দক্ষিণ ২৪ পরগনার: সুন্দরবনের কুলতলি-মৈপীঠ থেকে জয়নগর আসতে নিত্য দুর্ভোগ পোহাতে হয় মানুষকে। ২৫-২৬ কিমি দূরে জয়নগরে এসে ট্রেন ধরতে হয় যাত্রীদের। তাই লোকসভা ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এলাকায় এলে নতুন রেলপথের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪
এই প্রসঙ্গে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল বলেন, সংসদে এই রেলপথের দাবি অনেকবার জানিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার গুরুত্ব দেয়নি। সেই কথা প্রচারে মানুষকে জানাচ্ছি। ফের সংসদে যাওয়ার সুযোগ পেলে এই দাবিতে সোচ্চার হব। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারী বলেন, সুন্দরবনের মানুষ সঠিক দাবিই জানিয়েছেন। প্রচারে গিয়ে এই দাবির কথা আমাকেও শুনতে হয়েছে। তৃণমূলের সাংসদ মানুষের দাবিকে এতদিন গুরুত্বই দেননি। উল্টোদিকে, এসইউসিআই প্রার্থী নিরঞ্জন নস্কর বলেন, গরিব মানুষের দাবি সাংসদরা লোকসভায় তোলেন না। মানুষের দুর্ভোগ জয়নগর যন্ত্রণার কথা লোকসভায় তুলে ধরতে হবে।
আরও পড়ুন: সেচের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে সিরকাবাদের ঐতিহ্যবাহী আখ চাষ
কুলতলির প্রাণকেন্দ্র জামতলা। এই জামতলা মোড় থেকেই জয়নগরের অটো, বাস, ট্রেকার ছাড়ে। কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ থেকে জামতলার দূরত্ব ৩৩ কিমি। মৈপীঠের গঙ্গার ঘাট থেকে মাত্র একটি সরকারি বাস কয়েক মাস আগে চালু হয়েছে। যেটি কলকাতায় যায়। তবে সিংহভাগ মানুষই জয়নগর-মজিলপুর স্টেশন থেকে ভিড়ে ঠাসা ট্রেনে চেপে প্রতিদিন কলকাতায় যান। এই ব্যবস্থার বদল চাইছেন কুলতলি-মৈপীঠের মানুষজন। যে প্রার্থীই গ্রামে প্রচারে আসছেন, তাঁর কাছেই এই দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। ভোট এসেছে। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি আসছেন। আর তাঁদের রেলপথের দাবি জানালে আশ্বাস দিয়েই চলে যাচ্ছেন।
সুমন সাহা