পূর্ব বর্ধমান: সোমবার গোটা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী। পুরাণ মতে, এই দিনটিতেই ভগবান বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণ রূপে জন্ম নিয়েছিলেন। অর্থাৎ দিনটিকে শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি বলা হয়। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাতেও মহা ধুমধাম এর সঙ্গে তিনটি পালন করা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও বিভিন্ন জায়গায় পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী।
প্রতি বছরের মত এই বছরও মহা ধুমধাম সহকারে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী। বর্ধমান রাজার তৈরি প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন রাধা বল্লভ মন্দিরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও প্রাচীন রীতিমেনে পালিত হল শ্রীকৃষ্ণ অষ্টমী বা জন্মাষ্টমী। এই উপলক্ষে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয় মন্দির প্রাঙ্গণ। সকাল থেকেই বর্ধমান শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা আসেন পুজো দেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: ক্যানিং শহরে রাতভর পুলিশের টহলদারি
এই মন্দির এবং জন্মাষ্টমী প্রসঙ্গে রাধা বল্লভ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বিপ্র ব্যানার্জী জানান এখানে প্রায় ২০০ বছর ধরে জন্মাষ্টমীর ব্রত এবং উৎসব পালন করা হচ্ছে। ১৭৪২ শকাব্দে এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই জন্মাষ্টমী উৎসব শুরু হয়। তখন জন্মাষ্টমী উৎসব ছিল প্রধান উৎসব এবং আজও জন্মাষ্টমী এখানকার প্রধান উৎসব হিসেবেই পালিত হয়। প্রচুর মানুষ এই দিনটিতে মন্দিরে সমবেত হন। এই দিন এখানে বিভিন্ন রকম তালের খাবার শ্রীকৃষ্ণকে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয়। এছাড়াও সুজির হালুয়া, ছোলা সিদ্ধ, রসগোল্লা, মালপোয়া, রাবড়ি প্রভুকে দিতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফল দেওয়া হয়।
পুজো দিতে এসে বর্ধমান শহরের বাসিন্দা তথাগত কোনার বলেন, প্রত্যেক বছর এখানে পুজো দিতে আসি, এবছরও এসেছি। ভিড় ভালই রয়েছে। মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের কথায়, তৎকালীন সময়ে বর্ধমান রাজা এই রাধা বল্লভ মন্দির নির্মাণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার পুজো করার জন্য। সেই থেকে প্রায় ২০০ বছর ধরে মহা সমারোহে কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পুজো পালিত হয়ে আসছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী