ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন

Nadia: স্বাধীনতা দিবসে কৃষকের রক্তে লাল হল নদিয়ার মাটি! প্রবল বিক্ষোভ স্থানীয়দের

নদিয়া: স্বাধীনতা দিবসের সাতসকালে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক চাষীর। বারংবার একই ঘটনা ঘটায় এবার মৃতদেহ রাস্তায় রেখে দিয়ে তীব্র বিক্ষোভ স্থানীয়দের, পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে রানাঘাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।

এমনই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল নদিয়ার শান্তিপুর গোবিন্দপুর বাজার সংলগ্ন ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। জানা গেছে মৃত চাষীর নাম নির্মল চন্দ্র দাস, বয়স ৫৫ বছর।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই ব্যক্তি প্রতিদিনই গোবিন্দপুর বাজারে সবজি নিয়ে যান। ঠিক তেমনই আজ সকালেও সাইকেলের মধ্যে একাধিক সবজি নিয়ে রাস্তা পার করছিলেন, তখনই একটি প্রাইভেট গাড়ি অতি দ্রুত গতিতে এসে তাকে সজরে ধাক্কা মারলে বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ে সে। এরপর রাস্তাতেই সবজিগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়।

ঘাতক গাড়িটি ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। জানা যায় কৃষ্ণনগরের দিকে পলাতক হয়ে যায় গাড়িটি। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।যদিও তার আগেই রাস্তার আন্ডারপাস এবং ক্রসিং তৈরি করার দাবি রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা।

পরবর্তীকালে বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়,পরিস্থিতি সামাল দিতে পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসে রানাঘাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ পুলিশের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এরপর উত্তপ্ত জনতার সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় দু ঘণ্টা ধরে মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে প্রতিবাদ শুরু করে স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে ‌যা করল প্রেমিক! এ কী অবস্থা, শেষে করতে হল থানা-পুলিশ

অভিযোগ প্রায়শই ওই স্থানে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে, প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো সত্বেও যেমন ভূমিকা পালন করেনি ট্রাফিক পুলিশ। তেমনই গুরুত্ব দেয়নি শান্তিপুর থানার পুলিশ। যত দিন যাচ্ছে ততই দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে, অবিলম্বে রাস্তা পারাপারের জন্য আন্ডারপাশের ব্যবস্থা করতে হবে, না হলে এই দুর্ঘটনার সংখ্যা কিছুতেই কমবে না।

মূলত পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের কথা চিন্তা করেই এই দাবি তুলে লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তপ্ত স্থানীয়দের শান্ত করতে যথেষ্ট হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে, পরবর্তীতে পুলিশের আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

—- Mainak Debnath