরফ থেকে মৎস্যজীবীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মাছের চারা। আপাতত আরামবাগে এই উদ্যোগ শুরু হচ্ছে।

আরও পড়ুন: শিবরাত্রির পুজো দিতে ভারত পেরিয়ে ভুটানে ভক্তরা! জয়ন্তী পাহাড়ের বড় মহাকাল ধামে উপচে পড়া ভিড়

হুগলির আরামবাগের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দফতরের উদ্যোগে মৎস্যজীবীদের হাতে চারা মাছ তুলে দেওয়া হয়। ব্লকের ২৯ জন মৎস্যজীবীকে চারা মাছ চাষের জন্য দেওয়া হয়েছে। এনআরইজিএস-এর কাজে যতগুলো পুকুর খনন করা হয়েছে সেখানেই মাছ চাষ করা হবে। যারা চাষ করবেন তাদেরকে তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেখানে মাছ চাষ থেকে তা বড় করে বাজারে বিক্রির মাধ্যমে কীভাবে মুনাফা করা যাবে সবকিছু শেখানো হয় মৎস্যজীবীদের।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সরকারি পুকুরে মাছ চাষের সুযোগ এবং সরকারের থেকে মাছের চারা পেয়ে খুশি মৎস্যজীবীরা। বেসরকারি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করায় খরচ অনেকটা বেড়েছে। ফলে সাধারণ মৎস্যজীবীদের অনেকের পক্ষেই সেটা আজকাল আর সম্ভব হচ্ছিল না। এই অবস্থায় সরকারি পুকুরে মাছ চাষের সুযোগ পাওয়ায় তাঁদের রোজগারের সমস্যার সমাধান হল বলেও জানিয়েছেন অনেকেই। এক সরকারি আধিকারিক জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্পের আ‌ওতায় যে পুকুরগুলি খনন করা হয়েছিল সেই সমস্ত পুকুরে ধাপে ধাপে মাছ চাষ শুরু হবে। এর জন্য মৎস্যজীবীদের পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদানও দেওয়া হচ্ছে।

শুভজিৎ ঘোষ

Fish Farming: সাস্টেনেবল মৎস্য চাষ কী? জানতে নন্দীগ্রামে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা

পূর্ব মেদিনীপুর: বর্তমান সময়ে কোনও কিছুর উৎপাদন সাস্টেনেবল হওয়াটা খুব জরুরি। মাছ চাষের ক্ষেত্রেও বাড়ছে সাস্টেনেবল পদ্ধতির কদর। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ কর্মসংস্থানের নতুন দিশা দেখাচ্ছে। বা বলা ভাল মাছ চাষ থেকে আয় অনেকটাই বাড়িয়ে তুলেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম মাছ চাষের জন্য খ্যাতি লাভ করেছে। এই জেলায় রাজ্যের প্রথম সাস্টেনেবল মাছ চাষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। যার ফলে মাছ চাষ থেকে রোজগার অনেকটাই বেড়েছে মৎস্য চাষিদের। এই পদ্ধতিকে জানতে এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা হাজির হল নন্দীগ্রামে।

আরও পড়ুন: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে হলুদ ধাতুর দাম, সংসার চালাতে টোটো চালাচ্ছেন স্বর্ণ শিল্পীরা

সাস্টেনেবল মাছ চাষ কী? সাস্টেনেবল মাছ চাষ হল মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্রে একই সঙ্গে অন্যান্য কিছু চাষ করে রোজগার বাড়ানো। নন্দীগ্রামের কোথাও একই পুকুরে মাছ চাষের সঙ্গেই হচ্ছে কাঁকড়া চাষ। আবার কোথাও মাছ চাষের পাশাপাশি ভেড়ি বা পুকুরের পাড়ে চাষ করা হচ্ছে শাকসবজি।

আবার কোনও কোনও মৎস্যক্ষেত্রে মাছ চাষের পাশাপাশি হাঁস-মুরগিরও প্রতিপালন চলছে। ‌একই সঙ্গে পাশাপাশি দুটি চাষে একদিকে যেমন কাজের জন্য সময় কম লাগছে তেমনই খরচটাও অনেকটা কম হচ্ছে। ফলে মাছ চাষের পাশাপাশি একই জায়গায় অন্য কিছু চাষ করে চাষিদের রোজগার বাড়চ্ছে। এই বিষয়ে নন্দীগ্রামের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক জানান, অ্যাকোয়াটিক সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট মৎস্য চাষে বিরাট পরিবর্তন এনেছে। এর মাধ্যমে জৈব পদ্ধতিতে একই পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি হাঁস-মুরগির প্রতিপালন এমনকি বাক্স পদ্ধতিতে কাকড়া চাষ চলছে। নন্দীগ্রামে এই ধরনের মাছ চাষের পরিসর দিন দিন বাড়ছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যক্ষেত্রের অভূতপূর্ব মাছ চাষের পদ্ধতি শিখতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের এক দল ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষামূলক ভ্রমণ করল। এলাকার মাছ চাষের সাম্যক ধারণা লাভের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা একই পুকুরে মাছ-সবজি, হাঁস-মুরগি, জৈবচাষ, ঈষৎ নোনাজলের ভেনামি চিংড়ি, মিষ্টি জলের মাছ, চৌবাচ্চায় রঙিন মাছ চাষ, নদীতে মাছ ধরা সহ পুকুরে মাছ চাষের সঙ্গে সঙ্গে বাক্সে কাঁকড়ার চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করে।

সৈকত শী

Bengali News: মাছের ভেড়ি করতে ম্যানগ্রোভ কেটে সাফ, সুন্দরবনকেও শেষ করবে ওরা!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবারও পরিবেশের কথা চিন্তা না করে সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ কেটে সাফ করে ফেলা হল। কুলতলি থানার দেউলবাড়ি দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটামারী গ্রামের নৈপুকুরিয়া নদীর চরে মাছের ভেড়ি তৈরির জন্য ম্যানগ্রোভ কাটা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: জায়গার নাম আটের নম্বর, বাঁধের নাম আয়লা! এখানে এবার সবাই ছুটে আসবেন

ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে নদীর চরের ম্যানগ্রোভ কেটে বসতবাড়ি ও মাছের ভেড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে। নদীর একাধিক স্থানে ম্যানগ্রোভ কাটা হচ্ছে নির্বিচারে। কেটে ফেলা হয়েছে বানি, গরান, গেঁও সহ সুন্দরবনের জঙ্গলের বিভিন্ন গাছ। নিয়ম বহির্ভূতভাবে ম্যানগ্রোভ কাটার এই দায় স্থানীয় বাসিন্দা সুমন মণ্ডল ক্যামার সামনে স্বীকার করে নিয়েছেন। বলেন, মাছের ভেড়ি তৈরি করার জন্য তাঁরা গাছ কেটেছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, দূরে দাঁড়িয়ে আছে আর্থ রিমুভার। রাতের অন্ধকারে হবে ভেড়ি তৈরির কাজ। এইভাবে দিনের পর দিন সুন্দরবনের জঙ্গল ধ্বংস হলে জীব বৈচিত্র্যের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়তে শুরু করবে। কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ শাহাদাত শেখ স্বীকার করেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের প্রকল্প ম্যানগ্রোভ প্ল্যান্টেশন কিছু অসাধু ব্যক্তি নষ্ট করছে। যা নিয়ে প্রশাসনিক একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও তাই করা হবে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে তাঁরা মাঠে নামবেন বলেও জানান।

সুমন সাহা

Fish Farming: স্কুল প্রাঙ্গনে কিলবিল করছে মাগুর মাছ, মারাত্মক অভিযোগ বসিরহাটে

বসিরহাট: অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ স্কুল প্রাঙ্গনে। অবৈধ হাইব্রিড মাগুর মাছের চেম্বারে সমস্যায় ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা। স্কুলের পিছনে হাইব্রিড মাগুর মাছের মেছো ভেড়ি। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নাজেহাল ছাত্রছাত্রীরা। রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকেরা।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট-১ নম্বর ব্লকের অনন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা তিন শতাধিক। শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা মিলিয়ে সাতজন। প্রাচীন এই স্কুল থেকে বহু ছাত্র-ছাত্রীরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছেন। প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার রায় জানান, ‘স্কুল প্রাঙ্গণের যত্রতত্র নোংরা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে, বিশেষ করে স্কুলের জল নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। পিছনে একটা বেআইনি হাইব্রিড মাগুর মাছের চেম্বার তৈরি করা হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে পচনশীল খাবার এনে সেই পুকুরে ফেলছে মাছের খাবারের জন্য।’

স্কুলপ্রাঙ্গনে মাছের চাষ
স্কুলপ্রাঙ্গনে মাছের চাষ

আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস-কোলেস্টেরল থেকে বাঁচতে এই এক কোয়া রসুন সুপারহিট, আজই কিনুন হিমালয়ান গার্লিক

এই পরিবেশে মিড ডে মিলের খাবার খাচ্ছে স্কুল পড়ুয়ারা। তার থেকে রোগ জীবাণু উৎপত্তি হচ্ছে আর রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ তৈরি হচ্ছে। এজন্য ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে আসার সংখ্যা কমে গিয়েছে। চারিদিকে নোংরা আবর্জনায় ভর্তি হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের এই কথা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকরা স্কুল গেটেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।

আরও পড়ুন: পাতে তেজপাতা পড়লে ফেলে দেন, না পাতায় লেগে থাকা খাবার চেটে খান? জরুরি কথা জানুন

গ্রামবাসী মোস্তাকিন মণ্ডল বলেন, ‘চারিদিকে নোংরা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। ডেঙ্গির মশা উৎপত্তি হচ্ছে, পাশাপাশি এখানে বেআইনি একটি মাছের চেম্বার তৈরি করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাদের মুনাফা অর্জন করার জন্য হাইব্রিড মাগুর মাছের চাষ করছে। আমরা চাই এর একটা সুস্থ বিহিত, স্কুলের শিশুরা সুস্থ পরিবেশে এসে তারা পড়াশোনা করুক। এই দাবি নিয়ে আমাদের আন্দোলন বিক্ষোভ চলবে।’

জুলফিকার মোল্যা

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F