এক মাসে ৪.৫ কোটি টাকা রোজগার যুবকের! খবর পেয়েই ছুটল পুলিশ, আয়ের উপায় জানলে অবাক হয়ে যাবেন

এক মাসে ৪.৫ কোটি টাকা রোজগার যুবকের! খবর পেয়েই ছুটল পুলিশ, আয়ের উপায় জানলে অবাক হয়ে যাবেন

নগৌর, রাজস্থান: সাইবার জালিয়াতি রুখতে তৎপর পুলিশ। জালিয়াতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দু’দিন আগেই দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ৮ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাইবার জালিয়াতি কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সুফিয়ান ইসমাইল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুম্বই থেকে। শেয়ার বাজার থেকে ব্যাপক মুনাফার লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা তুলত তারা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৮৭ লাখ ৩ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন– নোংরা পোশাক পরা দুই যাত্রীর হাতে দামি ব্রিফকেস; খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ জিআরপির !

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দেড়শোর বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে নাগৌর পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য সাইবার প্রতারণা চক্রের যোগাযোগ ছিল। অভিযুক্ত সুফিয়ান বিভিন্ন রাজ্যে মোট ৭২টি সাইবার জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, এক মাসে ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকার প্রতারণা করেছে সুফিয়ান। পুরো টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সাইবার জালিয়াতির জন্য কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলেছিল অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয়, সাইবার অপরাধীদের কাছে এই সব অ্যাকাউন্ট ভাড়ায় খাটাত তারা।

এরপরই উঠে-পড়ে লাগে পুলিশ। সাইবার জালিয়াতদের ধরতে একটি টিম তৈরি করে দেন নাগৌরের এএসপি সুমিত কুমার। কোতোয়ালি থানার অফিসার মণীশ দেবের নেতৃত্বে সেই টিম মুম্বই পাড়ি দেয়। সেখান থেকেই অভিযুক্ত সুফিয়ান ইসমাইল শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হেড কনস্টেবল প্রেমরাম, প্রেমরাজ, পারস এবং রাকেশ সাংওয়াও এই দলে ছিলেন। ৮৭ লাখ টাকার সাইবার জালিয়াতির ঘটনায় এই টিমই পুরো তদন্ত চালায়। তারপর যোগসূত্র ধরে ধরে মুম্বই পৌঁছয়।

আরও পড়ুন– ইলেকট্রিক কেটলি নিয়ে ট্রেনে উঠেছিলেন মহিলা, খুলতেই বেরিয়ে এল কোটি টাকার মাদক!

প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে কোতোয়ালি থানায় মুনাব্বরের ছেলে মহম্মদ সোলেমন তাইলি একটি এফআইআর দায়ের করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, কয়েকজন যুবক মিলে জিওয়ান-এসএসজিএ এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড স্টাডি ক্লাব নামে একটি গ্রুপ তৈরি করেছে। ওই গ্রুপের সদস্যরা সাইবার জালিয়াতি করে ৮৭.০৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেই টাকা জমা করেছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। এরপরই পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে। সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।