প্রতীকী ছবি৷

Lok Sabha Election 2024: হাতে লাল ঝান্ডা বুকে দলনেত্রীর ট্যাটু! মীনাক্ষীর সভায় হাজির এক লোক! ইনি কে?

হুগলি: বুক চিতিয়ে লড়াই করার সাহস সব রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা দিয়ে থাকেন তাদের কর্মী সমর্থকদের। বিশেষ করে নির্বাচন যখন দরজার করা নারে সেই সময় বুক চিতিয়ে লড়াই করার। লড়াইয়ের ময়দানে যদি প্রিয় নেতা বা নেত্রী সঙ্গে থাকে তাহলে বুকে বল পায় কর্মীরা। আর প্রিয় নেত্রীকে যদি সব সময় বুক দিয়ে আগলে রাখতে হয় তাহলে হয় তো কমরেড সুজিত বুসের মতন করতে হয়। নিজের প্রিয় নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ছবি বুকে পার্মানেন্টলি ভাবে ট্যাটু করিয়ে নিয়েছেন এই কমরেড।

আরও পড়ুনঃ ঝেপে আসছে বৃষ্টি! ২ ঘণ্টায় ঝড়জল উত্তরের ৩ জেলায়! শুক্র থেকে বড় বদল আবহাওয়ার

চুঁচুড়া পিয়ারা বাগান কদম তলার বাসিন্দা সুজিত বসু। পেশায় একজন ক্যাটারিং এর ব্যবসায়ী সুজিত। বলা চলে সুজিতের পরিবার লাল ঝাণ্ডার পরিবার। বাবা কাকা জ্যাঠা জন্ম থেকেই তিনজনকে দেখেছেন সিপিএম করতে। সেই থেকে দলের প্রতি আস্থা ও ভালোবাসা জন্মায় সুজিতের। আজ থেকে বছরখানেক আগে দলের প্রতি ভালোবাসা ও দলনেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা থেকে প্রিয় দলনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ছবি নিজের বুকে ট্যাটু করিয়েছেন সুজিত। সুজিতের এহেনকর্মকাণ্ডের খবর মীনাক্ষী শুনে বললেন লড়াইটা জারি রাখতে।

লোকসভা ভোটের প্রচারে বামেদের সভায় ভীড় হচ্ছে ভালই। বিশেষ করে মীনাক্ষীদের মত বাম যুবদের সমাবেশে। বুধবার সন্ধায় চুঁচুড়া ডিআই মাঠে হুগলির বাম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষের সমর্থনে সভা করেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী। সেই সভায় দেখা যায় এক বাম কর্মীকে। লাল ঝান্ডা হাতে দাঁরিয়ে। তার বুকে ট্যাটু করা মীনাক্ষীর ছবি।এখনওবুদ্ধ বাবু জীবিত। রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম থেকে অনেক বাম নেতৃত্ব থাকতে মীনাক্ষীর ছবি কেন বুকে খোদাই করলেন? এই প্রশ্নে সুজিত বোস বলেন, ‘মীনাক্ষী আমাদের ক্যাপ্টেন। সে যে ভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে তাকে স্যালুট জানাতে এই ট্যাটু্।ভক্তের ট্যাটু করা প্রসঙ্গে মিনাক্ষি বলেন, ভক্ত বলবেন না। আমরা একসঙ্গে রাস্তায় লড়াই আন্দোলনে থাকি।কোন কর্মীকে কোন নেতার বা কোন নেতাকে কোন কর্মীর হয়ত পছন্দ হয় সেই পছন্দের ভীতটা হলো রাজনীতি।সেই পছন্দের ভীতটা হল আদর্শ।সেই পছন্দ হলরাস্তায় থেকে লড়াইয়ের জেদ।ফলে সেইটা যখন এক জায়গায় থাকে তখন মানুষ মানুষকে ভালোবাসে।এবং তারা সেইসব কাজ করে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।এই কালচার যাতে নেগেটিভ দিকে না গরিয়ে যায় মাথাটা ঠিক রেখে আমরা দেশ রাজ্য বাঁচানোর লড়াই এ হাতে হাত ধরে থাকতে পারি।’

রাহী হালদার