স্বাস্থ্য কেন্দ্র

Medicinal Plants: বীরভূমের এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলেই পাবেন ডবল পরিষেবা! সবটা জানুন

বীরভূম: পশ্চিমবঙ্গের একটি বহুত্ববাদী স্বাস্থ্যসেবা বিতরণ ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে সরকার এবং বেসরকারি ক্ষেত্র মিলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পরিচালনা করে। পাশাপাশি এই রাজ্যে অ্যালোপাতির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ সহ বিভিন্ন রকম চিকিৎসা সুবিধা উপলব্ধ। সেই তালিকায় আরও আছে সোওয়া-রিগপা, ইউনানি’র মতো ভিন্ন ধরনের চিকিৎসা প্রক্রিয়া।

মূল ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি বিকল্প ধারাগুলিকেও সমান জায়গা করে দিতে এবার নেওয়া হল উদ্যোগ। আয়ুষ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রামপুরহাট-২ ব্লকের বসোয়া-২ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একাধিক ভেষজ ওষুধের গাছ লাগানো হয়েছে। প্রায় ২৫ টি এমন ওষোধি গাছ রোপণ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তুলসি, জোয়ান, থানকুনি, ঘৃতকুমারী, অ্যালোভেরা, নিশিন্দা, বাসক, নিম, পুদিনা ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হল আলু! কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়ল গোটা শহর

বর্তমানে অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য নিয়মিত নানান ধরনের রোগ ব্যাধি লেগেই আছে আমজনতার। সেই সমস্ত রোগব্যাধি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যালোপ্যাথি ওষুধ ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে অ্যালোপ্যাথি ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারে নানান রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তারই বিকল্প হিসেবে ভেষজ পদ্ধতিতে চিকিৎসা হলে অন্য জটিলতা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকা যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের চারিপাশে থাকা এমনই কিছু গাছ দিয়ে খুব সহজেই বেশ কিছু নিয়মিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই সমস্ত ঔষুধি গাছ রোপন করা হয়েছে।

রামপুরহাট-২ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিএম‌ওএইচ জানান, প্রাচীনকালে যে সমস্ত গাছ গাছালি ব্যবহার করে মানুষজন রোগ ব্যাধি থেকে দূরে থাকতেন সেগুলি কালের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে। এখন সবাই যেকোনও রোগব্যাধি হলেই ডাক্তার দেখিয়ে দামি দামি ওষুধ খেয়ে রোগ সারাচ্ছেন। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। তাই সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি তাদের পুরনো সরল পদ্ধতিতে চিকিৎসা করার জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী দিনে ব্লক স্তরে বিভিন্ন জায়গায় এবং হাসপাতালের মধ্যে আরও যে সমস্ত বাগান রয়েছে সেই বাগানগুলিতে অন্যান্য বিভিন্ন এই ধরনের গাছ রোপন করা হবে। মানুষকে সচেতন করতে আলোচনাসভাও আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।

সৌভিক রায়