নবাব মল্লিক, নামখানা: নামখানার ঐতিহ্যবাহী পুজো হল কাঁকড়াবুড়ির পুজো। প্রতি বছর এই পুজো উপলক্ষে এলাকায় উৎসবের আমেজ দেখা দেয়। এক সপ্তাহ ধরে চলে মেলা। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে নামখানার শিবনগর আবাদে শুরু হয় এই পুজো। এলাকায় তখন বসন্ত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। সেই রোগের হাত থেকে বাঁচতে মেদিনীপুর থেকে আসা এক তান্ত্রিক পুরোহিতের কথা অনুসারে শুরু হয়েছিল পুজো। আসলে কাঁকড়া বুড়ি আর কেউ নন, দেবা শীতলা।
কথিত, এই পুজোর প্রথম বর্ষে যখন ঘটোত্তোলন করা হচ্ছিল তখন আকাশে দেখা দিয়েছিল শঙ্খচিল, ঘটে বসেছিল কাঁকড়া। সেই থেকেই এই দেবীর এই রকম নাম হয়। সেই প্রথা পালন করা হয় এখনও। স্থানীয়দের দাবি, এখনও পুজোর ঘটোত্তোলনের সময় আসে কাঁকড়া। এই মন্দিরে এখনও ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয় কাঁকড়াভোগ। এলাকার মানুষজনের কাছে এই কাঁকড়াবুড়ি খুবই জাগ্রত দেবী।
আরও পড়ুন : যতই ভাল লাগুক, ভুলেও মুগডাল খাবেন না এঁরা! জানুন কারা মুগডাল খেলেই সর্বনাশ! হবে বড় বিপদ
বর্তমানে এই পুজো উপলক্ষে মেলা বসে। প্রায় এক সপ্তাহ জুড়ে চলে মেলা। এ বছর প্রায় ৭০০-র বেশি দোকান ও প্রায় পঞ্চাশ হাজার পুণ্যার্থী এখানে এসেছেন। বর্তমানে নামখানা নয়, এই কাঁকড়াবুড়ির পরিচিতি ছড়িয়েছে জেলার অন্যান্য জায়গাতেও। তাহলে আর দেরি কিসের! ঘুরে আসুন নামখানার এই মন্দির থেকে।