প্রতীকী ছবি

Scamming: অফিসে না এসেও ‘উপস্থিত’, জালিয়াতি করে ধরা পড়লেন কেন্দ্রীয় কর্মী! ঘটনা শুনলে অবাক হবেন!

জবলপুর: কর্মক্ষেত্রে ফাঁকি দিয়ে সাসপেন্ড হলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক কর্মী। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের। ডিরেকটরেট অফ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ওই ব্যক্তি দিনের পর দিন অনুপস্থিত ছিলেন। তবে তা বুঝতেই দেননি কর্তৃপক্ষকে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনাটি জানার কার্যত হতবাক অফিস কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি আদতে কী? জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম সুরজ যাদব টিএমএম অফিসে কর্মরত ছিলেন। কিছুদিনের জন্য তিনি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে ছুটিতে যান। কিন্তু, ছুটিতে গেলেও তাঁর উপস্থিতি কিন্তু রোজ নথিভুক্ত হয়ে যেত। আদতে তিনি তাঁর কার্ডটি সুশীল নামে তাঁরই অফিসের এক পরিচিতকে দিয়ে যান। সুরজের অনুপস্থিতিতে এই সুশীলই কার্ড ‘পাঞ্চ’ করে রোজ সুরজকে ‘উপস্থিত’ করে দিতেন।
সুশীল মূলত প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় কার্ড পাঞ্চ করতেন। অন্যদিকে, সুরজও নির্দ্বিধায় নিজের বাড়িতে ছুটি কাটাতেন। এইভাবেই পেরিয়ে যায় দুই সপ্তাহ। কিন্তু, এরপর যখন সুরজের ডাক পড়ে তখন সুরজকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। অনেকবার ফোন করলেও সাড়া পাওয়া যায় নি তাঁর। ফলে রহস্য ঘনীভূত হয়। সন্দেহ দানা বাঁধে কর্তৃপক্ষের মনে।
অ্যাটেনডেন্স রেকর্ড দেখে জানা যায় সুরজ তখনও ডিউটিতে বহাল। কিন্তু গোটা কারখানা খুঁজেও তাঁর হদিশ পাননি। এরপরেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেন অফিস কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর, সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইতে খতম ৪ জঙ্গি, শহিদ ১ সেনা

এবং তাতেই সত্যি সামনে চলে আসে। সুরজের মিথ্যে ধরা পড়ে যায়। তদন্ত চলাকালীন সেই সিসিটিভি ফুটেজেই দেখা যায় সুরজের জায়গায় সুশীল কুশওয়াহা নামে ওই ব্যক্তি সুরজের কার্ড পাঞ্চ করছেন। এরপরে সেইদিনই হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় সুশীলকে। সুরজের সঙ্গে তাঁকেও কাজ থেকে সাসপেন্ড করা হয়। সুরজের বিরুদ্ধে সাসপেনশন ছাড়াও নোটিসও জারি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, কারখানায় এখনও কার্ড পাঞ্চ পদ্ধতি চালু রয়েছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি এখনও চালু হয়নি। ফলে এই ধরনের অসাধু কার্যকলাপ ঘটে চলেছে। দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।