মংপু

North Bengal Trip: নিরিবিলিতে পুজো কাটাতে চান? ঘুরে আসুন ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রামে, নস্ট্যালজিয়া ঘিরে রাখবে

দার্জিলিং: মংপুর টানে বার বার ছুটে যেতেন রবীন্দ্রনাথ। দার্জিলিং পাহাড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত মংপু। প্রচুর পর্যটক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে ছুটে যান মংপুতে। তবে মংপুতে আসা মানে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত ভবন না দেখে ফেরেন না কেউ। পাহাড়ের কোলে মংপুতে এই ভবনে বিশ্বকবিকে ঘিরে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কবির স্মৃতি বিজড়িত এই ভবনের গুরুত্ব ও সৌন্দর্য অপরিসীম। তাই এবার পুজোর ছুটিতে একবার ঘুরে আসতে পারেন মংপু।

মংপুর সবচেয়ে বড়ো আকর্ষণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত রবীন্দ্রভবন। রবীন্দ্রভবনের আকর্ষণই সকলকে তাড়িয়ে নিয়ে আসে মংপুতে, তাই মংপু মানেই যেন মৈত্রেয়ী দেবীর এই বাড়ি। ১৯৪৪ সালের ২৮ মে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটিকে রবীন্দ্রভবন বা রবীন্দ্র সংগ্রহশালা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ বনে-বাদাড়ে জন্মায়, সস্তার এই শাক ক্যালসিয়াম-আয়রনের খনি! মেয়েরা সপ্তাহে একদিন খান রক্তাল্পতা গায়েব

এই বাড়িতে বসেই কবি ‘ছেলেবেলা’, ‘নবজাতক’, ‘জন্মদিন’ প্রভৃতি কবিতা লেখেন। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে কবি চারবার আসেন মংপুতে। এই বাড়ির সামনের উন্মুক্ত সবুজ বাগান থেকে সামনের পাহাড়ে রঙ, রোদের খেলা দেখতে দেখতে পর্যটকরা উপলব্ধি করবেন, কেন কবি বারবার এসেছেন মংপুতে।

আরও পড়ুনঃ বঙ্গে বাংলার বড়, চওড়া পেটির লোভনীয় ইলিশ! শুক্রেই বাজারে মিলবে টন টন মাছ, কেজিতে কত দাম?

রবীন্দ্রভবনের তত্ত্বাবধায়ক কুশল রায় বলেন, “এই বাড়িতে শেষ জন্মদিন রবি ঠাকুর কাটিয়েছিলেন। কবিগুরু এই বাড়িতে চারবার এসেছিলেন। মৈত্রী দেবীর এই বাড়ি এখন পর্যটকদের ভীষণ পছন্দের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” কলকাতা হাতিবাগান থেকে ঘুরতে এসে এক পর্যটক দীপাঞ্জলি ভুঁইয়া বলেন, “মংপুর কথা অনেক শুনেছিলাম। মংপু মানেই রবীন্দ্রনাথ। আমরা সিটং ঘুরতে এসেছিলাম। সেখান থেকে আজ রবীন্দ্রভবন ঘুরে দেখলাম, ভাল লেগেছে। অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা।”

অনির্বাণ রায়