Tag Archives: fisheries

Elephant Attack: মাছ ধরতে গিয়ে বাড়ি ফেরা হল না বৃদ্ধের, আছড়ে মারল হাতি!

আলিপুরদুয়ার: মাছ ধরতে জঙ্গলে চলে গিয়েছিলেন। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। জংলি হাতির সামনে পড়ে যান বৃদ্ধ মুজাতি রাভা (৬২)। তাঁকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে হাতি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের।

এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার পানবাড়ি এলাকায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে কালচিনি থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে পানবাড়ির বাসিন্দা মুজাতি রাভা মাছ ধড়তে জঙ্গলে গিয়েছিলেন। সেখানে হঠাৎই এক বুনো হাতি তাঁকে আক্রমণ করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আর‌ও পড়ুন: তৃতীয় দিনেও রামপুরহাট মেডিকেলে আন্দোলন জারি

এদিকে বিষয়টি প্রথমে কেউ টের পাননি। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে এলেও ওই বৃদ্ধ বাড়ি না ফেরায় তাঁর সন্ধান শুরু হয়। তাঁর খোঁজ না পেয়ে শেষে পরিজনরা কালচিনি থানার দ্বারস্থ হয়। এরপর পুলিশ পরিবারের সদস্যদের বয়ান অনুসারে জঙ্গলে খোঁজ শুরু করে। তারপর‌ই উদ্ধার হয় ওই বৃদ্ধের দেহ। পাশে হাতির পায়ের ছাপ মেলে। বিষয়টি জানানো হয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

অনন্যা দে

Fish Food: মাছের খাবারের চাহিদা মেটাতে সরকারি উদ্যোগ, বিপুল কর্মসংস্থান এই জেলায়

পূর্ব মেদিনীপুর: জেলায় মাছ চাষের পরিমাণ ক্রমশ‌ই বাড়ছে। ফলে মাছের খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। আর এই চাহিদা মেটাতে অন্যান্য রাজ্য থেকে মাছের খাবার আমদানি করতে হচ্ছে। তবে এই প্রথম জেলায় সরকারিভাবে মাছের খাদ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হল। এতে জেলাজুড়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মাছ চাষের প্রসার বাড়ছে। মাছ চাষের প্রসার যত বাড়ছে জেলায় মাছের খাদ্যের চাহিদা তুঙ্গে উঠছে। এদিকে মাছের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে তার বেশিরভাগটাই বর্তমানে আমদানি করা হয় অন্ধ্রপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে। এই শূন্যস্থান পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

আর‌ও পড়ুন: চরম লড়াই করে প্রতিটা দিন বাঁচছেন পুরুলিয়ার এই এলাকার মানুষরা

ধান ও পান চাষের পর মাছ চাষ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে দাঁড়িয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না, তমলুক, শহীদ মাতঙ্গিনী, কাঁথি, কোলাঘাট, নন্দকুমার ও চন্ডিপুর সহ বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে মাছ চাষের উদ্যোগ বাড়ছে। জেলার সিএডিসি প্রকল্পে ইড়িঞ্চিতে গড়ে উঠেছে ফিস ফিড উৎপাদনের ইউনিট। এই ইউনিটের প্রধান লক্ষ্য জেলাজুড়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছের খাদ্য সরবরাহ করা।

এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সিএডিসির ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর উত্তম কুমার লাহা জানান, সরকারি উদ্যোগে ফিস ফিড উৎপাদনের ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে দু’দিক থেকে লাভবান হবে এই জেলার মানুষ। একটি দিক হল এই ফিস ফিড উৎপাদন ইউনিট গড়ে তোলার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে মাছ চাষিদের মাছ চাষের খরচ বেশ কিছুটা কমবে। কারণ জেলায় ফিস ফিড উৎপাদন ইউনিট গড়ে তোলার ফলে মাছের খাদ্যর দাম অনেকটাই কম হবে। ফলে মাছ চাষিরা বেশি লাভ করতে পারবেন মাছ চাষ করে।

সৈকত শী

Fish Farming: ভেটকি-ইলিশকে দামে টেক্কা দিচ্ছে কই! বাড়ির চৌবাচ্চায় চাষ করে মালামাল হয়ে যান

পূর্ব মেদিনীপুর: কই, শিঙি, মাগুর সহ একাধিক বিলুপ্তপ্রায় জিওল মাছ ফিরিয়ে আনতে সরকারি উদ্যোগ। বাজারে জিওল মাছের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কৃষকদের চাষ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে নতুন কর্মসংস্থান যেমন হবে তেমনই মৎস্য চাষিদের আয়ও বাড়বে।

আরও পড়ুন: চলতে চলতে চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারাল ট্রাক, সজোরে ধাক্কা চলন্ত অটোয়…

গ্রাম বাংলার খাল-বিল, পুকুর-ডোবায় এক সময় কিলবিল করত এইসব জিওল মাছ। এগুলো মানুষের শরীরের পক্ষে যেমন উপকারী তেমনই সহজলভ্য ছিল। তখন কেউ টাকা দিয়ে কই, শিঙি, মাগুর মাছ কিন্তু না। কিন্তু এখন এইসব মাছের দাম ইলিশ, ভেটকিকে পর্যন্ত টেক্কা দিয়ে যায়! আর তাই এই মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এই অবস্থায় মৎস্য চাষিদের আয় বাড়াতে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সরকার।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন জিওল মাছ সরকারি উদ্যোগে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। শুধু জিওল মাছের চাষের পরিসর বৃদ্ধি করাই নয়, সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য‌ও রাখা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন জিওল মাছের চাষ শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা ও রাজ্য গ্রাম উন্নয়ন দফতরের সহায় সিএডিসির প্রকল্পে কই মাছ চাষ শুরু হয়েছে। তবে সরাসরি পুকুর-ডোবা কিংবা খাল-বিলে নয়, চৌবাচ্চায় কই মাছের চাষ শুরু করা হয়েছে। কই মাছের চাষ শুরু করার পাশাপাশি এই মাছ চাষের সম্প্রসারণ ও ব্যাপ্তি ঘটাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে। চৌবাচ্চায় কইমাছ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। কম খরচে সহজেই চৌবাচ্চায় কই মাছের চাষ সম্ভব। ফলে কর্মসংস্থানের দিক থেকে চৌবাচ্চায় কই মাছ চাষ উপযোগী।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বাড়িতে চৌবাচ্চায় সহজে কই মাছের চাষ হয়। কই মাছের চাষের জন্য সময় লাগে চার থেকে পাঁচ মাস। একটি ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থ এবং ২.৫ ফুট গভীরতা যুক্ত চৌবাচ্চায় ১০০ কেজি কই মাছ চাষ করা যায়। কই মাছের বর্তমান বাজার মূল্য থেকে হাফ খরচে কই মাছের চাষ হয়। বিলুপ্তপ্রায় জিওল মাছ কই ফেরাতে সিএডিসি প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে কই মাছের পোনা উৎপাদনের পাশাপাশি চৌবাচ্চায় কই মাছ চাষ করা শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য এবং জিওল মাছের সম্প্রসারণ এর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও চলছে। সিএডিসির প্রজেক্ট ডিরেক্টর উত্তম কুমার লাহা জানান, কই মাছ প্রায় বিলুপ্ত হওয়ায় বাজারে চড়া দাম রয়েছে। পুরোপুরি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে না হলেও মাটির চৌবাচ্চায় পলিথিন দিয়ে কই মাছের চাষ সম্ভব।

সৈকত শী