Kuwaiti amnesty scheme will allow expatriates to resolve residency violations or depart within a specified period. (Image: Reuters/Representative)

Kuwait: প্রবাসীদের জন্য অ্যামনেস্টি স্কিম ঘোষণা কুয়েত সরকারের; তারপর থেকেই তুঙ্গে উঠেছে ভারতীয় দূতাবাসের ব্যস্ততা

কুয়েত সিটি: সম্প্রতি অ্যামনেস্টি বা সাধারণ ক্ষমা স্কিমের কথা ঘোষণা করেছে কুয়েত সরকার। এরপর থেকেই অসংখ্য অনুসন্ধান সংক্রান্ত আবেদন জমা পড়তে থাকে কুয়েতের ভারতীয় দূতাবাসে। সোমবারই দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে যে, অন্যান্য কনস্যুলার পরিষেবাগুলি বজায় রাখার পাশাপাশি জরুরি শংসাপত্র এবং পাসপোর্ট ইস্যু করার বিষয়টাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স-এ একটি পোস্ট করে দূতাবাস জানিয়েছে যে, “অন্যান্য কনস্যুলার পরিষেবাগুলি পরিচালনা করার পাশাপাশি জরুরিকালীন সার্টিফিকেট এবং পাসপোর্ট ইস্যু করার বিষয়টির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ভ্রমণ নথি প্রদানের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরামর্শ জারি করা হবে। এখানেই শেষ নয়, দু’টো নম্বরও দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে সাহায্য চাইতে পারবেন ভারতীয়রা। আর সেই নম্বর দু’টি হল +965 65501767 এবং +965 65501769।

আরও পড়ুন– গলির সরু দোকান থেকে মশলা জগতের সম্রাট; বছরে ৩৭০ কোটি প্যাকেট বিক্রি, বিজ্ঞাপন করেন অমিতাভ-শাহরুখ

আসলে কুয়েতে বসবাসকারী আইন লঙ্ঘনকারীদের জন্য তিন মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল কুয়েতের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। সেই অ্যামনেস্টি স্কিমের আওতায় দেশে বেআইনি ভাবে বসবাসকারী প্রবাসীরা এখন জরিমানা প্রদান করে এবং নতুন বাসস্থান গ্রহণ করে কিংবা জরিমানা ছাড়াই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থা সংশোধন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন– গমের ক্ষেতে রাতারাতি গজিয়ে উঠল পাহাড় ! বিশ্বের কাছে গোপন করেছিল জাপান, কীভাবে সামনে এল?

এই স্কিম কার্যকর হয়েছে গত ১৭ মার্চ থেকে। আর তা জারি থাকবে আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত। যাঁরা বেআইনি ভাবে কুয়েতে বসবাস করছেন, তাঁরা প্রতিদিন ২ কেডি (কুয়েতি দিনার) সর্বাধিক ৬০০ কেডি জরিমানা দিয়ে নিজেদের স্টেটাস রেগুলারাইজ করতে পারেন।

তবে যাঁরা এই জরিমানা প্রদান করতে পারবেন না, তাঁরা কোনও জরিমানা ছাড়াই যে কোনও একজিট পয়েন্ট দিয়ে দেশের বাইরে চলে যেতে পারেন। তবে ফের ওই দেশে ফেরার ক্ষেত্রে তাঁদের নতুন কিছু নিয়ম মানতে হবে। কুয়েত সরকার জানিয়েছে যে, এই সমস্ত নির্দেশ না মানলে আইনি শাস্তি এবং নির্বাসনের মুখে পড়তে হবে। যেসব বাসিন্দারা প্রশাসনিক বাধা-বিপত্তি অথবা আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন, তাঁরা পর্যালোচনার জন্য রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টে আবেদন জানাতে পারেন।