জলপাইগুড়ি: তিস্তার জল খানিক কমতেই কাঠ কুড়োবার ধুম! তিস্তায় নেমে জলের তোড়ে ভেসে আসা কাঠ জোগাড় করা এদের কাছে যেন উৎসবসম! দুর্গাপুজার মরশুমেও জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে আনন্দের রসদ খুঁজে পায় তিস্তা পাড়ের আট থেকে আশির জনসাধারণ। এমনই হৃদয় স্পর্শী ছবি চোখে পড়ল জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড় সংলগ্ন এলাকায়।
বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজার আনন্দে সক্কলে মেতে উঠলেও, জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীর পাড়ে একদল কচিকাঁচা থেকে শুরু করে মহিলা বা পুরুষ দিন যাপনের জীবনযুদ্ধে লিপ্ত। পেট চালানোর জন্যে রান্নার গ্যাস নয় বরং কাঠের ‘লাকড়ি’ (টুকরো) দিয়েই হয় রান্নাবান্না। আবার অনেকে এসব কাঠ বাইরে বিক্রি করে কিছু অর্থ উপার্জনের পথ খুঁজে নেয়।
জলের তোড়ে তিস্তার বুকে ভেসে আসা কাঠ! দুর্গাপুজার আগে থেকেই তাই তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা নদীতে নেমে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে ব্যস্ত। এই কাঠই তাদের সারা বছরের জ্বালানির প্রধান উৎস। তিস্তার নদীর তীব্র স্রোতের মধ্যে নেমে কাঠ সংগ্রহ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও জীবনের প্রয়োজনেই এই কাঠ সংগ্রহ।জীবনের ঝুঁকি থাকলেও সেই কাঠ সংগ্রহ করার জন্য মুখিয়েথাকে এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুনঃ ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেটারদের স্যালারি পার্থক্য জানেন? রোহিত-বিরাটদের ধারে কাছে নেই বাবর-শাহিনরা
একদিকে যেমন জীবিকার উৎস, অন্যদিকে তাদের জীবনকেও চিন্তারমুখে ফেলে এই তিস্তাই! তবে জীবনকে এক প্রকার বাজি ধরেই তিস্তার বুক থেকে এই কাঠ সংগ্রহ চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। এক কথায় বলাই যায় জীবন বাঁচাতে জীবন বাজি রাখেন তিস্তা পারের বাসিন্দারা।
সুরজিৎ দে