খুব সাবধান, প্রৌঢ়রাই হচ্ছেন টার্গেট! এক ফোনেই গায়েব লাখ লাখ টাকা

Online Scam: খুব সাবধান, প্রৌঢ়রাই হচ্ছেন টার্গেট ! এক ফোনেই গায়েব লাখ লাখ টাকা

হুগলি: এক ফোনেই গায়েব তিন লাখ। কেওয়াইসি করার নাম করে আবারও অনলাইন ব্যাঙ্ক প্রতারণা। এবার প্রতারণার শিকার হলেন উত্তরপাড়ার বছর ৭৭-এর প্রৌঢ় বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব সঞ্চয় হারালেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন কর্মী। ঘটনায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার সেলের দ্বারস্থ হন ওই প্রৌঢ়।

আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে দুনিয়া। ঠিক সেই ভাবে বদলাচ্ছে অপরাধ জগৎ। আগে একটা সময় হামেশাই খবরে শোনা যেত চুরি ছিনতাই এর ঘটনা। এখন চুরি ছিনতাই কমেছে তার পরিবর্তে বেড়েছে অনলাইন প্রতারণা। যেখানে গায়ের জোরে নয় বরং বুদ্ধি বলে চুরি করছে চোরেরা। আর এই ধরনের চোরেদের মূল টার্গেট বয়স্কমানুষরা। মূলত কেওয়াইসি করার নাম করে ছলে বলে কৌশলে গ্রাহকের থেকে ওটিপি জেনে নিয়ে মিনিটের মধ্যে সাফ করে দিচ্ছে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।

আরও পড়ুন: শীতের বিকালে গরম স্ন্যাক্স! খুব সহজে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন মাংসের সিঙ্গারা

এমনই এক ঘটনার শিকার হয়েছিলেন উত্তরপাড়ার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তার কাছে কেওয়াইসি করানোর নাম করে ফোন আসে। ফোনে বলা হয় তারা অ্যাক্সিস ব্যাংকের কর্মী। বিশ্বজিৎ বাবুর অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে যদি না তিনি কেওয়াইসি করেন। প্রতারকরা প্রথমে বিভিন্ন কৌশলে বিশ্বাস অর্জন করে বিশ্বজিৎ বাবুর। পরবর্তীতে কেওয়াইসি’র কাজ শুরু করার নাম করে গ্রাহকের থেকে ওটিপি জেনে নিয়ে নিমিষার মধ্যেই হয়ে যাচ্ছে একাউন্ট সাফ।

এই বিষয়ে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য তিনি বলেন, সিনিয়র সিটিজেন হিসাবে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক থেকে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় সেই কারণেই তিনি অ্যাক্সিস ব্যাংকের একাউন্ট করেছিলেন। তার কাছে হঠাৎই ফোন আসে তার ব্যাংক একাউন্টে কেওয়াইসি করানোর জন্য। তিনি প্রথমে ফোনে কেওয়াইসি করাতে নারাজ হলেও খানিকটা জোর করে বিশ্বাস অর্জন করে প্রতারকরা। তারপরেই ফোনে তাকে বলা হয় একটি ছবি দেওয়ার জন্য। পরবর্তীতে তার কাছে একটি অটিপি পাঠানো হয়। সেই ওটিপি বলতেই মুহূর্তের মধ্যে তার অ‍্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৭০০ টাকা।

এই বিষয়ে চন্দননগর সাইবার থানার এক কর্তা তিনি জানান, বর্তমান সময়ের সাইবার ক্রাইম বেড়েই চলেছে। প্রতারকরা টার্গেট করছে বয়স জ্যেষ্ঠ মানুষদের। এর থেকে বাঁচার জন্য একটাই উপায় রয়েছে, মোবাইল ফোনে ব্যাংক সংক্রান্ত কোনও নথি কারোর সঙ্গে শেয়ার না করা। কোন প্রয়োজন হলে সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করা উচিৎ।

রাহী হালদার