আরতি এবং মায়া দেবনাথ 

Old Women Struggle: মা-ঠাকুমাকে ফেলে বাড়ি বিক্রি গুণধর নাতির, পাঁচিল টপকে যাতায়াত তিন বৃদ্ধার

পূর্ব বর্ধমান: বসবাসের জন্য বাড়ি থাকলেও যাতায়াত করার জন্য নেই কোনও রাস্তা। তাই গত পাঁচ বছর ধরে পাঁচিল টপকে যাতায়াত করছেন কালনার তিন বৃদ্ধা। এমন ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চমকে গিয়েছেন সবাই। রীতিমত জিমন্যাস্টদের মত শারীরিক কসরত করে তবে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন ওই তিন বয়স্ক মহিলা।

পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। এখানেই বাড়ি সন্ধ্যা দেবনাথের। তাঁর বয়স ৬০ পেরিয়েছে। বর্তমানে তিনি দৃষ্টিহীন মেয়ে মায়া এবং অসুস্থ বৌমা আরতি দেবনাথকে নিয়ে ছোট্ট টিনের চালের ঘরের মধ্যে বসবাস করেন। সূত্রের খবর, সন্ধ্যা দেবনাথ প্রায় বছর ছয় আগে তাঁর পুরো সম্পত্তি নাতির নামে লিখে দেন। পরবর্তীতে নাতি সম্পত্তি বিক্রি করে পরিবার নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। যদিও বৃদ্ধা মা, ঠাকুমা এবং পিসিকে সঙ্গে নিয়ে যাননি তিনি। আর তাই বর্তমানে এই তিন বৃদ্ধাকে বেহাল পরিস্থিতির মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: দাবদাহ শুরু হতেই সুইমিং পুলে ছুটছে বাঁকুড়া

এই প্রসঙ্গে সন্ধ্যা দেবনাথের বৌমা আরতি দেবনাথ বলেন, ছেলে বাড়ি বিক্রি করে চলে গেল। এটাও বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। এই বাড়ি আমার শাশুড়ির নামেই আছে। কিন্তু এখন আমাদের যাতায়াত করতে, খাওয়া-দাওয়া সব কিছুতেই অসুবিধা হয়। ছেলে আসেও না, খোঁজও নেয় না।

দীর্ঘদিন ধরে প্রাচীর টপকে যাতায়াত করতে হয় প্রবল সমস্যার মুখে পড়েছেন তারা। এমনকি এই তীব্র গরমের মধ্যেও বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই দিন কাটাতে হচ্ছে। পানীয় জল আনতেও তাঁদের পাঁচিল টপকাতে হয়। রেশনের থেকে পাওয়া চাল দিয়ে কোন‌ওরকমে পেট ভরে।

এদিকে তিন বয়স্ক মহিলার এই জীবন যন্ত্রণার কথা জানতে পেরে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছেন কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী