মণ্ডলাকালী

Local News: পাঁতিয়াল গ্রামের মণ্ডলাকালী ভক্তের কোনও বাসনা অপূর্ণ রাখেন না

হাওড়া: পাঁতিহাল গ্ৰামে আজ‌ও বহু ভক্তের ঢল নামে মণ্ডলাকালীর পুজোর জন্য। ভক্তদের বিশ্বাস মা সদা জাগ্রত। দেবীর কাছে কোন‌ও মনস্কামনা জানালে তা পূরণ হয় বলে যুগের পর যুগ ধরে প্রচলিত হয়ে আসছে। তবে এই পুজোর সূচনা ঠিক কবে তা জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: মন্দিরে কীর্তন শুনতে গিয়ে যা ঘটল! সাবধান হন আপনিও

অনেকে অনুমান করেন, অন্তত সাড়ে তিনশো বছর আগে পাঁতিহাল গ্রামের মণ্ডলাকালীর পুজো শুরু হয়েছিল। গ্রামের বর্ধিষ্ণু ঘোষাল পরিবারে মা পূজিত হতেন। পরে কাঁলাচাদ রায়কে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন, মণ্ডলা নামক স্থানে দিঘির (বর্তমানে যেটি মণ্ডলা পুকুর) পাশে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করতে। সেই মত কাঁলাচাদ রায় ঘোষাল পরিবারের দ্বিতীয় পুরুষ গৃহীসাধক রামশরণ ঘোষালের সহযোগিতায় পঞ্চমুণ্ডের বেদীতে জৈষ্ঠ্য মাসের ফলহারিনী অমাবস্যায় কালী পুজো শুরু করেন। মায়ের পুজোর প্রচলন নিয়ে বহু জনশ্রুতি লোকমুখে প্রচলিত। প্রথমদিকে মাটির দেওয়ালে হোগলা পাতার ছাউনি দিয়ে ছিল মায়ের মন্দির। ১৩২২ বঙ্গাব্দে বেচারাম রায় মহাশয় মায়ের মন্দির নির্মাণ করেন। এই মন্দিরের গঠনশৈলী দালান আকৃতির, মন্দিরের সামনে প্রশস্ত নাটমন্দির।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পুজোর দিন ভোর থেকে মণ্ডলা ঘাটে উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়। বহু পুণ্যার্থী মায়ের পুকুরে স্নান করেন। বহু ভক্ত সূদুর গঙ্গা থেকে গঙ্গাজল নিয়ে আসেন। পুজোর দিন দুপুরে শোভাযাত্রা সহকারে মৃন্ময়ী মূর্তি আসে মাথায় চড়ে। এখানে কোন‌ও গাড়িতে দেবীকে তোলার নিয়ম নেই। মাতৃ মূর্তি আসে বালিয়া গ্রাম থেকে। মাথায় করে মূর্তি নিয়ে আসা হয়। তারপর নিয়ম রীতি মেনে পুজো শুরু হয়। ভোরবেলায় সূর্যদয়ের আগে দেবীর মঙ্গলঘট নিরঞ্জন করা হয়। মণ্ডলাকালীর মৃন্ময়ী মূর্তি অম্বুবাচী নিবৃত্তির এক সপ্তাহ পরে যে শনিবার আসে সেদিন বিকালে নিরঞ্জন দেওয়া হয়। মা মণ্ডলাকে নিয়ে ছড়িয়ে আছে নানা কিংবদন্তি। আজ থেকে বহু বছর পূর্বে মায়ের ঘাট থেকে একটি বড়ো খড়্গ পাওয়া গিয়েছিল। পুজোর সময় সেই খড়্গ মন্দিরে আনা হয়।

রাকেশ মাইতি