কেউ যদি এবার শীতে নিজেকে প্রকৃতির সঙ্গে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে কোরবা জেলা হয়ে উঠবে একটি দুর্দান্ত ভ্রমণ বিকল্প। এই জেলাটি নিজের শিল্প অবদানের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে অনেক সুন্দর পর্যটন স্থান রয়েছে, যা সকলকে প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যায়। তাছাড়া পশ্চিম বরাবরই বাঙালির শীতের গন্তব্যে আলাদা জায়গা করে রেখেছে। তাই এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোরবায় কোন কোন জায়গাগুলো ঘুরে দেখার জন্য সেরা, যেখানে যে কেউ আরামদায়ক কিছু মুহূর্ত কাটাতে পারেন।
কখনও কখনও আমাদের দ্রুত গতির জীবনে একটি বিরতির প্রয়োজন হয়। নতুন কিছু দেখতে এবং প্রকৃতির মাঝে নিজেদেরকে সংযুক্ত করার জন্য সেরা জায়গা হল এটি। শুধু প্রকৃতির শোভার সম্ভারই নয়, একই সঙ্গে কোরবা জেলা তার শিল্প অবদানের জন্যও পরিচিত। তাই জেনে নেওয়া যাক কোরবাতে দেখার মতো জায়গাগুলি, যেখানে যে কেউ যেতে পারেন।
কাঙ্কি- এই গ্রামের বিশেষত্ব হল প্রাচীন কঙ্কেশ্বর মহাদেব মন্দির। এই মন্দিরে অনেক ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে এবং এখানে স্বয়ম্ভূ শিবলিঙ্গ রয়েছে। এখানে পৌঁছে যে কারও মনে হতে পারে, যেন ইতিহাস এবং সংস্কৃতি এখনও একসঙ্গে পথ হেঁটে চলেছে।
আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির ঘটনায় বড় চাপে CPIM নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য! পুলিশ থেকে দল, বিপদ সব জায়গায়
দেবপাহাড়ি জলপ্রপাত – এই জলপ্রপাতটি চোরনাই নদী দ্বারা গঠিত এবং এই জায়গা গোবিন্দ ঝুলা নামেও পরিচিত। এই জলপ্রপাতটি প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটকদের আকর্ষণ করে। তবে এখানে পরিবেশ উপভোগ করার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেকিং এবং ক্যাম্পিংয়ের মতো কার্যক্রমেও অংশ নেওয়া যায়। অভিযানের রোমাঞ্চ শরীরে আর মনে থেকে যাবে আজীবন।
কেন্দাই জলপ্রপাত – এই জায়গাটি পিকনিক এবং অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য একটি স্বর্গরাজ্য। কিছু খাবার নিয়ে অনায়াসে কাটিয়ে ফেলা যায় একবেলা, পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়ে উঠবে।
চৈতুরগড় – এখানে রয়েছে মহিষমর্দিনী মন্দির, যা ১০৬৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে চারদিকে ছড়িয়ে থাকা বিশাল মাইকাল পর্বতের মধ্যে অবস্থিত। এই মন্দিরের শোভা সকলকে মুগ্ধ করে। এই এলাকা ভ্রমণ এবং ট্রেকিংয়ের জন্য খুবই বিখ্যাত।
গোল্ডেন আইল্যান্ড – এখানকার শান্ত পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই আনন্দদায়ক। এখানে ক্যাম্পিং, ট্রেকিং এবং ফিশিংয়ের মত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে। এই জায়গাটি বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে কাটানোর জন্য উপযুক্ত। অস্তগামী এবং উদীয়মান সূর্যের রশ্মি এখানকার চারপাশকে এমনভাবে মুড়ে দেয় যেন এটি সোনার আস্তরণে ঢেকে গিয়েছে।