মাটির বাড়ি

West Medinipur News: দুর্বিষহ পরিস্থিতি বাসিন্দাদের, মাথার উপর চাঁদ যেন বিপদের হাতছানি!

পশ্চিম মেদিনীপুর:মানুষের জীবনের বেঁচে থাকার মূল অবলম্বন অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থান। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরেই মাথার উপর থাকা সেই ছাদ ভয় ধরাচ্ছে ক্রমশই। এলাকায় উন্নয়ন হলেও ছিটেফোঁটা জুটেনি এই কয়েকটি হতদরিদ্র পরিবারের। বৃষ্টি এলেই চিন্তা বাড়ে। বর্ষার মরশুমে লোকের ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয় তাদের। ঘর নিয়ে এখন দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছেন তারা। সম্প্রতি ঝড়েও তাদের অবস্থা করুণ হয়েছিল। তারা চান সাহায্যের।

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এলাকা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে উন্নয়ন পর্ষদের মধ্যে। রাস্তা হয়েছে ঝাঁ চকচকে, বসেছে আলো। কিন্তু সেই উজ্জ্বল আলোর নিজেই অন্ধকার। প্রতি বছরই ঝড়, বৃষ্টির আগে রাতগুলো জীবণ হাতে নিয়ে আতঙ্কে কাটাতে হয়। থাকে প্রাণের ঝুঁকিও। সরকারিভাবে বাড়ি তৈরির জন্য সাহায্য করা হোক তাদের, দাবি সকলের। সামনেই বর্ষাকাল মাটির বাড়িতে থাকা এক প্রকার দায় হয়ে উঠছে তাদের।

আরও পড়ুন : নদীতে ফেলে রাখা মাছের ছিপে ধরা পড়ল বিশাল আকার প্রাণী, হলুস্থলু মেদিনীপুর শহরে

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের বিদ্যাসাগরের জন্মভূমি বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের পরামানিকপাটি গ্রামে এই হতাশার চিত্র স্পষ্ট। বাঁশ ও বেতের সামগ্রী তৈরি করে জীবন জীবিকা চালানো হতদরিদ্র ১০ থেকে ১৫ টি পরিবার। বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদের অবস্থা সঙ্গীন।রিমল ঝড়ে তেমন প্রভাব না পড়লেও, বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে কারও ভেঙেছে মাটির দেওয়ালের একাংশ, আবার কারও বাড়ির ভেতরে ঢুকেছে জল।

আরও পড়ুন : ট্র্যাডিশনাল ম্যাট নয়, এই জিনিস বানিয়ে লাভ মাদুর গ্রামে

প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই দিন কাটাচ্ছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা।না হলে লোকের পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিতে হচ্ছে রাতের বেলা। তাদের অভিযোগ বারংবার প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে জানানো হলেও তেমন সুরাহা মেলেনি ।মাটির ঘরে থাকার কার্যত দায় হয়ে উঠছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তবে নির্বাচনী বিধি উঠে যাওয়ার পরে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনের অধিকর্তারা।কতদিন এইভাবে কাটাতে হবে তাদের সেই প্রশ্নই উঁকি দেয় তাদের কাছে।

রঞ্জন চন্দ