কৃষ্ণনগর লোকসভা নির্বাচনের অতীত ও বর্তমান

Lok Sabha Election 2024: কৃষ্ণনগর এবার হেভিওয়েট কেন্দ্র! মহুয়া বনাম ‘রানিমা’ লড়াইয়ের কী হাল? জানুন

কৃষ্ণনগর: ২০১৬ সালে করিমপুর বিধানসভা আসন থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। ২০১৯ সালে আবার তিনিই হন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। ২০১০ সালে এরপর তৃণমূলে যোগদান মহুয়া প্রথমে বিধায়ক এবং পরে সাংসদ হন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে।

আরও পড়ুন: YouTube-ভিডিও থেকে কত টাকা আয় হয়? ১ মিলিয়ন ভিউজ হলে কত রোজগার হয়? ৯৯% লোকজনই জানেন না

পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ চতুর্থ দফা লাইভ

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মোট আটজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। বহুজন সমাজবাদী পার্টির হয়ে দাঁড়িয়েছেন অমল চন্দ্র সরকার। কৃষ্ণনগরের রানীমা অমৃতা রায় দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে আবারওলোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরের প্রার্থী করেছেন এস এম সাদীকে। অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছেন আফরোজা খাতুন মন্ডলকে। সোশালিস্ট ইউনিটি সেন্টার অফ ইন্ডিয়া (কমিউনিস্ট) পার্টির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন ইসমত আরা মন্ডল। এছাড়াও দুজন প্রার্থী রয়েছেন নির্দলে। অলীক কুমার কুন্ডু যার প্রতীক চিহ্ন হিরে, নিমাই বিশ্বাস যার প্রতীক চিহ্ন আখচাষী।

কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র মূলত তেহট্ট, পলাশীপাড়া, কালীগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, চাপড়া, কৃষ্ণনগর উত্তর ও কৃষ্ণনগর দক্ষিণ এই সাতটি ভাগে বিভক্ত। এবছর কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মোট পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৯০৬১২৫ এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৮৪৮২২৬ তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ২৬ সর্বমোট ভোটারের সংখ্যা ১৭৫৪৩৭৭। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মোট পোলিং স্টেশন রয়েছে ১৮৪১ টি।

আরও পড়ুন: বাড়ির এই জায়গায় কখনও রাখবেন না ইনভার্টার, সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে ব‍্যাটারি!

কৃষ্ণনগর লোকসভায় সাফল্য বজায় রাখতে পারলেও একটু একটু করে জয়ের ব্যবধান কমছে তৃণমূলের। ২০১৯ সালে প্রাক্তন ফুটবলার কল্যান চৌবে যখন বিজেপির টিকিটে দ্বিতীয় স্থানে চলে যান তখন তৃণমূল ভোট পায় ৪৫ শতাংশ এবং বিজেপি পেয়েছিল ৪০.৩৭ শতাংশ। সিপিএম ও কংগ্রেসের যৌথ ভোট দাঁড়ায় ১১ শতাংশের কাছাকাছি।

কল্যাণকে এবার দাঁড় করায়নি বিজেপি। তার বদলে কে দাঁড়াবে বিজেপির হয়ে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তা নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। বহু টানাপোড়নের পর অবশেষে কৃষ্ণনগরের ‘রানীমা’ অমৃতা রায়ের নাম ঘোষণা করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।

সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কৃত মহুয়া মৈত্রকে পুনরায় নির্বাচনের টিকিট দেয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। আবারও দিল্লির সাংসদে পাঠানোর জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির পক্ষ থেকেও তাদের প্রার্থী রানীমাকে জেতানোর জন্য একের পর এক উচ্চসারির নেতা ইতিমধ্যেই রানীমার হয়ে প্রচার করে গিয়েছেন। তার মধ্যে নাম রয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও!

বর্তমান পরিস্থিতিও ভোটের অংক নিয়ে প্রধানত দুইফুলেই এবার হাড্ডা হাড্ডি লড়াই। যারা যায় গত লোকসভা নির্বাচনে মহুয়া মৈত্রের জয়ের অন্যতম কারণ ছিল চাপড়া, পলাশীপাড়া, নাকাশিপাড়া ও কালীগঞ্জ বিধানসভা।

অন্যদিকে বিজেপি এগিয়েছিল কৃষ্ণনগর উত্তর, দক্ষিণ এবং তেহট্টে। চাপড়া তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ শুধুমাত্র এই একটি আসনেই গতবার প্রায় পঞ্চাশ হাজার ভোটে এগিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। ঠিক তেমনই কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপি এগিয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার ভোটে।

তবে সেইসব ভোটে ভাগ বসাতে সিপিআইএম এবার প্রার্থী করেছে প্রাক্তন বিধায়ক এস এম সাদিকে। সঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকীর দল আইএসএফের মহিলা প্রার্থী আফরোজা খাতুন রয়েছে সংখ্যালঘু ভোট টানার জন্য। সব মিলিয়ে এবছরে কৃষ্ণনগর লোকসভার ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে দুই ফুলের মধ্যেই।

Mainak Debnath